দুই কলম বাংলা লিখতে পড়তে বা বলতে জানলেই বাঙালি হওয়া যায় না। তেমনই, ভারতের পাসপোর্ট ধারী হলেই ভারতীয় হওয়া যায় না

The History and Culture of Indian People বইতে ড. রমেশ চন্দ্র মজুমদার বড় আক্ষেপ করে বলেছিলেন,

“It is painful to mention, though impossible to ignore, the fact that there is a distinct and conscious attempt to rewrite the whole chapter of the bigotry and intolerance of the Mu$lim rulers towards Hindu religion…several writers in India have come forward to defend Aurangzeb against Jadunath Sarkar’s charge of religious intolerance…Alas for poor Jadunath Sarkar, who must have turned in his grave if he were buried! For, after reading his ‘History of Aurangzib’, one would be tempted to ask, if the temple-breaking policy of Aurangzeb is a disputed point, is there a single fact in the whole recorded history of mankind which may be taken as undisputed? A noted historian has [even] sought to prove that the Hindu population was better off under the Mu$lims than under the Hindu tributaries or independent rulers.”

বড় যন্ত্রনাদায়ক সত্য যা আমাকে লিখতে হচ্ছে, ভারতের ইতিহাস লিখনে হিন্দু ধর্মের প্রতি মুsলিম শাসকদের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার অধ্যায় কে মুছে দেওয়ার একটি বৃহৎ প্রচেষ্টা চলছে। স্যার যদুনাথ সরকার ঔরঙ্গজেব কে ধর্মীয় অসহিষ্ণু বলে অভিহিত করেছেন। এখন, ঔরঙ্গজেবের পক্ষ নিয়ে বহু ঐতিহাসিক হাজির হয়ে গেছেন। স্যার যদুনাথ কে যদি কবরস্থ করা হতো, তিনি বোধ করি এসব দেখে কবরে পাশ ফিরে শুতেন। কেননা,তার রচিত “History of Aurangzib” বইটি পড়ে যে কেউ প্রশ্ন করতে বাধ্য হবে, যদি ঔরঙ্গজেবের মন্দির ভাঙার পলিসিকেও কেউ বিতর্কিত বলে, তবে মানব সভ্যতার ইতিহাসে এমন কোন ফ্যাক্ট আছে,যা বিতর্কিত নয়?! একজন বিখ্যাত ঐতিহাসিক এও প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে হিন্দু জনগোষ্ঠী হিন্দু শাসক বা স্বাধীন শাসক দের থেকে মুsলিম শাসকদের আমলে ভালো ছিলো!)

অনেকেই জানেন, মহামান্য আদালত কাশী বিশ্বনাথ চত্বরে প্রত্নতাত্বিক খননের অনুমতি দিয়েছেন। ওই চত্বরে অবস্থিত বিতর্কিত বৈদেশিক ধাঁচা সম্পর্কে ভুমিপুত্রদের জিজ্ঞাসা বহুদিনের। ASI এর পুরাতাত্বিক রা খননকার্য চালালেও বাঙালি কিন্তু কাশী বিশ্বনাথ থেকে মোটেও দূরে নেই। প্রশ্ন করতে পারেন, কেন একথা বলছি?

অনেকেই জানেন না, এই মামলার ফাইল খোলার পর উত্তরপ্রদেশে সরকার আদালতে স্যার যদুনাথ সরকারের লেখা পাঁচ ভলিউমে HISTORY OF AURANGZEB : BASED ON ORIGINAL SOURCES কে অন্যতম প্রামাণ্য নথি হিসেবে কোর্টে দাখিল করবে। এমনটাই জানানো হল উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে । মন্দির ভাঙা সংক্রান্ত আলমগীর বাদশার ফরমান উদ্ধৃত আছে বইটিতে।

বলে রাখা ভালো, যদুনাথ সরকারের এই অমূল্য কীর্তি কে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিয়েছিলেন ইরফান হাবিব। ইনি ঐতিহাসিক সম্ভবত।

যেমন,দুই কলম বাংলা লিখতে পড়তে বা বলতে জানলেই বাঙালি হওয়া যায় না। তেমনই, ভারতের পাসপোর্ট ধারী হলেই ভারতীয় হওয়া যায় না। হিন্দিবেল্টের একটি রাজ্য এবং একজন আরব নামা মার্ক্সিস্ট, দুটো উদাহরণ দেখে নিন।

অর্নব কুমার দাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.