কয়েকটা জিনিস জেনে রাখা প্রয়োজন।
১. কোভিশিল্ড ভারতের ভ্যাকসিন নয়। এর ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস অ্যাস্ট্রাজেনকার। সিরাম ইনস্টিটিউট শুধুমাত্র এর লাইসেন্সড ম্যানুফ্যাকচারার।
২. কোভিশিল্ড এর একটি প্রধান উপাদান অ্যামেরিকা থেকে ভারতে ইমপোর্ট করা হয়। অ্যামেরিকায় বিডেন সাহেব সেটির ভারতে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। নইলে ভারত করোনা ভ্যাকসিন মার্কেটের লিডার হয়ে যাচ্ছিল।
৩. ভারত বায়োটেক এর কোভ্যাকসিন সম্পূর্ন ভাবে ভারতীয় ভ্যাকসিন। এর ম্যানুফ্যাকচারিং এর জন্য কোন বিদেশী উপকরণ লাগে না।
৪. ভারত করোনা ভ্যাকসিন এর পেটেন্ট এর পক্ষপাতী নয়। কিন্তু ব্রিটেন আর অ্যামেরিকা সমানে এর বিরোধিতা করে চলেছে। প্রত্যেকটি কোভিশিল্ড ব্যবহারে অ্যাস্ট্রাজেনকা রয়ালটি পায়। এই কারণে ভ্যাকসিন এর দাম কমানো মুশকিল হয়ে যায়।
৫. কোভ্যাকসিন তিনটি মিউট্যান্ট স্টেইন এর বিরুদ্ধে ১০০% কার্যকরী।
৬. কোভ্যাকসিন এর পর নাকের মধ্যে স্প্রে করেও দেওয়া যাবে। এর ফলে ভ্যাকসিন দেওয়া আরো সহজ আর কম খরচে করা যাবে। এর জন্য আইসিএমআর এর অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
এরপর যা হতে চলেছে বলে আমার অনুমান।
১. ভারত বায়োটেক আর সিরাম ইনস্টিটিউট এর মধ্যে চুক্তি হবে। সিরাম ইনস্টিটিউট কোভ্যাকসিন তৈরি করা শুরু করবে।
২. কোভ্যাকসিন ন্যাসাল এর ছাড়পত্র মিলবে। এটা বিপুল পরিমাণে তৈরি করার জন্যে আরো কিছু ম্যানুফ্যাকচারিং টাই-আপ হবে।
৩. আর তিন থেকে চার মাসের মধ্যে ১৮ বছর বা তার উর্ধ্বে সব ভারতীয় নাগরিকের টিকাকরণ সম্পূর্ন হবে। এত বড় টিকাকরণ উদ্যোগ পৃথিবীতে এর আগে হয় নি।
এত বিপদের মধ্যেও হতাশ হবেন না। আমাদের দেশ এর আগেও লড়াই করে জিতেছে, আবার জিতবে। অসংখ্য মানুষ এর জন্যে প্রাণপাত করে কাজ করে চলেছেন। কয়েকটা ঘিয়ে ভাজা হতাশ মাকু কি বলল তাতে কিছুই এসে যায় না।
✒️Shantanu Som