কেবলমাত্র সকালে তিন ঘন্টা আর বিকেলে দুই ঘন্টা দোকান বাজার খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ঐ পাঁচ ঘন্টায় বাজারে যে অস্বাভাবিক ভীড় হবে সেটা বলাইবাহুল্য এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আরো বাড়বে এটাও মোটামুটি নিশ্চিত

করোনার প্রকোপ বাড়তেই সরকারের তরফ থেকে আপাতত দুটি বড় পদক্ষেপ দেখা গেল-

1) বেশ কিছু লোক্যাল ট্রেন ও দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হল। এর ফলে অবশিষ্ট চালু থাকা ট্রেনগুলিতে অস্বাভাবিক ভীড় বেড়ে গেছে। সংবাদে প্রকাশ অস্বাভাবিক ভীড়ের চাপে ক্যানিং লাইনে এক যাত্রী কম্পার্টমেন্ট থেকে লাইনে পড়ে গেছেন। এই পরিস্থিতিতে যেখানে বেশী ট্রেন চালালে তবেই কামরাগুলিতে যাত্রীরা কিছুটা হলেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারতেন, সেখানে ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হল। অথচ বহু মানুষকে রুটি রুজি জোগাড়ের জন্য প্রাণ হাতে করে বেরোতে হচ্ছে। ঐ মানুষগুলির জীবনকে আরো বেশী করে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেওয়া হল যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে হ্রাস করে।

2) আংশিক লক ডাউন চালু হল। সিনেমা, শপিং মল, জিম ইত্যাদি বন্ধ হল। সেটা ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কেনার জন্য কেবলমাত্র সকালে তিন ঘন্টা আর বিকেলে দুই ঘন্টা দোকান বাজার খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ঐ পাঁচ ঘন্টায় বাজারে যে অস্বাভাবিক ভীড় হবে সেটা বলাইবাহুল্য এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আরো বাড়বে এটাও মোটামুটি নিশ্চিত।

কাজেই বুঝতেই পারছেন আমাদের মহান নীতি নির্ধারকেরা আমাদের মঙ্গল করার জন্য কত মাথা খাটিয়ে এত ভালো ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খুব ইচ্ছে করছে ঐ সব অসাধারণ বুদ্ধিমানদের চরণধূলি মাথায় নিতে।

বামাখ্যাপা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.