ডিআরডিও(DRDO) দ্বারা প্রস্তুত করা করোনার ওষুধ ২-ডিজি (2-DG) অনুমোদন আগেই পেয়েছিল। এবার সেই ওষুধ কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তার গাইলাইন দিল ডিআরডিও (DRDO)। মঙ্গলবার ট্যুইটের মাধ্যমে এই নতুন গাইডলাইন (New Guideline) প্রকাশ করা হয়েছে।
ডিআরডিও (DRDO) নতুন গাইডলাইনে বলেছে, আশঙ্কাজনক করোনা রোগীদের এই ওষুধ দেওয়া যাবে। অবশ্যই সর্বোচ্চ ১০ দিনের জন্য। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুসারেই এই ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। সন্তানসম্ভবা এবং শিশু-কিশোরদের চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। ডায়বেটিস, কিডনির মারাত্মক সমস্যা, হার্টের অসুখ, ফুসফুসের অসুখ, হেপাটিক রোগীদের জন্য এই ওষুধ কতটা কার্যকর তার ফল মেলেনি। তাই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এই ধরণের রোগীদের ২-ডিজি প্রয়োগের আগে অত্যন্ত সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে ।’
২-ডিজি (2-DG) ওষুধটি হায়দরাবাদ ভিত্তিক ডাঃ রেড্ডি ল্যাবরেটরিজ (DRL) এবং ডিফেন্স এন্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের(DRDO) সহযোগিতায় ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যালাইড সায়েন্স (আইএনএমএএস) দ্বারা ২-ডিওক্সি-ডি-গ্লুকোজ(2-deoxy-D-glucose) ওষুধটি তৈরী হয়েছে। ২-ডিজি (2-DG) ওষুধটি একটি প্যাকেটে গুঁড়ো আকারে আসে, এটি জলে মিশিয়ে নিয়ে খেতে হয়। গত বছরের গোড়ার দিকে মহামারী শুরু হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। যার পরে ডিআরডিও প্রকল্পটির উপর কাজ শুরু করে।
করোনার রাশ টানতে মে মাসের শুরুতে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার DGCI অনুমোদন দিয়েছিল। গোটা দেশ যখন করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের (Oxygen) হাহাকার, বেডের অপ্রতুলতা, হাসপাতালে উপছে পড়ছে রোগীর সংখ্যা। ঠিক সেই সময় এই ওষুধের অনুমোদন মেলে। এই ওষুধটি মধ্যম ও গুরুতর লক্ষণযুক্ত রোগীদের চিকিত্সার ক্ষেত্রে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। DCGI অনুমোদনের পর জানিয়েছিল, হাসপাতালে ভর্তি করোনা আক্রান্তদের ওপর ট্রায়ালে দারুণ কাজ করেছে এই ২-ডিজি। এটি করোনা রোগীদের অক্সিজেনের উপর নির্ভরতা কমাতে সক্ষম। এই ওষুধ ব্যবহারের পর অনেক আক্রান্ত রোগীর রিপোর্ট দ্রুত পজিটিভ এসেছে। সফল ট্রায়ালের পরেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।