দুর্গাকে বিদায় জানিয়ে এ বার লক্ষ্মীকে বরণ করার পালা! চারদিকে ধুনোর গন্ধ, উলুর ধ্বনি ও আলপনায় সেজে উঠেছে সারা বাড়ি। লক্ষ্মীপুজো বলে কথা, নাড়ু আর খিচুড়ি ভোগ তো বানাতেই হবে। ঘটা করে পুজো চলছে বাড়িতে বাড়িতে। দেবীদের ভক্তিমনে পুজো করলেও মহিলাদের প্রতি সমাজের সব স্তরের চিন্তাভাবনা সমান নয়। বিশ্বজুড়ে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা হলেও এমন অনেক স্থান রয়েছে যেখানে মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সেই সব স্থানের মধ্যে বাদ পড়েনি মন্দিরও! জেনে নিন কোথায় কোথায় আজও মহিলারা প্রবেশ করতে পারেন না।
শবরীমালা মন্দির: কেরলের এই মন্দিরে নিষিদ্ধ নারীদের প্রবেশ। মন্দিরটি হিন্দু দেবতা আয়াপ্পান পূজিত হন। কথিত আছে, আয়াপ্পান শিব ও মোহিনীর (বিষ্ণুর নারী অবতার) পুত্র এবং ঘোরতর ব্রহ্মচারী। পেরিয়ার টাইগার রিজার্ভের এই মন্দিরে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত যান। তবে ১০ থেকে ৫০ বছরের মহিলাদের প্রবেশের অনুমতি ছিল না। তবে ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে দুই মহিলা পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মন্দিরে প্রবেশ করেন। সেই ঘটনা ছিল ব্যতিক্রম। তার পর প্রায় ঘণ্টাখানেক মন্দির শুদ্ধ করার কাজও চলে।
কার্তিক মন্দির: হরিয়ানার পেহওয়া এলাকায় রয়েছে কার্তিকের মন্দির। শোনা যায়, এই মন্দিরে এক বার ধ্যানে বসেছিলেন কার্তিক। তাঁর সেই ধ্যান ভঙ্গ করতে অপ্সরাকে পাঠানো হয়েছিল। ক্রুদ্ধ হয়ে অপ্সরাকে পাথরে পরিণত হওয়ার শাপ দেন কার্তিক। তার পর থেকেই মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ।
বার্নিং ট্রি ক্লাব: এটি এমন একটি গল্ফ ক্লাব, যেখানে শুধু পুরুষরাই যেতে পারেন এবং খেলতে আমেরিকার মেরিল্যান্ডের এই ক্লাবে ধনী, প্রভাবশালী মানুষজনের মেম্বারশিপ থাকে। তবে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না মহিলাদের।
মাউন্ট অ্যাথোস: গ্রিসের এই পর্যটন কেন্দ্রে যেতে হলে পর্যটকদের পাসপোর্ট জমা রাখতে হয়। হাজার হাজার বছর ধরে এখানে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য এই স্থান আদতে তীর্থস্থান।
ওকিনোশিমা দ্বীপ: জাপানে অবস্থিত ওকিনোশিমা দ্বীপে এখনও নারীরা প্রবেশ করতে পারেন না। কারণ ঋতুস্রাবকে অপবিত্র বলে মনে করা হয়। এই দ্বীপ থেকে বেরোতে গেলেও নাকি পুরোহিতদের অনুমতি নিতে হয়।