সরকার রাস্তা নির্মাণের জন্য প্ল্যাস্টিকের ব্যাবহার করতে চলেছে। সরকারি কোম্পানি IOC ( Indian Oil Corporation) সিঙ্গেল ইউজ প্ল্যাস্টিকের (single use plastic) মাধ্যমে রাস্তা বানিয়েছে। IOC ফরিদাবাদে রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট সেন্টারের বাইরে ৮৫০ মিটার রাস্তা সিঙ্গেল ইউজ প্ল্যাস্টিকের মাধ্যমে বানিয়েছে। পরীক্ষায় পাওয়া গেছে যে, সিঙ্গেল ইউজ প্ল্যাস্টিকের মাধ্যমে বানানো রাস্তা সস্তা আর উন্নত হয়। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ন্যাশানাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (NHAI) এই বছরের অক্টোবর মাসের শেষ পর্যন্ত ৫০০ টন সিঙ্গেল ইউজ প্ল্যাস্টিক থেকে ১০০ কিমির হাইওয়ে বানানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। NHAI কাশ্মীরেও ফেলে দেওয়া প্ল্যাস্টিক দিয়ে রাস্তা বানানোর কাজ করছে। ২৭০ কিমি দীর্ঘ জম্মু-শ্রীনগর ন্যশানাল হাইওয়ে বানাতে সিঙ্গেল ইউজ প্ল্যাস্টিকের ব্যাবহার করা হবে।
NHAI একটি সার্কুলার জারি করে বলেছে, সিঙ্গেল ইউজ প্ল্যাস্টিক দিয়ে বানানো রাস্তার দেখভাল তাঁরা নিজেই করবে। বছরে দুইবার ওই রাস্তা গুলোর সমীক্ষা করা হবে। একটি অনুমান অনুযায়ী, সাত টন সিঙ্গেল ইউজ প্ল্যাস্টিক থেকে এক কিমি রাস্তা বানানো যেতে পারে। দিল্লীর ধোলা কুয়া থেকে এয়ারপোর্টের দিকে যাওয়া এক কিমি সার্ভিস লেন সিঙ্গেল ইউজ প্ল্যাস্টিক দিয়েই বানানো হয়েছে।
এছাড়াও উত্তর প্রদেশের গেটের পাশে প্রায় দুই কিমি রাস্তা এই সিঙ্গেল ইউজ প্ল্যাস্টিক দিয়েই বানানো হবে। এই রাস্তা মেরঠ এক্সপ্রেসওয়ের একটি লেনের অংশ। এই এক কিমির রাস্তা বানাতে প্রায় ১.৬১ টন প্ল্যাস্টিক লাগবে। এই রাস্তা রসুল খানের সাহায্যে বানানো হবে। রসুল খান ব্যাঙ্গালুরুতে সিঙ্গেল ইউজ প্ল্যাস্টিকের সাহায্যে ৩ হাজার কিমির থেকে বেশি রাস্তা বানিয়েছেন।
NHAI সিঙ্গেল ইউজ প্ল্যাস্টিক সংগ্রহ করার জন্য তিন যায়গায় কালেকশন সেন্টার বানিয়েছে। সড়ক পরিবহণ এবং রাজমার্গ মন্ত্রালয়ের তরফ থেকে জারি করা একটি বয়ানে বলা হয়েছে, রাজমার্গের নির্মাণে বিশেষ করে পাঁচ লক্ষ অথবার তাঁর থেকে বেশি জনসংখ্যার শহর এলাকা গুলোতে ৫০ কিমি আয়ত্বের মধ্যে থাকা রাষ্ট্রীয় রাজমার্গ গুলির নির্মাণে ফেলে দেওয়া প্ল্যাস্টিকের ব্যাবহারকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
ফেলে দেওয়া প্ল্যাস্টিক ব্যাবহার করার জন্য একটি অভিযান চালানো হচ্ছে, যার নাম ‘সচ্ছতাই সেবা”। এই অভিযান দেশজুড়ে ২৬ হাজারের বেশি মানুষকে প্ল্যাস্টিকের ব্যাপারে জাগরুক করেছে। ফেলে দেওয়া প্ল্যাস্টিক সংগ্রহ করার জন্য ৬১ হাজার ঘণ্টার শ্রমদান করা হয়েছে। আর এই সময়ে দেশ জুড়ে ১৮ হাজার কেজির সিঙ্গেল ইউজ প্ল্যাস্টিক সংগ্রহ করা হয়েছে।