গোটা রাজ্যবাসীই নানান সমস্যার সন্মুখিন। একদিকে ঝড়, আরেকদিকে ভাইরা এবং লকডাউন। আর এই সঙ্কটের মধ্যে কমছে না তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। রাজ্যের কোথাও না কোথাও প্রায় দিনই উঠে আসছে শাসকদের গোষ্ঠীদ্বন্দের খবর। আর এবারও সেই ত্রাণ বিলি নিয়ে তৃণমূলের দুই দলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ। এমনকি চলল বোমাবাজিও।
এর আগে ত্রাণ বিলি নিয়ে কামহারটিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে প্রাণ হারান দলেরই এক কর্মী। ওই ঘটনায় তৃণমূল কাউন্সিলর রুপালী সরকারের (Rupali Sarkar) বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল এলাকাবাসী। এবার সেই ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই ভাঙ্গড় থানার গোবিন্দপুর এলাকায় ত্রাণ বিলি নিয়ে চলল গোষ্ঠী সংঘর্ষ।
তৃণমূলের দুই দলের মধ্যে হওয়া গোষ্ঠী সংঘর্ষে বোমার আঘাতে আহত হন সাতজন। ভাঙড়ের এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বাদল মোল্লা সমেত বেশ কয়েকজন ওই বোমার আঘাতে আহত হন। শনিবার রাতে এই ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্কের মহল সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, ত্রাণ বিলি কোন দল করবে সেটা নিয়েই দুই দলের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরেই বাকবিতণ্ডা চলছিল। আর সেটি গতকাল রাতে প্রকাশ্যে চলে আসে। তৃণমূলের নেতা কাইজার আহমেদ (Kaiser Ahmed) এর দলবল ওই এলাকায় ত্রাণ বিলি করছিল। আর সেই সময় তৃণমূলের আরেক নেতা বাদল মোল্লা সেখানে মানুষের নাম নিয়ে ত্রাণ দেবে বলে তালিকা তৈরি করছিল।
এরপর দুই দল সামনা সামনি আসার পর শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। চলে বোমাবাজি। ওই বোমাবাজিতে তৃণমূল নেতা বাদল মোল্লা (Badal Mollah) সমেত সাতজন আহত হন। আহতদের নলমুড়ি প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং বাদল মোল্লাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।