পুড়োটা পরুন
তৃনমূল কংগ্রেসের তথা মমতা ব্যানার্জির পতনের পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট :-
অমরত্ব পাবার সুযোগ ছিল, অযোগ্যতাই পেতে দিল না;তবে জেলযাত্রা সুনিশ্চিত |
যেভাবে বিরোধী নেত্রী হিসাবে লড়াই করে ও সাড়া জাগিয়ে তিনি এসেছিলেন, আজ ততোধিক দ্রুত ও অসম্মানজনক তাঁর অবশ্যম্ভাবী পতন। বাংলার মানুষের সমর্থন আর ভালোবাসা, দুইই তাঁর সাথে ছিল। যে উচ্চাসন থেকে তিনি ভূপতিত হলেন, তার জন্য যদি কেউ দায়ী হয়, সে হল তিনি নিজেই। ক্ষমতার দম্ভ ও তার অপব্যবহার, স্বৈরাচার, অনমনীয়তা, সাম্প্রদায়িক বিভাজন, অসংখ্য দুর্নীতি যতটা দায়ী, ততটাই নিজের সীমাবদ্ধতা বুঝতে না পারা। আজ আট বছর পরে মূলত যে ভুলগুলো এক্ষুনি এক্ষুনি মনে পড়ছে, সেগুলো উল্লেখ করে বলি যে তাঁর একজন গুণমুগ্ধ হয়ে ঠিক কোনটা আশা করেছিলাম।
প্রথম ভুল পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডে সুজেট জর্ডনের পাশে না দাঁড়িয়ে একজন মহিলা হয়েও তার চরিত্র নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা। আরও বড় ভুল দময়ন্তী সেনের মতন দক্ষ পুলিশ আধিকারিকের নির্বাসন।
উচিত কি ছিল? একজন মানবতাবাদী মহিলা হিসেবে সুজেটকে সুবিচারের আশ্বাস দিয়ে দময়ন্তী সেনকে পুরস্কৃত করা। উনি কি করলেন , বাংলার ধর্ষিত নারীদের বয়স ভিত্তিক সরকারি খয়রাতি ঘোষনা করলেন ,ভূলে গেলেন উনি একজন মহিলা মূখ্যমন্ত্রী | স্তাবকের দল ও সরকারি আমলা প্রতিনিধি অম্লান বদনে মেনে নিলেন |
দ্বিতীয় ভুল, অম্বিকা মহাপাত্রর নিরামিষ কার্টুনের জন্য তাকে চরম হেনস্থা করা। এটাকে হাল্কা ভাবে নিলে বা তুচ্ছ করে দেখলে মাননীয়ার ভাবমূর্তি জনমানসে ক্ষুন্ন না হয়ে উদার হতে পারত বলেই মনে হয়। এছাড়াও সন্ময় ব্যানার্জির মত একজন প্রখ্যাত সাংবাদিককে পুলিশি নির্যাতন ও জেলবন্দি করা যেন ফ্যাসিষ্টবাদি মমতা ব্যানার্জিকে সামনে এনে দিল |
টেলিভিশন চ্যানেলে প্রেসিডেন্সি কলেজের ভরদ্বাজ কন্যা তানিয়ার প্রশ্নে এত বিচলিত হলে কি চলে? নাতনিসমা মেয়েটির প্রশ্ন শুনে পছন্দ না হলেও, তাকে মিষ্টি হেসে মৃদু ভর্ৎসনা করে বা বুদ্ধিমত্তার সাথে ঐ রাজনৈতিক প্রসঙ্গটা পালটে দিয়ে কি নিজেকে একটু পরিণত মস্তিষ্ক প্রমান করা যেত না? ছোট্ট মেয়েটি বা তার সঙ্গীদের সিপিএম ক্যাডার বা মাওবাদি বলে অসহিষ্ণুতা দেখিয়ে আলোচনা সভা ছাড়াটা কি দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে? বরং ওনার অন্তসারশুন্য প্রতিভা যুবসমাজের চোখ খুলে দিয়েছে |
মুখ্যমন্ত্রী হয়তো সৃজনশীল মানুষ। কিন্তু তাই বলে যা খুশি লিখে বা এঁকে তাকে পড়ুয়াদের গলাধঃকরণ করানোর প্রচেষ্টা মূর্খতাই। আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব ও আত্মদম্ভীরতা তাকে কোন মূর্খের স্বর্গে বসিয়ে দিয়েছিল, তিনি সেটা না বুঝতে পারলে সে দায় তাঁর দলদাস নিত্যসঙ্গীদের উপরে বর্তায়, যারা উচ্ছিষ্টলোভী বলে মোসাহেবি করে গেছেন। ম্যাডামের খুঁত ধরে নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ বিঘ্নিত করতে চান নি।
দরকার ছিল না, নিজের ছবি রাজ্যের সর্বত্র ছড়িয়ে প্রচার করার। উচিত হয় নি বাংলার খ্যাতনামা মনীষীদের পাশে নিজের জীবদ্দশাতেই নিজের ছবি দিয়ে অমর করে রাখার ব্যর্থ প্রয়াস করে যাবার। বাঙ্গালীর জাত্যাভিমান এতটা মরে যায় নি যে সেই ঔদ্ধত্য হজম করবে।
সর্ব ঘটের কাঁঠালি কলার মতন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সর্ব বিষয়ক বিচিত্র, বিভ্রান্তিকর ও ভ্রান্ত তথ্য পরিবেশন করে নিজেকে জাহির করার বদলে হাস্যাস্পদ হয়েছেন সকলের কাছে। এত রকমারি ভুল তথ্য দিয়ে হাসির খোরাক হয়েও ওনার হুঁশ ফেরে নি। মুখ খুললেই প্রায় প্রতিদিনই বেফাঁস মন্তব্য করে সবার কাছে ট্রোলড হয়ে চলেছেন। এ এক নির্ভেজাল আনন্দ বাঙালির কাছে। নিজের সীমাবদ্ধতা বুঝতে না পারার প্রতিফলন ।
এর পরে আসি পতনের সম্ভাব্য বড় কারণে। সেটা হল, সম্প্রীতির নামে সাম্প্রদায়িক বিভাজন। শ্যামাপ্রসাদের বাংলায় মুসলমানদের কখনও বাঙালি ভিন্ন পরিচয় ছিল না, আজ প্রতি পদে পদে তাঁর হিন্দুদের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ ও ক্রমাগত বঞ্চনার ফল, বাংলার মানুষ আজ দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে বিভাজিত।
বাংলায়, যেভাবে ধর্মান্ধ মুসলমানদের আস্কারা দিয়ে, বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গাদের আখড়া বা জেহাদের গড় তৈরি করিয়েছেন, তাঁর ভোটের স্বার্থসিদ্ধির জন্য, সারা রাজ্যে আগুন জ্বললে তার জন্য দায়ী থাকবেন তিনিই। ২০১১ সালের পর থেকে বাংলার মানুষ ধুলাগড়, বসিরহাট, ক্যানিং, উস্থি, বাদুড়িয়া, কাটোয়া, মন্দিরবাজার, কালিয়াচক, নৈহাটি, চন্দননগর, খড়্গপুরের বিচ্ছিন্ন দাঙ্গার সাক্ষী হয়েছে, আগামী দিনে সারা বাংলায় জেহাদের আগুন জ্বলে উঠলে কি হবে তা ভাবলে গায়ে কাঁটা দেয়। আজকের রাজধানীর ডাক্তারদের যখন একটা মেসেজের ভিত্তিতে সাথে সাথে সশস্ত্র মোল্লাবাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে, এই নগরীও আজকের দিনে হিন্দুর জন্য নিরাপদ তো? নাকি অতর্কিত আক্রমণ হলে আত্মরক্ষার সময়টুকুও পাওয়া যাবে না?
অথচ আদা জল খেয়ে তিনি হিন্দু বিরোধিতা চালিয়ে যাচ্ছেন আর মুসলমানদের ভরিয়ে দিচ্ছেন! শুধুই কি ভোটের জন্য? ইমাম, মোয়াজ্জেম ভাতা তাকে ভোট দিলেও মাদ্রাসায় বছরে চার হাজার কোটি টাকা অনুদান তো ভোটের জন্য নয়? তবে কি ইসলামের প্রচারের মাধ্যমে তাঁর আরব থেকে পেট্রো ডলার বা দিনারের কোনও বিশেষ লেনদেন রয়েছে? বছরে চার হাজার কোটি মানে জনগনের করের টাকায় দৈনিক এগারো কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে ইসলাম ধর্মশিক্ষা কি ধরনের উন্নয়ন!
আজ দেশে হিন্দুত্ববাদী জাগরণের শুরু হয়েছে স্বধর্ম সংরক্ষণে। তাই আজকাল মাননীয়াকে সম্প্রতি আগের মতন হিজাব পরে নিষ্ঠা সহকারে রোজা ইফতারে বড় একটা দেখা না গেলেও, তাঁর কাজ থেমে নেই। সরকারি চাকরি মরীচিকা হলেও সংখ্যালঘুদের ঢালাও নিয়োগ হয়েছে পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে। বিষয়টি সন্দেহের ঊদ্রেক করে বৈকি। অথচ মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেন বাংলাতে ওরা 31.8%। তাই ওদের কথা ওনাকে ভাবতে হয়। তাহলে এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে সংখ্যালঘু বলে চালানো হচ্ছে কেন? তোষনের রাজনিতী ?
মাননীয়ার ভাবমূর্তি জনমানসে আর সততার প্রতীক নয়, বরং সাদামাটা পোশাকের ছদ্মবেশের আড়ালে এক চূড়ান্ত দুর্নীতিগ্রস্ত নেত্রী হিসেবে লোকে আজ জানছে। যাঁর পরিবারের প্রতিটি সদস্য বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তারঁ রাজনৈতিক জীবনে পদার্পণের পরে পরেই। আজ তাঁর নিজের ভাইদের, ভাইপোর এত যে রমরমা, সেটা কোন প্রতিভার অধিকারে না কোন জাদুবলে, সেটা কি উনি সর্বসমক্ষে ব্যক্ত করতে পারবেন? সারদা, নারদা, রোজ ভ্যালি, চিট ফান্ড, টেট কেলেঙ্কারি, সিন্ডিকেট, তোলাবাজি, কি নেই। মাননীয়ার উদার বয়ান এই আয়ের পঁচাত্তর ভাগ দিলে সাত খুন মাফ। আর কমিশনের টাকা ভাগ করে খেতে হবে এই রাজ্যে।
আজ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ভাবুন রাত্রে একা বসে বসে। অকালকুষ্মাণ্ড অকর্মণ্য ঐ ভাইপোকে রাজনৈতিক দলের শীর্ষে বসিয়ে ঠিক করেছেন কিনা ? আপনার সেই দাম্ভিক উক্তি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেব – এই ধরনের হুমকি একজন মূখ্যমন্ত্রীর মূখে কি মানায় ?
শিলাদিত্যকে সারের দামের প্রশ্নের ভিত্তিতে মাওবাদী আখ্যা দেওয়া যায় কিনা ? অথচ ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে আপনার গঠিত সিট মাওবাদি সহ রাষ্ট্রদোহিতার বিভিন্ন ধারায় কেস করার পরও তাকে রাজ্য সম্পাদক মন্ডলিতে জায়গা দেওয়া | কি অসাধারন মাওবাদি দমন নিতী | আপনার উক্তি – আমার মাওবাদি বন্ধুরা ভোট নষ্ট করবেন না | সব ভোট আমাকে দেবেন |
সরকারি বরিষ্ঠ আধিকারিকদের বিশেষত আই এ এস, আই পি এস অফিসারদের বাপের চাকরের মতন নাম ধরে আর তুমি সম্বোধন করাটা ওঁনাদের পদমর্যাদার শোভাবর্ধন করে কিনা। বাংলা কি কখনও কোন পূর্বসুরি মূখ্যমন্ত্রীর থেকে এইরুপ বস্তি কালচার পেয়েছে ?
নিজের বাড়িতে কালীপূজাতে সেলিব্রিটিদের দিয়ে আপ্যায়ন করানো, পুজোর মালা গাঁথানো বা পরিবেশন করাটা সকলে ভালো মনে নেন কিনা।
সরকারি চাকুরেদের দীর্ঘ বঞ্চনার শিকার না করে, তাদের আর্তিকে ঘেউ ঘেউ বলে অপমানিত না করে, আরও একটু সহানুভূতিশীল হওয়ার প্রয়োজন ছিল কিনা।
দলে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সৌগত রায় বা সাধন পান্ডের মতন বরিষ্ঠ নেতাদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ নেওয়াটা অতীব প্রয়োজনীয় ছিল কিনা।
রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে যথেচ্ছ অপব্যবহার করা ঠিক হল কিনা।
কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের মতন নিজের পারিবারিক স্বার্থ কায়েম করতে অযোগ্য ভাইপোকে উত্তরসূরি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাটা কতটা ভুল হল। নিজের ভাইদের ক্ষমতার রাশ ধরে রাখতে বিশেষ পদে আসীন করাটা লোকে ভালোভাবে নিল কিনা?
ভাইপোর বউয়ের সোনা পাচার ধরা পড়াতে বিমানবন্দরের ভিতরে নিজের পুলিশকে দিয়ে হুজ্জুতি করাটা উচিত ছিল কিনা।
রাজীব কুমারের সিবিআই তদন্তে সাহায্য করার নাটক করে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পুলিশের আধিকারিকদের বগলদাবা করে ধর্ণায় বসাটা অশোভন ও অন্যায় ছিল কিনা।
দেশে নোটবন্দী হবার সময় সকলেই ভুগেছে। তবে আপনিই বোধহয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দিল্লি, ভুবনেশ্বরে ফ্লপ শো করে নিজের আর রাজ্যের মুখটা পুড়িয়ে দিয়েছেন। ভাবুন তো অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কেউ আপনার পাশে ছিল কিনা।
স্বঘোষিত হবু প্রধানমন্ত্রী হবার জন্য রাজ্যের কাজ শিকেয় তুলে ঘোঁট পাকানো মহাজোট বন্ধন করে এত দৌড়েও বলুন তো আপনার লাভ হল কিনা।
নিজের মন্ত্রীরা ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়ার পরে তাদের ভোটে দাঁড়াতে দেওয়াটা তার ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করল কিনা।
সারদা কান্ডে তুলি ক্যানভাস অপচয় করে নিজের আঁকা অখাদ্য পেন্টিং বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা নেওয়াকে ঘুষ বলে কিনা।
পার্ক সার্কাস ময়দানে তিন তালাকের সমাবেশে লক্ষাধিক ধর্মান্ধ মুসলমান মৌলবাদীদের ভীড়ে ফিরহাদ হাকিম সহ অন্য মন্ত্রীদের পাঠিয়ে তার সমর্থনে গলাবাজি করাটা কোনও ভালো নিদর্শন ছিল কিনা।
নিজের সভা আলোকিত করে বরকতি ইমামদের বারে বারে বসানোটা ধর্মনিরপক্ষেতার প্রমান কিনা।
সংখ্যালঘু মুসলমানদের সংখ্যালঘু শিয়া মুসলমানদের উৎসব মহরমের স্বার্থে দুর্গাপূজা ভাসান বন্ধ করাটা সম্প্রীতির নিদর্শন কিনা?
বিষ মদে মৃত্যুর পরেও ক্ষতিপূরণ দেওয়াটা আদৌ উচিত ছিল কিনা।
বাংলায় মদের ব্যবসায় রেকর্ড গড়াটা উন্নয়নের মধ্যে পড়ে কিনা?
শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রায় সর্বনিম্ন অবস্থানে বাংলাকে ঠেলে দেওয়া ও পাঠ্যক্রমে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি সরিয়ে উর্দু ভাষা আর আরবের ধর্ম সংস্কৃতি চাপিয়ে আখেরে লাভ হল কিনা।
ডোকালাম ইস্যুতে বা বিভিন্ন অসহযোগিতার কারণে চীনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হবার মুখে চীনের আমন্ত্রণে আনন্দে লাফিয়ে ওঠার পরে যাত্রাভঙ্গ হল। ভাবা উচিত ছিল যে শত্রু দেশ তাঁকে মোদির বিরুদ্ধাচরণের উদ্দেশ্যে ডাকছে কেন।
নিজের রাজ্যে কারোর মাথা গলাতে দেন না, আসামের ঘটনায় জল ঘোলা করতে শিলচরে দল পাঠানো উচিত কি না।
দেশের সেনার প্রকাশ্যে বিরোধিতা করা বা সামরিক অভিযানে সন্দেহ প্রকাশ করাটা আদৌ মুখ্যমন্ত্রীর পদমর্যাদার প্রতি সুবিচার করা কিনা।
সীমান্তে অবাধ গরু পাচারের ব্যবসা বন্ধ করা ও গো-সম্পদ সংরক্ষণের বার্তা না দিয়ে বারে বারে গোরু কাটার পৃষ্ঠপোষকতা করাটা ঠিক ছিল কিনা।
ক্লাবে ক্লাবে কোটি টাকার অনুদান দেওয়াটা সরকারি অর্থের অপচয় কিনা।
আরও আছে, আরও আছে ম্যাডাম। বলতে গেলে রাত কাবার হয়ে যাবে।
সর্বোপরি ভগবানের পরে যাদের স্থান, সেই ডাক্তারদের আন্দোলনে আপনি ডাক্তারদের হুমকি দিচ্ছেন! আর যে জেহাদি মোল্লা দলবল এক অশীতিপর বৃদ্ধের মৃত্যুতে নিমেষের মধ্যে চড়াও হয়ে ডাক্তারদের মৃত্যুমুখে ফেলে দিল, সেই দুধেল গরুর উপরে কি পদক্ষেপ নিলেন?
ইমামের পরিবারকে জেলে পুরে দিন সর্বাগ্রে, তারপর ঐ দুশোজন সমাজবিরোধী চিহ্নিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের ছাড়বেন না। তা না করে, ডাক্তারদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। সারা বাংলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার এই অচলাবস্থার জন্য আপনিই দায়ী থাকবেন ম্যাডাম । বাঙ্গালী হিসেবে আমরা লজ্জা বোধ করছি সারা বিশ্বের মানুষের কাছে।
খাঁটি গরুর দুধ আপনি ও আপনার পরিবার খেয়ে যাবেন বারে বারে আর দেশের মানুষ গরুর লাথি খাবে, এটা হতে দেওয়া যায় না। হ্যাঁ, সর্বশেষ সংজোযন ……..
১৯৮৩ সালে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধী ভারতের সুযোগ্য সন্তান প্রয়াত আর্মি জেনারেল অতুল কুমার চক্রবর্তির হাতে রাষ্ট্রীয় ২০ দফা কর্মসূচী রুপায়নের দায়িত্বভার অর্পন করার পর বাম জমানার বিরোধিতায় কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রের স্থায়িকরন হয়নি | আপনার সরকার সম্পূর্ন অবৈধ ভাবে সাংসদ গোবিন্দ নস্কর মহাশয়ের মাধ্যমে ভারতের পার্লামেন্টে বিষয়টি উত্থাপন করেন | আমি ডঃ প্রসেনজীৎ বোস সরাসরি বিরোধিতা করি আপনার সাংসদের অধিকার নিয়ে | আপনি নিরুত্তর ছিলেন | প্রতিদান কি দিলেন , আপনার দলদাস পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা মামলা ২০১২-১৩ সাল |
মহামান্য সূপ্রীম কোর্টের কাছে মিথ্যা অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ,এফিডেফিড দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন |
এবার শুরু হলো আপনার ডিক্টেটরশিপ | আপনার অনুপ্রেরনায় , আপনার দলের বিভিন্ন নেতা,মন্ত্রীসহ ২৬ জন প্রতারককে দিয়ে শুরু করলেন তপশিল জাতি,আদিবাসি,প্রাক্তন সৈনিক কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র এবং প্রথম সারির তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ও প্রতারক বাহিনির যোগসাজসে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সর্বশান্ত করলেন এই বাংলার অগনিত যুবসমাজকে |
সৌমেন কোলে,শক্তিপদ বাগদি, তরুন ব্যানার্জি, দিপঙ্কর দে, কল্লান মাইতি, গোবিন্দ মাইতি সহ আরও ২৫ টি শাখা | যাদের সরকারি মদত দিয়েছেন হুগলি জেলার তপন দাশগুপ্ত মহাশয় | অবশ্যই বিশাল অর্থের বিনিময়ে | এছাড়াও শতাধিক নেতা,মন্ত্রী ,আমলা জড়িত রয়েছেন এই প্রতারনা চক্রে ,এমনকি আপনি নিজেও যুক্ত ( F. No. -KBSK/WB/CS/44/08-2020 dated-17.08.2020) কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মিবর্গ মন্ত্রকের ডাইরেকশন অর্ডার নম্বর No. 23011/1/2020-PG.Cell/1432142, dated-07.10.2020.
এতকিছু করেও ব্যার্থ হলেন , পারলেন কি জনমানসে প্রকৃত কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রকে আটকাতে ? না পারেননি , কারন ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে এভিডেন্ট ফাইল পর্যালোচনা করে কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রকে উপষুক্ত মর্যাদা দিয়ে রাষ্ট্রীয়হিতে নিয়োজিত করেছেন সাংবিধানিক মর্যাদা দান করে |
আপনি বিভিন্ন জনসভায় বলছেন , ২রা মের পর আপনি বুঝে নেবেন | শুনে রাখুন মমতা ব্যানার্জি ,২রা মের পর কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রের ৬৫০০ কর্মির নেতৃত্বে পশ্চিমবাংলায় শুরু হবে আয়ুস্মান ভারতের কাজ এবং কলকাতায় তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক উদ্ভোদন করবে কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র | এছাড়াও, কিষান সহায়তা কেন্দ্র থেকে পি.এম কিষানের ১৮০০০ হাজার টাকা সরাসরি কৃষকদের একাউন্টে যাবে |
দায়িত্ব নিয়ে বলছি ,পশ্চিমবাংলার অসংখ্য যুবক-যুবতিদের প্রতারনা করার জন্য ,আপনাকে সূপ্রীম কোর্টে হাজির করাবো এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করার জন্য মহামান্য আদালত নিশ্চই সুবিচার করবেন | প্রস্তুতি রাখুন দিদি ||
উপরিউক্ত আর্টিকেল লেখার জন্য শ্বাসত বাবুর কাছে ঋনি রইলাম –
ডঃ প্রসেনজীৎ বোস
মহা নির্দেশক,
রাষ্ট্রীয় ২০ দফা কর্মসূচী রুপায়ন
কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র
ভারত সরকার