প্রিয় পাঠক, কখনও ভেবে দেখেছেন কি সুদূর আফগানিস্তানের কাবুলে গিয়ে নেহরু-গান্ধী পরিবারের সদস্যদের বাবরের কবর দেখার এত উৎসাহ কেন? এই পরিবারের এক সদস্য যিনি নিজেকে উপবীতধারী শিবভক্ত হিসেবে জাহির করেন, তিনিও গেছেন। কিন্তু বাবরের কবর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে এক হিন্দু সম্রাটের সমাধি দেখতে কখনও যাননি।
আজকাল ইন্টারনেটে এমন সব তথ্য মেলে যা সচরাচর ইতিহাস বইয়ে পাওয়া যায় না। এই তথ্যভাণ্ডারে চোখ বোলালে বাবর এবং তার প্রবাদপ্রতিম নিষ্ঠুরতার প্রতি নেহরু-গান্ধী পরিবারের ভক্তিশ্রদ্ধার বিষয়টি কোনওভাবেই গোপন থাকে না। ব্লগারদের লেখায় একটা কথা প্রায়ই উঠে আসে। নেহরু-গান্ধী পরিবারের সদস্যরা বাবরের কবর দেখতে যাওয়া শুরু করেছেন ১৯৫৯ সাল থেকে। একথা সকলেই জানেন, আমাদের দেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী ইতিহাস যারা লিখেছেন তারা ইচ্ছে করেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার কথা বাদ দিয়েছেন। তাদের সব থেকে বড়ো ব্যর্থতা এটাই, তারা কখনও জানতে চাননি কেন বাবর এত দীর্ঘ সময় ধরে নেহরু এবং গান্ধী পরিবারের অনুপ্রেরণার প্রধান উৎস হয়ে রইলেন। মিডিয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। পণ্ডিত নেহরু থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধীর বাবরের কবর দেখতে যাওয়া যে নিছক ভারতের মধ্যযুগের ইতিহাসের প্রতি দায়বদ্ধতা নয়, সেটা নামীদামি সাংবাদিকরাও বুঝতে চাননি। যাই হোক, আলোচনার সুবিধার্থে কে কবে কাবুলে বাবরের কবর দেখতে গিয়েছিলেন একবার দেখে নেওয়া যেতে পারে।
• নেহরু গিয়েছিলেন ১৯৫৯ সালে।
• নটবর সিংহের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইন্দিরা গান্ধী যান ১৯৬৮ সালে। (নটবর সিংহের গ্রন্থ প্রোফাইল অ্যান্ড লেটার্স দ্রষ্টব্য)।
•ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী ১৯৭৬ সালে এক সঙ্গে একবার গিয়েছিলেন।
• রাহুল, ড. মনমোহন সিংহ এবং তার বিদেশমন্ত্রী নটবর সিংহ ২০০৫ সালের আগস্টে বাবরের কবর দেখতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এম. কে. নারায়ণ। (সূত্র : নটবর সিংহের গ্রন্থ)।
সুতরাং প্রিয় পাঠক, বাবরের প্রতি নেহরু ও গান্ধী পরিবারের এই নিঃশর্ত আনুগত্যের কারণ অনুসন্ধান করা দরকার। জানা দরকার কেন তারা লক্ষ লক্ষ হিন্দুর ঘাতক এবং অসংখ্য মন্দির ধ্বংসকারী বাবরের প্রতি এতটা দায়বদ্ধ? এও জানা দরকার, কী করে তারা ভুলে গেলেন বাবরই ছিলেন অযোধ্যার রামজন্মস্থান মন্দির ধ্বংসের মূল পাণ্ডা?
নটবর সিংহের লেখা থেকে জানা যায় ১৯৬৮ সালে ইন্দিরা গান্ধী বাবরের কবরে (মাজারে) গিয়ে একান্তে প্রার্থনা করেছিলেন। এ ব্যাপারে দেশের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম নীরবতা অবলম্বন করলেও হিন্দু ব্লগাররা চুপ করে থাকেননি। যদিও ২০০৫ সালে রাহুল গান্ধী এবং ড. মনমোহন সিংহের কাবুল ভ্রমণ ও বাবরের কবর দেখতে যাওয়ার প্রসঙ্গটি মিডিয়া সম্পূর্ণ চাপা দিতে পারেনি। চণ্ডীগড়ের দ্য ট্রিবিউন পত্রিকার সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংহের সঙ্গে আমার কাবুল যাওয়া নিয়ে মিডিয়া অযথা জলঘোলা করছে। তার বিরুদ্ধে কোনও কোনও মহল থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যাতে চরিতার্থ হয় তার জন্য তিনি সমাধিস্থলে অবস্থিত মাজারে প্রার্থনা করেন এবং প্রধান মুরশেদের আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। কিন্তু রাহুল এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। দ্য ট্রিবিউনের রিপোর্টিং থেকে আরও জানা যায়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী যেখানে যেখানে গিয়েছিলেন, সঙ্গী হয়েছিলেন রাহুল। প্রেসিডেন্টের প্যালেস থেকে শুরু করে বাগ-এ-বাবরে বাবরের কবর, সর্বত্র তিনি ছিলেন ড. মনমোহন সিংহের সঙ্গী। তাঁকে যে-সব প্রশ্ন করা হয়েছিল তার বেশিরভাগেরই উত্তর দিয়েছিলেন, হয় বিদেশমন্ত্রী নটবর সিংহ নয় তো জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এম. কে. নারায়ণন।
কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো দ্য ট্রিবিউনের সাংবাদিক রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসা করেননি, বাবরের প্রতি গান্ধী ও নেহরু পরিবারের এই অন্ধ আসক্তি কেন? কেন তারা বাবরের কবর দেখার জন্য বারবার কাবুলে ছুটে যান? সেটা কি মুঘল ঘাতকদের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের গোপন যোগসূত্রের জন্য? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে রিতা গুপ্তা, আরুষি বহুগুণা এবং রামাধীরের মতো সাহসী ব্লগাররা যেসব নতুন প্রশ্ন তুলেছেন সেগুলো বরাবর উপেক্ষা করা হয়েছে। নটবর সিংহকে কেউ প্রশ্ন করেননি, সমাধিস্থলে বসে ইন্দিরা গান্ধীর একান্ত প্রার্থনা কি মুঘলদের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের ভাবগত নৈকট্যকে প্রতিষ্ঠিত করে না? অ্যাকসিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার ড. মনমোহন সিংহকেও কোনও সাংবাদিক প্রশ্ন করেননি, কে তাকে বাবরের কবর দেখতে যেতে বাধ্য করেছিল? তিনি কি রাহুল গান্ধী? নাকি তিনি নিজেই যাওয়া মনস্থ করেছিলেন। প্রশ্নগুলো উঠছে কারণ শিখধর্মের মানুষ হওয়ার সুবাদে বাবরের কবর দেখতে যাওয়ার উদগ্র বাসনা ড. মনমোহন সিংহের থকার কথা নয়। একথা সবাই জানেন, নরঘাতক বাবরের নৃশংস অত্যাচারের বিরুদ্ধে কার্যত রুখে দাঁড়িয়েছিলেন শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক। সুতরাং পরম্পরাগত শিক্ষা ভুলে ড. মনমোহন সিংহ স্বেচ্ছায় বাবরের কবর দেখতে গিয়েছিলেন, একথা বিশ্বাস করা শক্ত।
পণ্ডিত নেহরুর লেখা থেকে জানা যায় তাঁর পূর্বপুরুষেরা ছিলেন কাশ্মীরী হিন্দু। তার প্রপিতামহের নাম পণ্ডিত রাজ কওল। ১৭১৬ সালে তিনি তৎকালীন মুঘল সম্রাট ফারুকশিয়ারের অনুরোধে দিল্লি চলে আসেন। নেহরু লিখেছেন তার পিতামহ গঙ্গাধর নেহরু ছিলেন দিল্লির কোতোয়াল। কিন্তু কথাটি তেমন বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ, কোনও মুসলমান শাসকই হিন্দুদের শহরের কোতোয়াল নিযুক্ত করেননি। ফারুকশিয়ার ছিলেন অত্যন্ত নিষ্ঠুর প্রকৃতির শাসক। তিনি এদেশের প্রতিটি হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করতে চাইতেন। এই ফারুকশিয়ারই বান্দা সিংহকে যুদ্ধে পরাস্ত করে দিল্লিতে নিয়ে আসেন। সঙ্গে আনা হয়েছিল গুরু নানকের অসংখ্য হিন্দু এবং শিখ ভক্তের মুণ্ডহীন ধড়। বান্দা সিংহের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচার চালানো হয়েছিল। পরে হত্যা করা হয়। এক রাতে হত্যা করা হয় সাতশো শিখ সৈন্যকে। ফারুকশিয়ার এই নির্মম হত্যাদৃশ্য নিজের চোখে দেখেছিলেন এবং উপভোগও করেছিলেন। এহেন ফারুকশিয়ার একজন কাশ্মীরী হিন্দুকে দিল্লিতে এসে বসবাস করার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন, বিশ্বাস হয় না।
যেদিন নটবর সিংহ বাবরের কবরে ইন্দিরা গান্ধীর একান্তে প্রার্থনা করার কথা প্রকাশ করেছেন, সেদিন থেকেই এই পরিবারের শেকড় সম্বন্ধে বুদ্ধিজীবী এবং ব্লগারদের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। speakingtree.in/the stud নামের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি ব্লগে (নাম: Hidden facts About the Nehru-Gandhi Dynasty) দাবি করা হয়েছে নেহরু বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন একজন মুসসমান ভদ্রলোক, নাম গিয়াসুদ্দিন গাজি (গাজি শব্দের অর্থ যিনি ইসলামে অবিশ্বাসী কাফেরদের ঘাতক)। ১৮৫৭ সালে সিপাহি মহাসংগ্রামের সময় এই গিয়াসুদ্দিন গাজি ছিলেন দিল্লির কোতোয়াল। মুঘল আমলে হিন্দুকে নগর কোতোয়াল হিসেবে নিয়োগ করার পরম্পরা ছিল না। দিল্লি ছিল মুঘলদের রাজধানী শহর। সুতরাং দিল্লিতে নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটবে একথা বিশ্বাস করা যায় না। আমাদের দেশের মূলধারার ইতিহাস অনেকাংশেই বিকৃত। তাই গত কয়েক বছর ধরে অনেকেই প্রকৃত ইতিহাসের সন্ধানে গবেষণায় ব্যস্ত রয়েছেন। তাদের গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে ১৮৫৭ সালে দিল্লির কোতোয়াল ছিলেন গিয়াসুদ্দিন গাজি, গঙ্গাধর নেহরু নন। সিপাহি মহাসংগ্রামের পর ব্রিটিশ সৈন্য দিল্লির দখল নেয় এবং শহরের বিভিন্ন মহল্লা থেকে খুঁজে খুঁজে মুসলমানদের হত্যা করে। বাহাদুর শাহ জাফরের পুত্রদেরও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছিল। দিল্লির দরিয়াগঞ্জের নিকটবর্তী খুনি দরওয়াজা এখনও এই ঘটনার সাক্ষ্য বহন করে। এখানে ব্রিটিশ সৈন্যরা কয়েক শো মুঘলকে গলা কেটে এবং গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছিল।
বিকল্প ইতিহাসের গবেষকদের লেখা থেকে আরও জানা গেছে, ব্রিটিশ সৈন্যের হাতে বন্দি হবার ভয়ে গিয়াসুদ্দিন সপরিবারে পলায়ন করেন। কিন্তু তার পরনে ছিল মুঘল রাজদরবারের পোশাক, যা দেখে ব্রিটিশ অফিসারদের সন্দেহ হয়। আগ্রায় তিনি ধরা পড়েন। গিয়াসুদ্দিনের উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করতে হয়। তিনি তার আসল নাম গোপন করে বললেন, তার নাম গঙ্গাধর নেহরু। নিজের পরিচয় দিলেন কাশ্মীরী হিন্দু বলে। এই ঘটনার কথা প্রখ্যাত গবেষক এম. কে. সিংহ তার তেরো খণ্ডের এনসাইক্লোপিডিয়া অব ইন্ডিয়ান ওয়ার অব ইন্ডিপেন্ডেন্স (ISBN :41-3745-9) গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন। গ্রন্থ প্রকাশের পর এক দশক অতিক্রান্ত হলেও এখনও পর্যন্ত কেউ তার দেওয়া এই তথ্যকে চ্যালেঞ্জ করেননি।
আত্মজীবনীতে বাবর স্বীকার করেছেন তার প্রধান লক্ষ্য ছিল হিন্দুদের হত্যা করা এবং সারা দেশে ইসলাম ধর্ম ছড়িয়ে দেওয়া। হিন্দু কাফেরদের হত্যা করে এবং তাদের মুণ্ড দিয়ে মিনার বানিয়ে তিনি কী বিপুল আনন্দ পেতেন সেকথা বাবর তুজুক-ই-বাবরির ছত্রে ছত্রে লিখে গেছেন। বাবরের নিষ্ঠুরতার সাক্ষী শিখ ধর্মগুরু গুরু নানকও। তিলং বাগ গুর নানকের প্রথম শবদে তিনি লিখেছেন, ‘মেয়েদের করুণ অবস্থা দেখে দুঃখ হয়। বাবরের কামুক সৈন্যরা হিন্দু ও শিখ মেয়েদের ওপর চরম অত্যাচার চালাত (সূত্র : পোস্টকার্ড নিউজ, রিতা গুপ্ত)। তৃতীয় শবদে গুরুনানক লিখেছেন, “রাগ আসা, মহলা ইক; অষ্টাপদী ঘর ৩ বাবরের সৈন্যরা মহিলাদের চুল কেটে মজা দেখত। গলায় ফাঁস পরিয়ে তাদের ওপর জঘন্য অত্যাচার করা হতো (সূত্র : ওই, আরষি বহুগুণা)। ব্লগাররা জানিয়েছেন, বাবর তিনবার তার সেনাশিবির অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। কারণ, স্থানীয় হিন্দুদের হত্যা করে মৃতদেহের পাহাড় বানিয়েছিল তার সৈন্যরা। কাফেরের রক্তের নদী দেখে আপ্লুত বাদশাহ শিবির স্থানান্তরিত করেছিলেন।
আর একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক খবর দিয়ে এই লেখা শেষ করব। গান্ধী পরিবারের সদস্যরা কাবুলে বাবরের কবর দেখার জন্য গেলেও, তার অনতিদূরে গজনিতে হিন্দু সম্রাট পৃথ্বীরাজ চৌহানের সমাধি দেখতে কখনও যাননি। পরিবারের বাররপ্রীতির ইতিহাসে হিন্দু সম্রাটের প্রতি চরম উপেক্ষার প্রসঙ্গটি কোথাও আলোচিত হয়নি। এর একটা প্রধান কারণ পৃথ্বীরাজ চৌহানের সমাধি যে আফগানিস্তানে সেকথা বেশিরভাগ ভারতীয় জানেনই না। স্থানীয় আফগানরা প্রতিদিন সমাধিস্থলে এসে তাদের ক্ষোভ উগরে দেয়। তাদের ধারণা পৃথ্বীরাজ চৌহানই মহম্মদ ঘোরীকে নমাজ পড়ার সময় হত্যা করেছিলেন। ৯০০ বছর কেটে গেছে তবুও আফগানদের অজ্ঞতা ঘোচেনি (সূত্র : আর্মস অ্যান্ড আরমার : ট্র্যাডিশনাল ওয়েপনস অব ইন্ডিয়া; লেখক : জয়ন্ত পাল)। গজনির উপকণ্ঠে দুটি চূড়াবিশিষ্ট সমাধি দেখতে পাওয়া যায়। বড়োটি মহম্মদ ঘোরীর আর ছোটটি পৃথ্বীরাজ চৌহানের।
শেষবার যখন জয়ন্তবাবু গজনিতে যান তখন তার চোখের সামনে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছিল। তিনি লিখেছেন, “পৃথ্বীরাজ চৌহানের দেহাবশেষ যেখানে আছে তার ওপর রয়েছে একটি মাটির সমাধি। এর খুব কাছেই ঝুলছে একটি দড়ি। দড়িটি চূড়া থেকে নেমে মোটামুটি কাঁধের উচ্চতায় এসে শেষ হয়েছে। স্থানীয় আফগানরা প্রতিদিন প্রায় নিয়ম করে এসে ওই দড়ি ধরে এক পায়ে দাঁড়ান, তার পর জোরে লাথি মারেন পৃথ্বীরাজের সমাধিতে। ভারতের বীর সম্রাট এই বিজাতীয় ঘৃণায় কষ্ট পান কিনা জানি না কিন্তু জয়ন্তবাবু বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন।
গান্ধী পরিবার এই আফগান পরম্পরার কথা জানে না তা নয়, কিন্তু তারা কখনও গজনিতে যাননি। বাবরকে নিয়েই মেতে থেকেছেন। এই বিষয়ে প্রকৃত তথ্যানুসন্ধানের সময় এসে গেছে। জানা দরকার তাদের এই সীমাহীন বাবরপ্রীতি এবং পৃথ্বীরাজ চৌহানের প্রতি নির্মম উপেক্ষার কারণ কী! নয় তো স্বাধীনতা-পরবর্তী ভারতের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় অন্ধকারে থেকে যাবে।
রাম ওহরি
(লেখক অবসরপ্রাপ্ত আই পি এস অফিসার। সৌজন্য : অর্গানাইজার)