মুম্বাইয়ের পালঘরে গত বৃহস্পতিবার রাতে দুই সন্ন্যাসী সহ গাড়ির চালক কে পিটিয়ে খুন প্রায় 200 জনের উন্মত্ত শান্তিদূতেরা । দুই সন্ন্যাসীর একজন বছর 35 এর সুনীলগিরি মহারাজ ও অন্যজন বছর 70 এর কল্পবৃক্ষগিরি মহারাজ এবং গাড়ির চালক নীলেশ তেলগড়ে । মুম্বাইয়ের কান্দিবালি থেকে সুরাটে তাঁদের গুরুর অন্তিম সংস্কারের উদ্দেশ্যে তাঁরা রওনা হয়েছিলেন । লকডাউনের জেরে মুম্বাই-গুজরাট বর্ডার এলাকায় পুলিশ তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দেয় । এরপর পালঘরের একটি গ্রামের কাছাকাছি আসতেই শান্তিবাহিনী গাড়িতে পাথর ছুঁড়ে গাড়ির চালককে আহত করে এবং দুই সন্ন্যাসিকে পাথর ও লাঠি দিয়ে নৃশংসভাবে মারতে থাকে । ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পরে পুলিশের উপস্থিতিতেও এই নৃশংসতা চলতে থাকে । আহতদের ফেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয় ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , দুই সন্ন্যাসীর পরনে গেরুয়া বস্ত্র ছিলো । মৃতদের নাম তারবেজ কিংবা পেহলু খান না হওয়ায় সিলেক্টিভ মিডিয়ার কোনো মাথাব্যথা নেই, ট্যুইটারে বুদ্ধিজীবীদের কোনো শোরগোল নেই।
উদ্ধব ঠাকরে হিন্দু হৃদয়সম্রাট বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে৷ হ্যাঁ,উদ্ধব ঠাকরে বালাসাহেব ঠাকরেরই ছেলে৷ উদ্ধব বর্তমানে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী৷ 0পুলিশপ্রশাসন নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ৷ ঘটনাটির মুলে সিঙ্গেল সোর্সের অনুপ্রেরণা, রাইসব্যাগের ভালোবাসা,রেডস্টারের বিপ্লবীয়ানা, যেকোনটারই ভুমিকা থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷
একজন হিন্দু জাতীয়তাবাদী গেরুয়াধারী পিতার ‘সেকুলার’ পুত্রের শাসনে তিনজন গেরুয়াধারী সন্ন্যাসীকে মব লিঞ্চিংয়ে মরতে হচ্ছে! লিগশাসিত উন্নয়নের রাজ্যের পাশাপাশি, একদা হিন্দুহৃদয়সম্রাটের রাজ্যেও হিন্দুরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক৷
এখন মিডিয়া,লিবারেল ইকোসিস্টেমের আউটরেজ কোথায়,সলিডারিটি কোথায়, প্ল্যাকার্ড,মোমবাতি কোথায় ইত্যাদি বলতে আজকাল পরিশ্রান্ত লাগে৷ সারমেয়কে পেডিগ্রি না খাওয়ালে,সে কখনোই আপনার পা চেটে আদর করবে না৷ এখানে পেডিগ্রির নাম রেজিমেন্টেশান৷ খামোখা,সারমেয়কে দোষ দিয়ে লাভ?!
মহারাষ্ট্রের পালঘরে তিনজন হিন্দু সন্নাসী কে শান্তিদূতেদের পিটিয়ে মারার ঘটনাটা ঘটেছে বৃহস্পতিবার। এমন নয় যে মিডিয়া সেই খবর কভার করেনি।মিডিয়া সেই খবর কভারও করেছে।তাহলে আমরা পুরো ব্যাপারটা আজ জানতে পারছি কেন যদি মিডিয়া সেই খবর দুদিন আগেই ছেপে থাকে?
উত্তর জানতে হলে ভারতের চারটে বিখ্যাত খবরের কাগজে এই সংক্রান্ত খবরের হেডলাইন গুলো খুব মন দিয়ে পড়তে হবে।
পড়া হয়ে গেলে সবাই একবার ভেবে দেখবে যে ঘটনাটা যদি উল্টো হত তাহলে এই মিডিয়া হাউস গুলোই কেমন হেডলাইন লিখতো!!