কর্ণাটকে পুলিশের গুলিতে নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার ম্যাঙ্গালোরে শুরু হওয়া তিনদিনের কেন্দ্রীয় বৈঠকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলল। তাঁদের প্রশ্ন, ‘বাংলার ছাত্রদের প্রতি দিদির দরদ নেই, কর্ণাটকের পড়ুয়াদের ক্ষতিপূরণ কেন?’
ভিএইচপির অখিল ভারতীয় সহ-সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিংহ ফোনে জানালেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতির নিন্দা করা হয়েছে। বৈঠকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, দাড়িভিটে যখন দুই ছাত্র নিহত হয়েছিলেন, তখন তাঁর এই মমত্ববোধ কোথায় ছিল? তখন ওই দুইজনের পরিবারকে কোনও আর্থিক ক্ষতিপূরণ তো দেওয়া হয়নি। অথচ পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুই হাজার কিলোমিটার দূরে কর্ণাটকে নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করা হল। এটা আদতে তোষণের রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, নিহত দুই জন মুসলিম সম্প্রদায়ের। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করছি।”
শচীন্দ্রনাথ বলেন, “বাংলার প্রসঙ্গে আর একটি বিষয় আলোচনা হয়েছে। সেটি হল রাজ্যে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু প্রতিষ্ঠানের ভেদাভেদ তুলে দেওয়া। একবার রামকৃষ্ণ মিশন জানিয়েছিল তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। তাই কোনো সরকার তাঁদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। সংবিধানের ২৯ ও ৩০ নং ধারা অনুযায়ী এটাই আইন। তবে এদিনের বৈঠকে এই ভেদাভেদ না থাকাই উচিত বলে মত প্রকাশ করা হয়েছে।” ভিএইচপির কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক আরও জানিয়েছেন, শনিবার বৈঠকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হবে। বাংলায় সিএএ সংক্রান্ত অশান্তির বিষয়ে রিপোর্ট দেবেন বাংলা থেকে যাওয়া প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে সারা দেশ থেকে ৩০০ জন কর্মকর্তা যোগ দিয়েছেন। দেশজুড়ে ভিএইচপি-র সদস্য সংগ্রহ অভিযান সম্পর্কে পর্যালোচনা, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে জাগরণ কর্মসূচি, রামজন্মভূমি বিষয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে এদিন ছিলেন ভিএইচপির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিষ্ণু সদাশিব রাও কোকাজি, কার্যকরী সভাপতি অলেক কুমার, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পরান্দে প্রমুখ।