বিশ্ব ভ্রমণ কাউন্সিলের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৮ খ্রিস্টব্দের মধ্যে প্রত্যক্ষ ও মোট জিডিপির পরিমাণ ও পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের সংখ্যার নিরিখে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।
এই গবেষণা করার সময়ে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর সফট পাওয়ার ভারত ভ্রমণ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছে। এই সাক্ষাৎকারে আমি ফিলিপ কের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি #বিয়ন্ডদ্যতাজ প্রচারের সমর্থক। গত দুদশক ধরে ভারত ভ্রমণে অর্জিত অভিজ্ঞতা তিনি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন।
তিনি গত ১৯৯৮ থেকে ভারতে আসছেন। ২০১৫-তে তিনি সব বড় পর্যটনক্ষেত্রে যান এবং তাদের হতশ্রী দশা থেকে চমকে ওঠেন। তিনি বড় বড় নগরে গিয়ে সেখানের মানুষজন, সংস্কৃতি, খাদ্য প্রভৃতি সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেননি। তিনি দিল্লীতে এক ভ্রমণ সংস্থায় কাজ করেন আর দিল্লীর দর্শনীয় স্থানগুলো দেখানোর সম্পূর্ণ এক নতুন উপায় উদ্ভাবন করেছেন। তিনি তারপরে তাঁর সমমনোভাবাপন্ন মানুষজনের সংস্পর্শে এলেন। তাঁদের বিভিন্ন চিন্তাভাবনাকে পর্যটক ও ভ্রমণ সংস্থাগুলোর কাছে পৌঁছে দেবার জন্য তিনি এগিয়ে এলেন।
তাঁর মতে ভারতে বিভিন্ন প্রকার পর্যটনের অতুল সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতে ভ্রমণের সূচী যেকোনো মানুষের জন্য বিশেষ ভাবে সাজানো সম্ভব, এখানে এতটাই বৈচিত্র্য রয়েছে।
ভারতে বহু স্থাপত্য থাকলেও অত্যন্ত ক্ষুদ্র এক গোষ্ঠীর উপরেই সব গুরুত্ব দেওয়া হয়, বাকিরা নিঃশব্দে অবহেলার শিকার হয়। তাঁর মতে এই অবস্থার পরিবর্তন করতে পারলে পর্যটনক্ষেত্রে সাফল্য আরও অনেক বাড়বে।
সৌজন্যে অর্গানাইজার
সুদর্শন রামবদ্রন