অবসরকালে যে কর্মীরা মাসিক পেনশন পায় না, তারা যাতে বৃদ্ধবয়সে অনাহারে না থাকে, তাই চাকুরীকরা কালীন মাসে মাসে বেতন থেকে টাকা জমায় অবসর কালের জন্য, লেবার ল অনুযায়ী যার অর্ধেক দেয় কর্মী আর অর্ধেক দেয় কর্মদাতা! সেটাই প্রভিডেন্ট ফান্ড। যা এখন ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। নিয়ম হলো, যে টাকা জমাবে, তার উপর মাসিক একটা সুদ যোগ হবে,যা কর্মী অবসরে গেলে এককালীন দেবে।
কার্ল মার্ক্সের (দাস ক্যাপিটালের (তিন ভলিউম ছাপা হয়েছে ১৮৬৭-১৮৯৪ এর মধ্যে) ক্যাপিটালিস্ট দেশ জার্মানির প্রভিডেন্ট ফান্ড সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করলেই সহজে বুঝবেন, কি নিয়মে উন্নত দেশে এই ফান্ড চলে!
১৮৮৩ সাল থেকে জার্মানিতে কাইজার বিসমার্ক সব নাগরিকদের জন্য সোশ্যাল ইন্সুরেন্স ( স্বাস্থ্য বীমা, দুর্ঘটনা বীমা, পেনশন বীমা) সিস্টেম চালু করে, সরকারি, বেসরকারি সব কর্মীর জন্য ।থালা বাসন ধোয়ার কাজ করুক কি পাদ্রীর কাজ করুক। পরে তার সাথে যুক্ত হয় কর্ম-অক্ষম হবার বীমা, বেকার ভাতার বীমা, অসুস্থকালীন নার্সিং বীমা। আসলে যেহেতু মৌলিক চাহিদা মেটাবার দায় সরকারের, তাই সরকার নানা রকম সোশ্যাল ইন্সুরেন্স চালু করে, ট্যাক্স পেয়ারদের টাকা বাঁচাতে চেয়েছে। আজকাল মাতৃত্ব বা পিতৃত্ব ছুটি চালু হয়েছে, যার জন্য এক্সট্রা কোনো প্রিমিয়াম দিতে হয় না। আমি যখন বাড়ি থেকে কাজে বের হই ও কাজ শেষ করে বাড়ি আসি, রাস্তায় কি অফিসে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তার জন্য আমার বীমা করা থাকে, যে প্রিমিয়াম একা কোম্পানি দেয়। আমি নিজেও কাজের সময় রাস্তায় খাবার খেতে গিয়ে কার একসিডেন্টে আমার উপরের হাঁটুর ১ ইঞ্চি হাড় গুঁড়ো হয়ে যাওয়াতে, ৮ বার যে অপারেশন হয়, ও দীর্ঘদিন কর্মক্ষমতা হারাই, তেমনি দীর্ঘদিন ৫০% কাজ করার ক্ষমতা ছিল, ওই ইন্সুরেন্স সেই ক্ষতি পূরণ করেছে। যদি পূর্ণ কর্ম অক্ষম হতাম, এক্সিডেন্ট হবার পূর্বে ১ বছরে গড়ে যা আয় করেছি, সেই টাকা ইন্সুরেন্স কোম্পানি পেনশনে যাবার পূর্ব পর্যন্ত দিতো।
সব সোশ্যাল সিকিউরিটি বীমার ৫০% দেয় কর্মী, আর বাকি ৫০% কর্মদাতা। তবে মেডিক্যাল ইন্সুরেন্স বীমার আওতায় তারাই পড়ে, যাদের মাসিক আয় ৪৫০ ইউরোর বেশী। যাদের মাসিক আয় ৪৫০ ইউরো পর্যন্ত বা কোনো আয় নেই, তাদের মেডিকেল ইন্সুরেন্স ও মৌলিক চাহিদা মেটাবার দায় সরকারের। কিন্তু যত টাকাই আপনি মেডিক্যাল ইন্সুরেন্স দেন না কেন, চিকিৎসা সবার জন্য সমান! কর্মীকে মূল বা গ্রস বেতনের ৭.৩% মেডিকেল ইন্সুরেন্স , পেনশন ইন্সুরেন্স ৯.৩%,বেকার ভাতা ১.২%, নার্সিং ইন্সুরেন্স খাতে ১.৫২৫% দিতে হয়, তেমনি কর্মদাতা কেও সমান ভাবে দিতে হয়! যা সুইজারল্যান্ডে নেই! বেতন থেকে এই ইনসুরেন্স কেটে নেবার পর দিতে হয় ইনকাম ট্যাক্স ও খ্রিস্টান হবার জন্য ধর্ম ট্যাক্স তেমনি ইস্ট জার্মানি উন্নয়ন ট্যাক্স। যাদের মাসিক গ্রস আয় কম বেশি ৯৫০ ইউরোর নিচে, তারাই দারিদ্র সীমার নিচে! একজন জজের বেতন মাসে গড় পরতা ৩৮০০ ইউরো, একজন MP ৮০০০ ইউরো, একজন uপ্রফেসর এর বেতন গড়পরতা ৮৫০০ ইউরো ও এক্জন রেস্টুরেন্টে থালা বাসন মাজনকারীর বেতন গড়ে ১৮০০ ইউরো।সরকারি কাজ যারা করে, তাদের পেনশন সরকার মানে নাগরিকরা দেয় ! এঙ্গেলা মের্কেল এর বেতন সব মিলিয়ে মনে হয় রেস্টুরেন্টে থালাবাসন ধোয়া কর্মীর বেতনের ৯ গুণ।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর চালু হয় সর্বসাধারণের পেনশন এর জন্য জেনারেশন চুক্তি। কারণ তখন সরকারি ফান্ডে আর পুরানো টাকা ছিলো না। মানে আমরা যারা বেসরকারি কাজ করি, তারা পেনশন ফান্ডে যে টাকা জমাবো, সেই টাকা দিয়ে বর্তমানে যারা পেনশন পায়, তাদের কে পেনশন দেয়া হবে, আর আমরা যখন পেনশনে যাবো, তখন যারা কাজ করে পেনশন ফান্ডে জমাবে, সেই টাকা দিয়ে আমাদের পেনশন হবে! পেনশন ইনসুরেন্স দিন দিন বাড়ছে, কারণ পেনশন প্রাপ্তর সংখ্যা বেশী ! আমরা যা দেই , তার অনেক কম পাবো! তাই আজকাল সরকার মিনিমাম পেনশন চালু করেছে তাদের জন্য যারা ৩৫-৪০ বছর কাজ করে পেনশন ফ্যানে জমা দিয়েছে! তারা মিনিমাম মাসেও ১২০০ ইউরো পাবে, সময় স্ত্রী মনে হয় ১৯৫০ ইউরো। যাতে বার্ধক্যের দারিদ্রতা গ্রাস না করে। এই সমাজের প্রত্যেকের সন্তান আসলে আমার সন্তান। তারা কাজ করে টাকা পেনশন ফান্ডে জমা দিলেই, আমার বুড়ো বয়সে পেনশন জুটবে। পরের ছেলে পরমানন্দ, যতই উচ্ছন্নে যায়, ততই আনন্দ- কলকাতার এই প্রবাদ এ দেশে চলে না! কারণ আমরা সমাজের সব সন্তানের উপর নির্ভশীল। তাই সরকার চায়, নাগরিকরা বেশি করে যোগ্য সন্তান জন্ম দিক! সন্তান জন্ম দেবার ভাতা দেয় সন্তানের ২৬ বছর বয়স পর্যন্ত! যদিও বিদেশী যারা থাকে, তারা ট্যাক্স দিয়ে কাজ ও করে খুব কম, তেমনি অধিক সন্তান জন্ম দিয়ে সন্তান ভাতা ও সব রকমের সোশ্যাল সিকিউরিটি র ভাতা নিয়ে বিশাল বড়লোক হয়ে যায়, ভবিষ্যতে এই দেশকে গণতান্ত্রিক ভাবে শরিয়তি দেশ বানাতে চায়, আর দামি দামি ধর্মস্থান বানায়! আর এটাই মূল কারণ জার্মান দের বিদেশী বিদ্বেষী হবার।
প্রতি মাসের বেতন থেকেই কর্মদাতা ইন্সুরেন্স ও ট্যাক্স কেটে নিয়ে বেতন দেয়, আর কর্মদাতা সরকারের ঘরে পৌঁছে দেয়! প্রত্যেকের একটা ট্যাক্স নম্বর থাকে! কার কত আয়, কে কোথায় কাজ করে, তার একটা ডাটাবেস আছে, যা সরকার এর নিয়ন্ত্রণে। প্রত্যেক কোম্পানির এক্সেস আছে নিজের কর্মীদের ডেটা দেখার। ডেইলি সরকার জানতে পারে, কোন নাগরিক কত আয় করছে, আর কোন কোম্পানি কর্মীদের থেকে টাকা নিয়ে সরকার কে দেয়নি। বিজনেস ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম থাকার জন্য , স্বয়ংক্রিয় ভাবে নির্দিষ্ট সময় পার হলেই, সতর্ক করে কর্মদাতার কাছে চিঠি যায়!
যদি NRC , CAA , ন্যাশনাল সিটিজেন রেজিস্টার না করে, এ সব সিস্টেম বানানো সম্ভব না। বিসমার্ক ১৪০ বছর পূর্বে জার্মানিতে বানিয়ে গেছে! আপনি নতুন কাজ নিলেও যেহেতু আপনার একটাই সোশ্যাল ইন্সুরেন্স নম্বর জীবনভর থাকে, তাই নতুন কর্মদাতা আপনার ইন্সুরেন্স সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেয় ! কর্মদাতা ৩ মাস পর পর আপনাকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয় যে আপনার জন্য কত জমা দিলো আর সরকার প্রতিবছর আপনাকে জানিয়ে দেয় আপনার হয়ে সরকারি ফান্ডে কত জমা পড়লো। অর্থাৎ কোম্পানি কত দিলো, আর সরকার কত দিলো, আপনি সহজেই চেক করতে পারেন। আর ওই দিন পর্যন্ত আপনার জমা পেনশন ইন্সুরেন্স দিয়ে আপনি পেনশনে গেলে কত পাবেন, যদি ওই রকম বেতনে কাজ করেই যান, ৬৭ বছর বয়সে পেনশনে গেলে কত পাবেন , সরকার প্রতি বছর আপনাকে জানিয়ে দেয়।
এবার প্রশ্ন আসে সরকার এই টাকা দিয়ে কি করে কোথায় ইনভেস্ট করে? সরকারি বোর্ড এই টাকা ইনভেস্ট করার নিয়ম করে দিয়েছে। কখনো সরকারি বা বেসরকারি বন্ড কেনে। সেই বন্ড কেনে, যে বন্ডে রিস্ক কম। মানে সুদ ও কম! বন্ড যারা ছাড়ে, তারা জানিয়ে দেয়, কোথায় ইনভেস্ট করছে! সরকার কে ধার দিচ্ছে মানে সরকারি বন্ড কিনছে না শেয়ার মার্কেট এর ইনডেক্স সার্টিফিকেট কিনছে না পুট কল কিনছে। সাধারণত টাকা ওদের একটা নির্দিষ্ট নিয়মে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে।কথার কথা ১০% সোনায়, ৫০ % সরকারি বন্ড, ২০% ইনডেক্স সার্টিফিকেট, বাকি তা ক্যাশ। যাতে লস হলে সব লস না হয়! যাতে ৩০ বছর পর কর্মী যে টাকা জমা দিয়েছে, অন্তত সেই টাকা পায়! আজকাল জার্মানির সরকারী বন্ড কিনলে, সুদ তো পাবেন না, সরকার কে এক্সট্রা টাকা দিতে হবে! মাইনাস সুদের জন্য! ৩ মাস থেকে ২৫ বছরের সুদ এর হার হলো -০.৫৮% থেকে -০.০৬৩% . অবাক হলেন কি? কারণ টাকার চাহিদা নেই! তাই সুদ কম! আর জার্মান সরকার এভাবে মাইনাস সুদ দিয়ে সরকারি ঋণ কমাচ্ছে!
জার্মানি তে মনে হয় এখন পেনশন ফান্ডে সুদের হার ১-১.৫%। ইন্ডিয়ান লেবার ইউনিয়ন চায় ৮% বা বেশি সুদ! বেশি সুদ পেতে চাইলে রিস্কও বেশি। লস ও হতে পারে! সেটা তারা মেনে নেয় না। বাকি রইলো কোম্পানি বন্ড কেনা। কোম্পানি দেউলিয়া হতেই পারে! কোনো কোম্পানি দেউলিয়া হলে, সেই দেশের আইন অনুযায়ী কোন ঋণ প্রথমে শোধ করে, তার একটা সরকারী নিয়ম থাকে। কর্মী বেতন, প্রভিডেন্ট ফান্ড সবার পূর্বে, তার পর ঋণ দাতা রা, সবার শেষে শেয়ার হোল্ডার রা পায়! ইন্ডিয়ান নিয়ম কি, জানিনা!
কোনো বন্ড বা কোম্পানির রেটিং সিস্টেম থাকে। সব সময় যে সঠিক রেটিং পাবে তার কোনো মানে নেই. তার উপর ভরসা করাও যায় না!রেটিং কোম্পানি নিরপেক্ষ হলেও নিরপেক্ষ নয় বাস্তবে! কিন্তু ওটাকেই সত্য ধরে সব ব্যবসা চলে। কারণ যারা রেটিং দেয় , তাদের পক্ষে সব চেক করা সম্ভব নয়! আর ইন্ডিয়ান ল অনুযায়ী কোম্পানি কতটা ট্রান্সপারেন্ট করতে সব কিছু বাধ্য, সেটাই একটা বিষয়! তেমনি পরামর্শ সংস্থা ঘুষ খেয়ে কোম্পানিকে আইনের মধ্যে থেকে জালিয়াতি করার সুযোগ দেয়, রেটিং বাড়ানোর জন্য ! কোম্পানি র সিইও ভাড়াটে কর্মী। তার কাজ হলো শেয়ার হোল্ডার ভ্যালু বাড়িয়ে নিজের আয় বাড়ানো। অন্য কোম্পানি তে আরও বেশি বেতনে ceo গিরির কাজ নেয়া! সাধারণ কর্মী র স্বার্থ দেখা বা কোম্পানি কে দীর্ঘমেয়াদি লাভজনক করার কাজ ভাড়াটে সিইও রা করে না! তবে টাটা , গুগল,. ফেসবুক BMW র ভাড়াটে সিইও কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ দেখে, কারণ অনেক শেয়ার কোম্পানি যে বানিয়েছে তার ব্যক্তিমালিকানায় থাকে। সিইও দের তাদের শাস্তিও হয় না, ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে কোম্পানির ক্ষতি করলে!
মূল সমস্যা সঠিক আইনের ও সেই আইন ইমপ্লিমেন্ট করার! যে দেশে সরকারি বা বেসরকারি দল কোম্পানি র দানে চলে, সেই দেশে কোনো কিছুই নিরাপদ নয়! জনগণের ট্যাক্স এ দল চলুক। যোগ্য লোক জনপ্রতিনিধি হোক। ফুলন দেবী বা শচীন তেন্ডুলকর না হেমা মালিনী বা মতুয়া বাড়ির সেভেন পাশ করা গৃহবধূ যদি MP হয়, আর তারা যদি সরকার এর পলিসি নির্ধারণ এর সাথে যুক্ত থাকেন তা হলে দেশ বা তাদের ভোটার কি আশা করতে পারবে তাদের থেকে সেটাই ভাবুন!
কাজেই মূল সমস্যা হলো দেশে যোগ্য সৎ জনপ্রতিনিধি ভোটার রা নির্বচিত না করায় , তারা সঠিক আইন বানাতে পারেনি ও আইনের ইম্প্লিমেনটেশন ও তদারকি করতে পারেনি। এবার ভোট দিতে যাবার সময় এই বিষয় টি মনে রাখবেন। আর অন্য দেশে কোন আইন কেন হলো, বুঝে নিজের দেশের মত মডিফিকেশন করে ইম্প্লিমেন্ট করবেন, নতুবা cpim এর মার্ক্সবাদী রাজনীতি র মত অবস্থা হবে! মার্ক্স কোন সময়ে কোন দেশে কোন আবহাওয়া তে কোন আইন ও অর্থিনীতের আওতায় থেকে কোনো ধর্মীয় সমাজে কোন খাবার খেয়ে কোন নীতি সেই সময়ের সেই সমাজের জন্য লিখে গেছে, সেটা কি আজকের বাংলায় প্রযোজ্য? ইসলামিক আইনের ক্ষেত্রেও একই কথা। কার্ল মার্ক্সের সাবধান বাণী শুনে বিসমার্ক কিন্তু সোশ্যাল সিকিউরিটি সিস্টেম চালু করে গেছে, das Kapital এর তৃতীয় খণ্ড প্রকাশিত হবার পূর্বেই।
দরকার সময়ের উপযোগী সঠিক সংস্কার। কিন্তু যে দেশের বিরোধী দল জনস্বার্থে সরকার এর সাথে যৌথ ভাবে কাজ করে না , সেই দেশের নাগরিকদের টাকা চিট ফান্ডে র ফাঁদেই পড়বে। আর পয়সা খেয়ে বানানো কংগ্রেসি আইন এমন যে, এই সব অন্যায়কারী দের শাস্তি হবে না! সারদা নারদা কেলেঙ্কারি করেও যদি সরকারি দল ভোট পায়, সে দেশে দুর্নীতি দূর হবে কি করে?
জ্ঞান থাকলে সবার প্রথমেই নাগরিক কে, কার কি পরিচয়, কে কি পারে, কার কি আছে, কে কত ট্যাক্স দিতে বাধ্য, কার কি ব্যালান্স শিট, কে কি আকাম বা ভালো কম করেছেন, তা চিহ্নিত করুন! সঠিক ব্যক্তি কে জনপ্রতিনিধি বানান! ১০,০০০ টাকা বেতন নিয়ে কোনো যোগ্য লোক সৎ ভাবে ২৪x ৩৬৫ দিন সৎ ভাবে কাউন্সিলর গিরি করবে? পেটের তাগিদেই সে চুরি করবে! যেমন কর্ম তেমন ভারতীয়রা ফল পাচ্ছে!
মৃণাল মজুমদার