ভাষা-জেহাদের বিরোধী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ, আপনি?

“যে-সব পারসী আরবী শব্দ সাধারণ্যে অপ্রচলিত অথবা হয়তো কোনো-এক শ্রেণীর মধ্যেই বদ্ধ, তাকে বাংলা ভাষার মধ্যে প্রক্ষেপ করাকে জবরদস্তি বলতেই হবে। ……. আজকাল সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধিকে আশ্রয় করে ভাষা ও সাহিত্যকে বিকৃত করবার যে চেষ্টা চলছে তার মতো বর্বরতা আর হতে পারে না। এ যেন ভাইয়ের উপর রাগ করে পারিবারিক বাস্তুঘরে আগুন লাগানো। সমাজের ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে নিষ্ঠুর বিরুদ্ধতা অন্যান্য দেশের ইতিহাসে দেখেছি কিন্তু আজ পর্যন্ত নিজের দেশ-ভাষাকে পীড়িত করবার উদ্যোগ কোনো সভ্য দেশে দেখা যায় নি। এমনতর নির্মম অন্ধতা বাংলা প্রদেশেই এত বড়ো স্পর্ধার সঙ্গে আজ দেখা দিয়েছে বলে আমি লজ্জা বোধ করি।” (তথ্যসূত্র: ভাষা-শিক্ষায় সাম্প্রদায়িকতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

বাংলা ভাষায় আরবি-থাবা মেরে গুটিগুটি পায়ে যারা এগিয়ে এসেছে কয়েক শতক, সেই অন্ধকার কালো-র স্বরূপ আপনাদের সকলেরই পরিচিত। তবুও আপনারা সম্প্রীতির নামে এবং ভয়ের থামে তা বাড়তে দিয়েছেন। বাংলা ভাষার বিশুদ্ধতা রক্ষা করেন নি। আর এভাবেই ভাষা-জেহাদীদের জয়ী করেছেন।
Enough is enough. আর নয়। এবার ভাষা-জেহাদকে প্রতিহত করার শপথ নিন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হোক বাংলা ভাষার বিশুদ্ধতা রক্ষার দিন। নিজের ভাষায় কথা বলুন, আগামী প্রজন্মকেও কথা বলতে দিন।
মোদের গরব/মোদের আশা/আ-মরি বাংলা ভাষা

ড. কল্যাণ চক্রবর্তী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.