হরিণঘাটার বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের শিক্ষাগত যোগ্যতা হল তিনি মাত্র চতুর্থশ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনো করেছেন। তাই তাঁকে নিয়ে বামপন্থীরা সোশাল মিডিয়াতে খিল্লিতে মেতেছে। কিন্তু ঐ সব বামপন্থীরা জানে না যে অসীম সরকার একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কবিগান শিল্পী। আসলে সবাইকে যে প্রথাগত ডিগ্রী দিয়ে মাপা যায় না- এই বোধটা অনেক বামপন্থীর নেই।
এরা কখনো ভেবে দেখে না বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দুই আবিস্কারক মাইকেল ফ্যারাডে ও টমাস ভালভা এডিশনের প্রথাগত শিক্ষা খুব বেশী ছিল না। কিন্তু এঁরা দুজন স্বশিক্ষিত হয়ে নিজেদের প্রতিভার বলে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আবিস্কারকেদের মধ্যে অন্যতম হতে পেরেছিলেন। রবি ঠাকুর ক্লাশ সেভেন পর্যন্ত স্কুলে পড়েছিলেন। রামকৃষ্ণদেব মাত্র একদিনের জন্য গ্রামের পাঠশালায় গিয়েছিলেন। তারপরে আর কোনদিন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে যান নি। অথচ তৎকালীন যুগের কোলকাতার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিত মানুষজন তাঁর কথা শোনার জন্য দক্ষিণশ্বের ভীড় জমাতেন। স্বামী বিবেকানন্দ অত্যন্ত সাদামাটা রেজাল্ট করে BA পাস করেছিলেন। অথচ তিনি পৃথিবীর সর্বকালে সেরা বাগ্মীদের একজন ছিলেন। লালন ফকির, কাজি নজরুল ইসলাম, মহম্মদ রফি, জ্ঞানী জৈল সিং এর প্রথাগত ডিগ্রী তেমন ছিল না বা থাকলেও খুব কম ছিল। শচীন তেন্ডুলকরের মতো কিম্বদন্তী মাত্র ছয় নম্বরের জন্য উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করেছিলেন। তার পরে তিনি আর পড়েন নি। এই রকম আরো অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়।
শুধু ডিগ্রী দিয়ে মানুষকে বিচার করার মতো ভুল আর কত দিন করে যাবেন বামপন্থীরা ?
বামাখ্যাপা