ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত অগণিত লাল-হলুদ সমর্থক। কারণ ইস্টবেঙ্গল ও বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্টের মধ্যে এখনও চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। ফলে আগামী মরসুমের জন্য দল গঠন হওয়া তো অনেক দূরের কথা, ক্লাবের ভবিষ্যৎ বিপন্ন। এবার বিদেশে থাকা একাধিক লাল-হলুদ সমর্থক খোলা চিঠি লিখলেন ক্লাব কর্তা ও বিনিয়োগকারীর উদ্দেশে। সেই চিঠিতে লাল-হলুদের প্রবাসী সমর্থকরা লিখেছেন…
তিন বছরের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করছি আমরা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে সংবাদ মাধ্যমে নানা মন্তব্য করছেন বিনিয়োগকারীদের কর্ণধার। আমরা ক্লাবের সমর্থক। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছাড়াও অনেকে বিদেশে থাকি। তবে ক্লাব ও দলের সব খবর রাখি। তাই কয়েকটি প্রশ্ন উঠে আসছে।
১: বিনিয়োগকারীরা নতুন চুক্তিপত্রে সই চাইছেন। যদিও কর্তারা ক্লাব বিক্রি করে চুক্তিপত্রে সই করতে রাজি নন। গত বছর এই চুক্তিপত্রের মাধ্যমেই তো দল মাঠে নেমেছিল। তাহলে এ বার সেই চুক্তিপত্রের ভিত্তিতে কেন দল গড়া যাবে না? কোভিডের সময় আইএসএল হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও বাকি দশটি দল গড়তে শুরু করে দিয়েছে। তাহলে আমরা কেন পিছিয়ে আছি?
২: সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন কি পুরনো চুক্তিকে মান্যতা দিচ্ছে না?
৩: না কি চুক্তিপত্রে এমন কোনও শর্ত আছে, যে সই না করলে নতুন মরসুমের দল গড়া যাবে না?
৪: নানারকমের কথা শুনতে পাচ্ছি। সেগুলো আমাদের অজুহাত বলে মনে হচ্ছে। এই অবস্থায় ক্লাব না বিনিয়োগকারী, কে সঠিক, সেটা আমাদের বুঝিয়ে দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।
৫: আমরা গত কয়েক বছর ধরে ক্লাবের প্রশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলাম। সেই জন্য কোয়েসকে সমর্থন করতাম। তবে কোয়েসকে নিয়ে আমাদের ভুল আগেই ভেঙেছিল। আমাদের মতো দেশে-বিদেশে থাকা অনেক সমর্থক কোয়েসের নানা কীর্তিকলাপ জেনেছি, যেটা যথেষ্টই হতাশাজনক। তাদের চাপিয়ে দেওয়া বিপুল অর্থের দায়ভার ক্লাবকেই বহন করতে হচ্ছে। একতরফা ভাবে বিচ্ছেদ হয়েছিল বলে তার প্রায় ৫ কোটি টাকার দায় ক্লাবের ঘাড়ে এসে পড়েছে ।
৬: বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে জানতে চাই সঠিক উত্তর। নতুন মরসুমের জন্য কেন দল গড়া যাচ্ছে না, সেটা প্রকাশ্যে আনা হোক। পাশাপাশি ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছেও জানতে চাই সভ্যদের কাছে এই চুক্তিপত্র কেন তাঁরা তুলে ধরছেন না? চুক্তিপত্র তুলে ধরলে সবার কাছে ছবিটা পরিষ্কার হবে। আদৌ নতুন চুক্তিপত্রে সই করলে ক্লাব বিক্রি হয়ে যাবে কিনা, সেটাও জানা যাবে।