RSS এর প্রতিষ্ঠাতা পূজনীয় ড.কেশব বালীরামহেডগেওয়ার।তিনিই প্রথমআমাদের সঙ্ঘচালক।নব্বই বছরপূর্বে অখন্ডভারতে নাগপুরে ১৯২৫সালে বিজয়া দশমীর পবিত্রদিনে ভারতমাতা আর হিন্দুরকল্যাণে RSS প্রতিষ্ঠিত হয়।সে হিসেবে এবছরবিজয়া দশমীর দিন RSS এরনব্বই বছর পূর্তি হবে।আজ সেইRSS হিন্দুস্থানেরপ্রতিটি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে তারঅস্তিত্ব জানান দিচ্ছে।কেশবজী এ প্রজন্মের#স্বয়ংসেবক হিন্দু যোদ্ধাদেরপক্ষ থেকে তোমায় জানাইশত-কোটি প্রণাম।
লকডাউনের এক সপ্তাহ পূর্ণ হল মঙ্গলবার। কিন্তু সাতদিনেই খাদ্য-নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্য হাহাকার দেশজুড়ে। বিশেষ করে দিন আনি দিন খাই মানুষরা সমস্যায় পড়েছেন বেশি। কেন্দ্র বড় আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করলেও নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে অন্ধকারে পরিযায়ী শ্রমিকরা।
এবার সমাজের সেই খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য কেন্দ্রকে সাহায্যের হাত বাড়াতে বলল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। সংঘের ট্রেড ইউনিয়ন ভারতীয় মজদুর সংঘ (BMS) চিঠি লিখে কেন্দ্রকে আবেদন করল, ঘরবন্দি শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে অন্তত পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে চিঠি পাঠিয়েছে বিএমএস। সেখানে শ্রমিক সংগঠন আরজি জানিয়েছে, মজদুরদের পোস্টাল বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠাক কেন্দ্র। যাদের নেই তাঁদের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে দিক বলে আবেদন করেছে বিএমএস। গেরুয়া শিবিরের ট্রেড ইউনিয়নের আরজি, বহুক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষরা। সমাজের কিছু অসৎ ব্যক্তি তাঁদের প্ররোচনা দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মনোভাব তৈরি করছে। অ্যাকাউন্টে টাকা পেলে তাঁরা আর প্ররোচনায় পা দেবেন না।
বিএমএসের দাবি, কেন্দ্রের তরফে করোনা সচেতনতায় যে প্রচার করা হচ্ছে, বেশিরভাগ মজদুরদের কাছে তা সঠিক ভাবে পৌঁছাচ্ছে না। লকডাউন উপেক্ষা করে তাঁরা দলবেঁধে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন। এর ফলে ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে বিভিন্ন রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা ভয়াবহ হতে পারে আগামিদিনে। চিঠিতে সেই কথা উল্লেখ করেছে বিএমএস। এদিকে, কয়েক লক্ষ ঘরে ফেরা শ্রমিককে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, যাঁদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁরা যাতে কোনওভাবেই বাড়ির বাইরে পা না রাখতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য কমিউনিটি কিচেন খুলে সেখান থেকে রান্না করা খাবার বাড়ি বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1879962212136247&id=100003674585580
১৯২৫ সালে সংগঠন তৈরির পর থেকে যে পথে হাঁটা শুরু হয়েছিল। আজ ৯৫ বছর বাদেও সেই একই পথে হাঁটছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)। গোটা বিশ্ব যখন করোনা আতঙ্কে কাঁপছে তখন প্রচারের আলো থেকে অনেক দূরত্ব বজায় রেখে চুপচাপ কাজ করে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছড়িয়ে থাকা আরএসএসের স্বয়ংসেবকরা। তাঁদের কট্টর সমালোচকরা যখন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গোমূত্র ও গোবর খাওয়া মানুষগুলি কোথায় গেলে বলে কটাক্ষ করছেন! তখন সামর্থ্য অনুযায়ী লকডাউনের ফলে সমস্যায় পড়া প্রান্তিক মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন স্বয়ংসেবকরা। মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে শুরু করে কেরলের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে ঘুরে ঘুরে ধর্মমত নির্বিশেষে সমস্ত গরিব মানুষের হাতে স্যানিটাইজার, মাস্ক ও খাবারের প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন। আর এই কাজগুলি করছেন কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসনগুলির নিয়ম মেনেই।
অজয্যাং চ বিশ্বস্য দেহীশ শক্তিম্সুশীলং
জগদ্ যেন নম্রং ভবেৎশ্রুতং
চৈব যৎ কণ্টকাকীর্ণমার্গম্স্বয়ং
স্বীকৃতং নঃ সুগং কারয়েৎ ।।