এবার পুজোয় নতুন কর্ম সংস্থান

দুর্গাপুজোয় টবে অঙ্গজ জনন (বা কলম) করে তৈরি বেল, কলা, নবপত্রিকার গাছগুলি বেচে প্রচুর লাভ করুন। গাছ সম্পর্কে অভিজ্ঞজন, নার্সারীম্যান, শখের গাছপালক অথবা চাষীরা এই কাজের পরিকল্পনা করুন। পুজো কমিটিগুলির কাছে আগেভাগেই বলুন, আপনি টবের চারাগুলি সময়ের মধ্যে সাপ্লাই দিতে পারবেন। এতে পুজোর পরও গাছগুলি থেকে যাবে এবং পুজো উপলক্ষে নতুন গাছ পালনের একটা নতুন মাত্রা যোগ হবে। এটা পরিবেশ-বান্ধব ব্যবসা। পুজোর বোধনের জন্য বেলশাখা মটমট করে ভেঙে আনা কাজের কথা নয়। আর সেই বেলগাছের শুকনো ডাল পুজোমণ্ডবের চারিদিকের চাকচিক্যে একদমই বেমানান।

সারা রাজ্যে কয়েক লক্ষ টবের বেল ও কলা চারা বিক্রি হবে। নার্সারীম্যান প্রস্তুতি নিক। দশকর্মা ভাণ্ডারে টবের গাছও বিক্রি করতে আসুক চাষী। এখানে অন্য সামগ্রীর সঙ্গে গাছও বিক্রি হবে। অনেকের প্রশ্ন গাছে ফল না এলে তা পুজোয় লাগে না। বীজের গাছে ফুল-ফল আসতে দেরী হলেও, টবের গাছে কলম করে চারা করলে ফুল ও ফল প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এসে যায়। আজকাল এরকম বহু বেঁটে জাতের কাঁটাবিহীন বেলের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। বেঁটে জাতের কলাগাছ যেমন গ্র্যাণ্ড নাইনি বা G-9 একটি ভালো জাত। এটা বড় টবে চাষ করা যায়। মণ্ডপের দুই পাশে জীবন্ত কলাগাছের জন্য বড় পুজো কমিটি ছয়-সাতশো টাকা বা নিদেন পক্ষে চার-পাঁচশো টাকা খরচ করতেই পারে।

কলমের চারা তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে বর্ষার শুরুতেই। সুযোগ থাকলে এখনই। পরিবেশবিদ ও বাগানবিলাসিরা নিয়মিত এই পোস্টটি দিয়ে চারাকুশলীদের উৎসাহিত করুন। একটা টবের ফলসমেত বেলগাছ বিক্রি হতে পারে আড়াইশো থেকে পাঁচশো টাকা। তৈরি করতে খরচ টব সমেত বড় জোর একশো টাকা। সারা রাজ্যে প্রয়োজন কয়েক লক্ষ বেলগাছ। সেই সঙ্গে কয়েক লক্ষ কলাগাছ। তাহলে কত টাকা রোজগার করতে পারবেন সবাই মিলে। নবপত্রিকার গাছগুলিও টবে তৈরি করা যায়। কোনো কমিটি চাইলে, নার্সারীম্যান সেগুলিও তৈরি করে দিতে পারেন। প্রায় নিয়মিত এটা প্রচারে আনা দরকার। পুজোর বাকী আর কয়েক মাস।

@কচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.