মেঘে ঢাকা তারা

বিনায়ক দামোদর সাভারকর।তিনি হচ্ছেন সেই ব্যক্তি, যিনি দেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে নিজের জীবনটিকে উৎসর্গ করেছিলেন। ব্রিটিশ কারাগারে অসংখ্য নির্যাতনের চিহ্ন ধারণ করেছিলেন নিজ শরীরে। কংগ্রেসের পাঁচতারা, সাততারা নেতারা যখন ব্রিটিশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার রাজনীতিতে ব্যস্ত থেকেছেন, এবং মাঝে মাঝে ব্রিটিশেরই অতিথেয়তায় কারাগারের অভ্যন্তরে নিরুপদ্রবে দিন কয়েক সাহিত্য রচনায় ব্যাপ্ত থেকেছেন, তখন বিনায়ক দামোদর সাভারকরই সেই ব্যক্তি যিনি আন্দামনের কারান্তরালে অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করেছেন। সাভারকর হচ্ছেন সেই বিপ্লবী—যিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও, কংগ্রেস আমলে, সরকারের রোষানলে পড়েছেন। সারা জীবন কুৎসা ও মিথ্যা অপবাদের বোঝা বহা এক ভাস্বর, মহান, উপেক্ষিত বীরই হচ্ছেন বিনায়ক দামোদর সাভারকর। এও স্বীকার করতেই হবে, এদেশের নেহরুপন্থী ও বামপন্থী ঐতিহাসিকদের রচিত স্বাধীনতার ইতিহাসে সাভারকর উপেক্ষিতই থেকে গেছেন। শুধু উপেক্ষিতই নয়, মিথ্যা বিকৃতিতে তার চরিত্রকে ম্লান করার চেষ্টা চলেছে। ফলত, দেশের এক গরিষ্ঠাংশ মানুষের কাছে সাভারকরের প্রকৃত মূল্যায়ন হয়ইনি। সাভারকর মানুষটি কেমন, স্বাধীনতার আন্দোলনে তার ভূমিকাটি ঠিক কেমন ছিল— এরকম বহু তথ্যই তাদের কাছে অজানা থেকে গিয়েছে। আর এর সুযোগ নিয়েছে কিছু স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক মহল, নিজের স্বার্থে ভারতকে বিকিয়ে দেওয়া একটি রাজনৈতিক প্রভাবশালী পরিবার। সুভাষচন্দ্র বসুকে ‘তোজোর কুকুর’ আখ্যা দেওয়া বামপন্থীরা যেমন সাভারকর সম্পর্কে কুৎসা রটনায় উৎসাহ দেখিয়েছেন, দেখাচ্ছেনও তেমনই আজাদ হিন্দ ফৌজের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ আছে যে পরিবারের বিরুদ্ধে, তাদের বর্তমান বংশধরেরা নিজেদের পূর্বপুরুষের অন্যায়কে আড়াল করতে এখনো সাভারকরকে দেশবাসীর সামনে এক বিশ্বাসঘাতকের রূপ দিতে চাইছেন। অবশ্য, এই কীর্তিমান পরিবারটির বর্তমান প্রজন্মের মতো এত স্বল্পশিক্ষিত ব্যক্তি বোধকরি এর আগে জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির আসন অলংকৃত করেননি। সে যাক। কিন্তু সাভারকরের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বর্ষিত হওয়া এই ঘৃণা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রকৃত জবাব একমাত্র হতে পারে তার জীবনের উল্লেখযোগ্য পর্বগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করা। বিশেষ করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে তার সক্রিয় আন্দোলনের পর্বটি নিখুঁত পর্যালোচনা করা। তাতে এটুকু অন্তত পরিষ্কার হবে, স্বাধীন ভারতে দুধ ও মাখনে পরিপুষ্ট নেহরুপন্থী এবং বামপন্থীরা সাভারকর সম্বন্ধে যাই বলুন না কেন, প্রকৃত তথ্য কিন্তু তা বলে না। বরং, প্রকৃত তথ্য এই নেহরুপন্থী এবং বামপন্থীদের দেশের মানুষ মিথ্যাবাদী, কুৎসা রচনাকারী হিসাবেই চিহ্নিত করে।
সাভারকরের জীবনের কিছু অংশ খুব সংক্ষিপ্তভাবে এখানে তুলে ধরা যাক। ১৮৮৩ সালের ২৪ মেমহারাষ্ট্রের ভাগুরে জন্ম বিনায়ক দামোদর সাভারকরের। তিন ভাইয়ের মধ্যে সাভারকর ছিলেন দ্বিতীয়। এখানে উল্লেখ্য, সাভারকরের প্রত্যেক ভাই-ই স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয় জড়িত ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই সাভারকরের মেধা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তিনি পড়াশোনা করতে পছন্দ করতেন। বিভিন্ন বিষয়েই তাঁর জ্ঞানের পরিধি ছিল গভীর। তুখোড় স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন সাভারকর ১৯০১ সলে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার পর নাসিক থেকে পুনে চলে আসেন। সময়টা ১৯০২। পুনের ফাগুসন কলেজে ভর্তি হন তিনি। এই ফার্গুসন কলেজে পড়ার সময়ই সাভারকর বিপ্লববাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। ফাগুসন কলেজে পড়ার সময়ই ১৯০৪ সালে ‘মিত্র মেলা’নামে একটি বিপ্লবী সংগঠন গড়ে তোলেন সাভারকর এবং দুশো যুবককে সংগঠিত করে একটি সভাও ডাকেন। পরে অবশ্য এই মিত্র মেলার নাম বদলে দেন অভিনব ভারত। ১৯০৬ সালে এই অভিনব ভারতের নেতৃত্ব তার তিন বিপ্লবী সহকর্মী হেমচন্দ্র দাস, মির্জা আব্বাস এবং বাপটের হাতে সমর্পণ করে উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন। সাভারকর। ইংল্যান্ডে পদার্পণ করে তার সঙ্গে আলাপ হয় শ্যামজী কৃষ্ণবর্মার। অবশ্য আলাপ হওয়া বলাটা ভুল হবে। শ্যামজী কৃষ্ণবর্মার দেওয়া বৃত্তির অর্থেই সাভারকর বিদেশে গিয়েছিলেন। বিলেতে কৃষ্ণবর্মার সঙ্গে সাভারকরের চাক্ষুষ পরিচয় হয়। কৃষ্ণবর্মা ইউরোপ প্রবাসী ধনী ভারতীয়দের থেকে চাদা তুলে কয়েকজন ভারতীয় যুবককে পাশ্চাত্যে নিয়ে যান। সাভারকর ছিলেন তাদের ভিতর একজন। কৃষ্ণবর্মার উদ্দেশ্য ছিল, এই ভারতীয় যুবকদের বিপ্লবের মন্ত্রে দীক্ষিত করে তাদের বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে অংশীদার করা। এই কাজে কৃষ্ণবর্মাকে সাহায্য করতেন শ্রীধর রঞ্জিত রানা নামে এক ভারতীয় ব্যবসায়ী। কৃষ্ণবর্মা এই ভারতীয় যুবকদের নিয়ে গুপ্ত বিপ্লবী সমিতি গঠন করেছিলেন। এই গুপ্ত বিপ্লবী সমিতিরই সদস্য ছিলেন মদনলাল ধিংড়া। লন্ডনে কার্জন উইলিকে হত্যা করেছিলেন ধিংড়া। শ্যামজী কৃষ্ণবর্মা ১৯০৫ সালের জানুয়ারি মাসে লন্ডনে ইন্ডিয়ান হোম রুল সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করে ইন্ডিয়ান সোশিওলজিস্ট নামে একখানি পত্রিকা প্রকাশ করতে শুরু করেন। এই ইন্ডিয়ান হোমরুল সোসাইটি ছিল বিলেতে আশ্রয় নিয়ে গুপ্তসংগঠন চালিয়ে যাওয়া ভারতীয়দের মিলন কেন্দ্র। শ্যামজী কৃষ্ণবর্মাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্যারিসে গিয়ে বোমা তৈরির প্রণালী শিখতে সাহায্য করেছিলেন হেমচন্দ্র কানুগোকে। দুর্ভাগ্য যে, নেহরুপন্থী ও বামপন্থী ঐতিহাসিকরা স্বাধীনতা আন্দোলনে শ্যামজী কৃষ্ণবর্মার ভূমিকারও যথাযথ পর্যালোচনা করেননি। বরং কৃষ্ণবর্মাও অনেকখানিই উপেক্ষিত থেকে গেছেন।
বিলেতে সরাসরি কৃষ্ণবর্মার সংস্পর্শে এসে সাভারকর সক্রিয়ভাবে বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের অংশীদার হয়ে উঠলেন। ১৯০৯ সালে মদনলাল ধিংড়া যে কার্জন ইউলিকে গুলি করে হত্যা করেন, শোনা যায়, সেই বৈপ্লবিক পরিকল্পনায় সাভারকরও জড়িত ছিলেন। লন্ডনে অবস্থানকালে এরকমই আরও নানাবিধ বৈপ্লবিক পরিকল্পনায় সাভারকরের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে। কোনো কোনো সাভারকর গবেষক এমনও তথ্য দিয়েছেন যে, এই লন্ডনে অবস্থানকালেই সাভারকরের সঙ্গে রুশ বিপ্লবের জনক ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের বৈঠক হয়। তবে, এই একান্ত বৈঠকে দুজনের ভিতর কী আলোচনা হয়েছিল, সে তথ্য অবশ্য তারা দিতে পারেননি। কিন্তু এটা সহজেই অনুমান করা যায় লেনিনের সঙ্গে সাভারকরের সেই আলোচনায় ভারতের মুক্তি সংগ্রামে সশস্ত্র অভুত্থানের কথা উঠে এসেছিল। কারণ, লেনিনও সেই সময় রাশিয়ায় জারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভ্যুত্থানের কথাই চিন্তা করছিলেন। ব্রিটিশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অপরাধে সাভারকরকে ১৯১০ সালের ১৩ মার্চ লন্ডনে গ্রেপ্তার করা হয়। এবং বন্দি অবস্থাতেই বিচারের জন্য জাহাজে করে মুম্বই ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ সরকার। কিন্তু সমুদ্রপথে ফরাসি উপকূলের কাছে জাহাজ থেকে ঝাঁপ দিয়ে উত্তাল সমুদ্র সাঁতরে পালাবার চেষ্টা করেন সাভারকর। তাতে অবশ্য তিনি সফল হননি। তাকে বন্দি করে ব্রিটিশ সেনা। পরে মুম্বাইয়ে বিচারের নামে প্রহসন চালিয়ে তাকে। পঞ্চাশ বছরের জন্য সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাভারকরকে প্রথমে পাঠানো হয় আন্দামানে। দীর্ঘদিন সেখানে থাকার পর তাঁকে রত্নগিরি জেলে পাঠানো হয়। চোদ্দ বছর কারাবাসের পর ভগ্নস্বাস্থ্য সাভারকর ১৯২৪ সালে ৬ জানুয়ারি রত্নগিরি থেকে মুক্তি পান। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যে, তিনি রত্নগিরি জেলের বাইরে যেতে পারবেন না। আন্দামানে কী অকথ্য অত্যাচারের ভিতর সাভারকরকে কাটাতে হয়েছিল, তা সেই সময় তার সহবন্দিদের স্মৃতিচারণাতেই জানা যায়। একটি নির্জন সেলে হাতে-পায়ে লোহার বেড়ি পরিয়ে রাখা হতো সাভারকরকে। যখন-তখন অকথ্য অত্যাচার করা হতো। তার মধ্যে অন্যতম ছিল ইলেকট্রিক শক। এই অত্যাচারে সাভারকরের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলোকেরত্নগিরি কারাগারে সরিয়ে আনা হয়। রত্নগিরি কারাগার থেকে সাভারকরের মুক্তির বিষয়টি নিয়েই নেহরুপন্থী ও বামপন্থীরা কুৎসা রটনা করে থাকেন। অর্ধসত্য প্রচার করে থাকেন। নেহরুপন্থী ও বামপন্থীরা বলেন— ব্রিটিশের কাছে মুচলেখা দিয়ে সাভারকর জেল থেকে বেরিয়ে। এসেছিলেন। কংগ্রেসের স্বল্পশিক্ষিত নেতা রাহুল গান্ধীও সাভারকরের সমালোচনা করতে গিয়ে এই একই কথা বলে থাকেন। ইতিহাসকে বিকৃত করার কংগ্রেসি ও বামপন্থী ঘৃণ্য প্রয়াসের এর থেকে উৎকৃষ্ট উদাহরণ আর কিছু হতে পারে না। একথা ঠিক, সাভারকর রত্নগিরি জেল থেকে শর্তাধীনে মুক্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু তার পিছনেও সাভারকরের একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। সেই কৌশলটি পরবর্তীকালে প্রকাশ পেয়েছিল। যেটি বামপন্থী ও নেহরপন্থীরা সুকৌশলে গোপন করেন। কারাগারে ব্রিটিশ অত্যাচারে ভগ্নস্বাস্থ্য সাভারকর বুঝতে পারছিলেন, তাঁর বাকি জীবনটুকু যদি এই কারান্তরালেই কেটে যায়, তাহলে স্বাধীনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা তার আর সম্ভব হবে না। বরং কোনো কৌশলে যদি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে অন্তত গোপনেও বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে সাহায্য করা যায়, সেটাই উপযুক্ত হবে বলে মনে হয়েছিল তাঁর। এবং সেই পথই তিনি বেছে নিয়েছিলেন। শর্তসাপেক্ষে কারাগার থেকে বেরিয়ে এলেও গোপনে বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া থেকে বিরত ছিলেন না সাভারকর। সুভাষচন্দ্রের জার্মানি যাওয়া ও পরে আজাদ হিন্দ বাহিনী। গঠন— এর পিছনে ছিল সাভারকরের এক সক্রিয় অবদান। রাসবিহারী বসু জাপান থেকে সাভারকরকে অনুরোধ জানান, এক যোগ্য ভারতীয় যুবককে জাপানে পাঠাতে। যার নেতৃত্বে এক সেনাবাহিনী গড়ে তুলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আঘাত হানা যাবে। সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে সাভারকরের মুম্বইতে বৈঠকও হয়। অবশ্য তখন সুভাষচন্দ্র কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। পরে যখন সুভাষচন্দ্র জার্মানি হয়ে জাপানে পৌঁছন এবং গড়ে তোলেন আজাদ হিন্দ বাহিনী—তখন পরিষ্কার হয়ে যায়। রাসবিহারী-সাভারকরের পরিকল্পনাটি। সাভারকর গবেষকরা এও বলেন, মুম্বইতে সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে সেই বৈঠকেই সাভারকর রাসবিহারীর পরিকল্পনার কথা সুভাষকে জানান। এবং এই পরিকল্পনাটিই সুভাষচন্দ্র পরবর্তীতে কার্যকর করেন।
আসলে সাভারকররা কখনো হারেন না। হাজার কুৎসা তাদের স্নান করতে পারে না। নেহরুপন্থী এবং বামপন্থীরা অজস্র কুৎসা রটাতেই পারেন বিনায়ক দামোদর সাভারকরের বিরুদ্ধে, তবু ভারতের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে সাভারকর একজন ভাস্বর, মহান বীর হিসাবেই চিহ্নিত হয়ে আছেন, থাকবেনও। স্বাধীন ভারতের কংগ্রেস ও বামপন্থীদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন সাভারকর। মিথ্যা অভিযোগ এনে গান্ধীহত্যায় অভিযুক্ত করা হয় তাকে। অবশ্য আদালতে সে অভিযোগ ধোপে টেকেনি। বেকসুর খালাস পান সাভারকর। নির্লজ্জ কংগ্রেস সরকার সাভারকরের মতো বিপ্লবীর পারিবারিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার মতো ঘৃণ্য কাজ করতেও পিছুপা হয়নি। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বাকি জীবনটুকু সাভারকর লড়াই করেছেন সামাজিক ন্যায়ের জন্য। জাতপাত ও অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে তার লড়াইটিও স্মরণীয়।তবু, এই সাভারকরও শেষ জীবনে ভুগেছেন নিঃসঙ্গতা ও স্বপ্নভঙ্গের বেদনায়। এই আপোশহীন, নিঃসঙ্গ যোদ্ধার প্রকৃত পর্যালোচনাই হবে তাঁর প্রতি প্রকৃত সম্মান।
রন্তিদেব সেনগুপ্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.