সব জল্পনার অবসান হল। টুইট করে কংগ্রেস থেকে নিজের ইস্তফার কথা জানিয়ে দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মঙ্গলবার সকালে মোদী ও শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরই এই খবর প্রকাশ্যে আনলেন তিনি। যদিও ইস্তফাপত্রে তারিখ রয়েছে ৯ মার্চ। অর্থাৎ সোমবারই তিনি কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
কংগ্রেসকে বড়োসড়ো ঝটকা দিয়ে সোনিয়া গান্ধীকে নিজের ইস্তফা পত্র পাঠালেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সূত্রের খবর ইস্তফাপত্র গতকালই তিনি দিয়েছিলেন। কিন্তু এতক্ষণে তা প্রকাশ্যে এলো। এমনিতেই মধ্যপ্রদেশের ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়ক নিখোঁজ ছিলেন। তারা সকলেই সিন্ধিয়া ঘনিষ্ট। ফলে সিন্ধিয়ার পদত্যাগের পর তাদের পদত্যাগ নিশ্চিত হয়ে গেছে।
কিন্তু শুধু মধ্যপ্রদেশই নয়, কংগ্রেসের জন্য আরও বড় সংকট, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পদত্যাগের পর এবার মহারাষ্ট্র রাজস্থান হরিয়ানা সহ একাধিক রাজ্যের কংগ্রেসের উচ্চপর্যায়ের পদত্যাগ করতে পারেন।শোনা যাচ্ছে হাফ ডজনেরও বেশি কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্ব কংগ্রেস হাইকমান্ড তথা রাহুল গান্ধীর কার্যকলাপে বিরক্ত। খুব তাড়াতাড়ি তারা জ্যোতিরাদিত্যকে অনুসরণ করতে পারেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী মোদির ২০১৪ থেকে কংগ্রেস মুক্ত ভারতের কথা বলে আসছেন। সেই পরিস্থিতিতে লাগাতার কংগ্রেসের অভ্যন্তরেও বিরোধ লেগেই রয়েছে।। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নাজেহাল হয়ে আছে দল। তার ফলশ্রুতিতে আজ সিন্ধিয়াও এত বড় ঝটকা দিলেন।
মঙ্গলবার সকালে পদত্যাগ করার আগে সিন্ধিয়া দিল্লিতে নিজের বাসভবন থেকে বেরিয়ে সোজা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে যান। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর বাসভবন যান। সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ মোদী, শাহ এবং সিন্ধিয়ার বৈঠক শুরু হয়। এই বৈঠক প্রায় এক ঘন্টা চলে। মোদীর সঙ্গে দেখা করার পর সিন্ধিয়া অমিত শাহের গাড়িতে করে বেরিয়ে আসেন। সূত্রের খবর, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আজকেই যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। যে সম্মানের জন্য সিন্ধিয়া দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসের ভিতর লড়াই চালাচ্ছিলেন। সেই সম্মান সম্ভবত বিজেপি তাকে দিচ্ছে। সূত্রের খবর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে বিজেপি রাজ্য সভায় পাঠাবে এবং একই সঙ্গে তিনি মোদীর ক্যাবিনেটেও সামিল হতে চলেছেন।
কিন্তু এর ফলে কমলনাথ সরকার চরম সংকটে পড়ে গেছে। শোনা যাচ্ছে ১৭-২০ জন বিধায়ক পদত্যাগ করতে পারেন। ফলে কমলনাথের সরকার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এদিকে মধ্যপ্রদেশে আবার নিজেদের সরকার তৈরি তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে বিজেপিও। কারণ ১৭ জন বিধায়ক পদত্যাগ করার পর বিজেপির ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে খুব একটা অসুবিধা হবে না।