রাজস্থানের ” দ্য সোসাইটি ফর দ্য মিশন সিস্টার্স অব আজমির” সংস্থাটির পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে এলআরও। কিন্তু বর্তমানে এই সংস্থার বিরুদ্ধে নিয়মবিধি লঙ্ঘন সহ বেআইনীভাবে বিদেশী তহবিলের ৪.৩৪কোটি টাকা ব্যবহার করে অবৈধভাবে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তাদের নিশানায় রয়েছে মূলত সাজাপ্রাপ্ত বন্দী, অসুস্থ মানুষ এবং অ-খ্রিস্টানরা। এখানে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হ’ল জার্মান-ভিত্তিক ক্যাথলিক খ্রিস্টান সংস্থা মাইসরেয়র এদের বিদেশ থেকে অনুদান সরবরাহ করছে এবং এরা ইতিমধ্যেই এইচআরএলএন -এর সাথেও যোগাযোগ স্থাপন করে ফেলেছে। এই প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া ভালো যে, এইচআরএলএন হ’ল সেই ‘বিখ্যাত’ সংস্থা যারা দিল্লির দাঙ্গার সাথে জড়িত দোষীদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছিল এবং তাদের আইনী সাহায্যও করেছিল। “দ্য হিউম্যান রাইটস্ ল’ নেটওয়ার্ক” (এইচআরএলএন)- এর তরফে একদল আইনজীবীদের নিযুক্ত করা হয় দিল্লি দাঙ্গায় অভিযুক্তদের হয়ে মামলা লড়ার জন্য এবং এই আইনজীবীরা ইউরোপীয় চার্চের থেকে ৫০ কোটি টাকা নিয়েছিলেন। এই বিশাল অঙ্কের টাকা ব্যবহার করা হয়েছিল দাঙ্গাবাজদের (সিএএ বিরোধী দাঙ্গাকারীরা) এবং শাহীনবাগ ‘আন্দোলনকারীদের’ আইনী সহায়তা দেওয়ার জন্য। সাফোরা জার্গার নামের একজন গর্ভবতী মহিলাও এরমধ্যে ছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে এলআরও এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
গত সেপ্টেম্বরে, বিদেশী তহবিল ব্যবহার করে এদেশে দাঙ্গা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করার জন্য ক্যালিনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছিল এলআরও। এই একই ইউরোপীয় ক্যাথলিক সংস্থা “দ্য সোসাইটি অফ দ্য মিশন সিস্টার্স অব দ্য আজমের” কে অর্থ সরবরাহ করে। ইউরোপের প্রধান চারটি খ্রিস্টান সংস্থার মধ্যে এটি একটি যারা এদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।