কুড়ুলের কোপে অশীতিপর দাদু-দিদাকে ‘খুন’ করল ১৪ বছরের কিশোর! শনিবার উত্তরপ্রদেশের টালার পাহাড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। কুড়ুলের আঘাতে নিজেও গুরুতর জখম হয়েছে ওই কিশোর।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোর মানসিক ভারসাম্যহীন। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, শনিবার কুড়ুল দিয়ে নিজেকে আঘাত করার চেষ্টা করছিল সে। তা দেখে ছুটে আসেন তার দাদু ও দিদা। তাঁরা কিশোরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতেই উল্টে কুড়ুল নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হয় সে। ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কিশোরকে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে আপাতত তার অবস্থা স্থিতিশীল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতদের নাম পীতাম্বর (৮৫) এবং হীরাবতী (৮০)। গ্রামের বাড়িতে দাদু-দিদার সঙ্গেই থাকত ওই কিশোর। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রবিবার পুলিশের সুপার অভিনন্দন জানিয়েছেন, ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ ধারার অধীনে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। কেন, কী ভাবে ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে খুন করা হল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।