এক বাঙালি উদ্বাস্তুর কথা

আমি দিল্লিতে নেই। এই মূহুর্তে আমি বসে আছি পাঞ্জাবের একটা ছোট্ট কাফেতে। আমার চারপাশে পাঞ্জাবি মানুষজনের ভিড়। তাঁরা হাসছেন, গল্প করছেন, ঝগড়া করছেন, সারাদিনের পরিশ্রমের পর বিয়ারের নিয়ে বসে আছেন কেউ। আমি, পূর্ববঙ্গের নাটোর থেকে আরবদের তাড়া খেয়ে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসা এক রিফিউজি পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম তাঁদের দেখছি, শুনছি, কফি খাচ্ছি। তাঁরাও অনেকেই আমার মতই উদ্বাস্তু পরিবারের উত্তরপুরুষ। তাঁদের পূর্বজরাও আমাদের মতই সর্বস্ব হারিয়ে কেউ লাহোর, কেউ পেশোয়ার, কেউ করাচি, কেউ হায়দ্রাবাদ শিকরপুর থেকে এক কাপড়ে চলে এসেছিলেন ভারতে। লুটপাট খুন ধর্ষণ কিছু করতেই বাদ রাখেনি আরব হায়নারা, ঠিক আমার পূর্বপুরুষের মতই। কিন্তু তারপর তাঁরা নিজের মাটির অধিকার বুঝে নিয়েছেন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে, ঘাতক জল্লাদদের পূর্ব পাঞ্জাবে কড়ায় ক্রান্তিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন তাদের প্রাপ্য। বিশ্বাস করুন, আমার অসুবিধা হচ্ছে। আমার অস্বস্তি হচ্ছে। আমি এভাবে লিখি না কখনও, কিন্তু আজ খুব বেশি করে অসুবিধা হচ্ছে আমার, লজ্জা করছে, অসহায় মনে হচ্ছে নিজেকে। আমি আমার বাঙালী হিন্দু নাম আর পদবী নিয়ে এখানে বসে থাকতে পারছি না। যতবার মনে হচ্ছে আমাদের জাতিতে, উদ্বাস্তু পরিবারের সদস্যদের একাংশের মধ্যেই কী ঘৃণ্য দালালি আর কাপুরুষতার ইতিহাস রচনা হয়েছে দেশের শত্রু কমিউনিস্ট পার্টির নোংরা পতাকা হাতে ধরে! এই মেরুদণ্ড সোজা রাখা লড়াকু মানুষগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে যতবার মনে পড়ছে, আমার পরিবারের সদস্যরা কেউ কেউ আমার পূর্বপুরুষের ঘাতকদের দালালি করতে, পিতার রক্ত লাগা হত্যাকারীর নাগরা জুতো চাটতে চাটতে কমিউনিস্ট পার্টি করেছেন ততবার আমার বমি পাচ্ছে। আমি উঠে যেতেও পারছি না। আমি জানি না আমি কী করতে পারি, আমার কী করা উচিত, আমি জানি না।

একটু আগে আমি হাঁটছিলাম একটি মন্দিরের চত্বরে। একা। আচমকা সন্ধ্যারতি শুরু হল। সকলেই জানেন, পাঞ্জাবে প্রচুর মন্দির, গুরুদ্বারা… ভাইয়ে ভাইয়ে এক সাথে থাকার মত পাশাপাশি মিলেমিশে রয়েছে। একটা মন্দিরের ভজনের শব্দ আরেকটা গুরুদ্বারার আরতির সুরের সাথে মিশে যাচ্ছিল, ওভারল্যাপ করছিল, একটা সুরের গায়ে আরেকটা সুর উঠে পড়ছিল। আমার মনে হচ্ছিল, একটা জায়গা থেকে আরেকটা জায়গায় নয়, আমি একটা কীর্তন থেকে আরেকটা কীর্তন হেঁটে যাচ্ছি। একটা সুর থেকে হাঁটতে হাঁটতে ঢুকে পড়ছি আরেকটা সুরে। হেঁটে যাচ্ছি শিবাজি থেকে তেগ বাহাদুরে, গোবিন্দ সিংহ থেকে প্রতাপাদিত্যে। আমি দেখছিলাম, বুড়ো গুরুদ্বারার গায়ে অসংখ্য পায়রা বাসা বেঁধেছে। পায়রাগুলো ঝটপট করছে, ডাকছে। দেখছিলাম, সুন্দর মিনারগুলির নীচে কত আলো, কত রং! কত রকমের জিনিসপত্রের পশরা নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। সস্তার জিনিস সব। তাঁদের ঘিরে ভিড় জমিয়েছেন সস্তা, কমদামী মানুষ। কারও চোখে কাজল, কেউ পাগড়ি আর গালপাট্টা, কারও মাথায় লেপ্টে আছে সিঁদুর। আমি আমার দেশকে দেখতে দেখতে হাঁটছিলাম আর একটা কীর্তন থেকে ঢুকে পড়ছিলাম আরেকটা ভজনে, সেখান থেকে আরও একটা গুরুদ্বারের আরতিতে…. মন্দিরের চূড়া থেকে উড়ে যাচ্ছিল পাখির দল, ফুচকা বিক্রেতার সঙ্গে ঝগড়া করছিল চুড়িদার পরা তরুণী, নিবিড় যত্নে পায়রাদের জন্য খাবার বিছিয়ে রাখছিলেন এক হরিয়ানভি প্রবীণ…

আমি এইসব দেখছিলাম আর হাঁটছিলাম। আমি মাসের অধিকাংশ সময়ই তাই করি। দেখি, হাঁটি, মানুষের সঙ্গে কথা বলি। রাজ্যে রাজ্যে, জেলায় জেলায়। তারপর যা দেখলাম, জানলাম, শুনলাম, সেসব লিখে ফেলি। এটাই আমার পেশা। ফেসবুক ব্যক্তিগত কথা বলার জায়গা নয়। কিন্তু বলে রাখি, আমি সহজে আপসেট হই না। আমার বয়স খুব বেশি নয়, কিন্তু সামান্য হলেও কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে। আরবদের ঘটানো দাঙ্গা দেখেছি, রাজনৈতিক হিংসা দেখেছি, অসংখ্য ধর্ষিতার সঙ্গে কথা বলতে হয়েছে আমায়। আমি কথা বলেছি খুনি এবং ধর্ষকদের সঙ্গেও। এই সব অভিজ্ঞতা আমায় সহজে আপসেট হতে দেয় না, হয়তো ঈষৎ অনুভূতিহীন হয়ে গেছি, জানি না। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আজ, ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির শেষ বিকেলে একজন বাঙালী হিন্দু হয়ে পাঞ্জাবের মাটিতে হাঁটতে হাঁটতে আমার বমি পাচ্ছিল, কান্না পাচ্ছিল। আমার দু’পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন অসংখ্য পঞ্জাবি, আমি তাঁদের চোখের দিকে তাকাতে পারছিলাম না।

আমি হাঁটছিলাম আর আমার মোবাইলে একটানা চলছিল একটা খবর। আমি খবরে দেখছিলাম, চাঁদবাগের নর্দমায় থেকে তুলে আনা ইঁট দিয়ে থেঁতলানো, রক্তমাখা শরীরটাকে বুকে জড়িয়ে ধরে হাউহাউ করে কাঁদছিলেন, আহাজারি করছিলেন একজন ভারতীয় মা। অঙ্কিত শর্মার মা। ছাব্বিশ বছর বয়সে একদল নেকড়ের আক্রমণে শহীদ হয়ে যাওয়া অঙ্কিত শর্মা আমার ভাই হতে পারতেন, অঙ্কিত শর্মার মা হতে পারতেন আমার মা। বিলাপ না লিখে “আহাজারি” লিখলাম, ছংখ্যালঘুভাইরা? বাংলা না লিখে আপনাদের ভাষায় লিখলাম। আরবভাইরা, আপনারা এবার অন্তত খুশি থাকুন। আমাদের ভাইদের এভাবে আর পশুর মত খুন করবেন না। আমাদের মায়েদের এভাবে আর কাঁদাবেন না। আমি পড়ছিলাম, অঙ্কিতের পরিবার অভিযুক্ত করছেন সম্প্রতি দিল্লিতে বিপুল ভোটে জিতে আসা দলের এক আরব নেতাকে। অঙ্কিতের বাবা রবীন্দ্র বলছেন, কীভাবে প্রথমে মেরে হাত পা ভেঙে, তারপর পাথর দিয়ে শরীরটাকে ছেঁচে দিয়ে গলা চিরে দেওয়া হয়েছে। এখানেই থামেনি জল্লাদ নেকড়েরা, তারপর খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়েছে আমার ভাইয়ের উপর, মৃত্যু নিশ্চিত করতে। বিশ্বাস করুন, জামাতে ইসলামির ভাড়াটে কুকুর, উদ্বাস্তু পরিবারের কুলাঙ্গার কোনো কমিকুত্তা সাংবাদিক রবীন্দ্র শর্মাকে জড়িয়ে ধরতে যায়নি, জানতে চায়নি সন্তান হারানো রবীন্দ্র শর্মার ঘাম অশ্রুতে কোনো ব্যক্তিগত ঈশ্বরের গন্ধ মিশে আছে কিনা। তারা এখন হয়তো হায়দ্রাবাদে আকবর ওয়াইসির ক্যাডারদের সঙ্গে বিরিয়ানির লেগপিস চিবোতে ব্যস্ত। ওরা যায় না, কারণ আমরা মরলে, আমাদের ভারতীয় ভাইয়েরা মরলে, আমাদের নিয়ে লেখার জন্য দুবাই থেকে কুয়েত থেকে টাকা আসে না।
আমাদের পুরনো বাড়িতে একটা বিড়াল ছিল, সাদা, তুলতুলে। তিন চারটে বাছুর নিয়ে যাওয়ার সময় একটা লরি ওকে চাপা দিয়ে চলে গেছিল। আমি থেঁতলে যাওয়া লাশটা বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম। ঘিলুফিলু সব চটকে গিয়েছিল ওর। আমি হাঁটছিলাম আর দেখছিলাম, এবার নিউজ চ্যানেলের ভিডিওতে, আইবির সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট শহীদ অঙ্কিতের মাকে জল খাওয়াবার চেষ্টা করছেন কেউ। গ্লাস অঙ্কিতের মায়ের ঠোঁটে পৌঁছচ্ছে না। হাতের কোষে করে জল তুলে দিতে দিতে পড়ে যাচ্ছে প্রায় সবটাই। আমি দেখছিলাম, সন্তান হারানো ভারতমাতার ওষ্ঠে জল তুলে দিতে ব্যর্থ হয়েছি আজ আমরা, এই ২০২০ সালের সেকুলার লিবারাল ভারতীয়রা।

দুহাজার এক সালে জামাতে ইসলামী-বিএনপি জোট বাংলাদেশে জিতে আসার পর, বাংলাদেশে তখনও থেকে যাওয়া আমার এক তুতো দিদিকে মূর্তিপূজক হওয়ার অপরাধে গ্রামের বাড়ি থেকে টানতে টানতে নিয়ে গেছিল জামাতের ছেলেরা। আমি দেখিনি, অনেক পরে ওদের পরিবার রাতারাতি চোরের মত বাংলাদেশ (পূর্ব পাকিস্তান নয়, বাংলাদেশ) ছেড়ে এপারে চলে আসার পর শুনেছি ওর মুখ থেকে। ও নির্লিপ্তের মতো মতো বলে যেত, “আমাকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছিল ওরা.. আমি আটকাতে চেষ্টা করছিলাম.. পারছিলাম না.. মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ছিলাম, ওরা ঘেঁষটে ঘেঁষটে নিয়ে যাচ্ছিল…” আমি নির্বিকার মুখে, অভ্যস্ত কানে শুনেছি। মনে পড়েছে, এই জামাতেরই নেতা গণহত্যার কারিগর আল্লামা সাঈদীর ফাঁসির বিরুদ্ধে যারা কলকাতায় মিছিল করেছিল তাদেরই পোস্টে আজ সংখ্যাগুরুর ফ্যাসিবাদের বিরোধিতার নামে লাইক-লাভ-ওয়াও দেয়, শেয়ার করে, কপিপেস্ট করে, একসাথে যৌথ মঞ্চে দলিত-মুমিন করে আমার কলকাতার কমিউনিস্ট বন্ধুরা। আমি ছোট্ট গুরুদ্বারাটা পেরিয়ে ডানদিকে বেঁকে হাঁটছিলাম আর দেখছিলাম অঙ্কিতের মা আবার কাঁদতে কাঁদতে জড়ানো হিন্দিতে বলছেন, আমায় আমার ছেলের কাছে যেতে দে, আমি বাঁচতে চাই না আর… বিকেলের আলো মরে আসছে আর আমার মাথার মধ্যে ভিড় করে আসছে ছেচল্লিশের দশই অক্টোবরের নোয়াখালি, পঞ্চাশের পনেরোই ফেব্রুয়ারির বরিশাল, চৌষট্টির দোসরা জানুয়ারির খুলনা, একাত্তরের পঁচিশে মার্চের জগন্নাথ হল, বিরানব্বইয়ের সাতই ডিসেম্বরের ঢাকা…তারপর সারি দিয়ে ধূলাগড় কালিয়াচক সাতগাছিয়া সন্দেশখালি বাদুড়িয়া দত্তপুকুর একটার পর একটা নাম… অশুভ সকাল… বিজাতীয় বিদেশি ভাষায় হিংস্র হুঙ্কার.. একটা সাদা আর সবুজ পতাকা ক্রমশ উপরে দিকে উঠছে, উঠছে.. তারপর সেখান থেকে বৃষ্টির মত ঝরে পড়ছে রক্ত.. আমি দেখছিলাম আমার বৃদ্ধা, অসুস্থ, মৃত্যুপথযাত্রী মাকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে একদল লোক.. মা আটকাতে চেষ্টা করছে, ঝটপট করছে, পারছে না…

আমি একজন তৃতীয় প্রজন্মের রিফিউজি, একজন নন-বিলিভার, কিন্তু সাংস্কৃতিক ভাবে হিন্দু বাঙালি, আমার পাঞ্জাবের মাটিতে হাঁটতে আজ লজ্জা করছে। আমার তীব্র অস্বস্তি হচ্ছে, বন্ধুরা। আমরা নাটোরে থাকতাম। আমাদের একটা ওষুধের দোকান ছিল। জিন্না-সুরাবর্দিরা দেশ কেটে আলাদা করার পরে আমরা আরব নেকড়েদের তাড়া খেয়ে একবস্ত্রে চলে এসেছিলাম এই বাংলায়। অভাবে, হতাশায় আমার একদা-সেকুলার ঠাকুর্দার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। গুম মেরে গিয়েছিলেন। কথা বলতেন না, ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতেন। চারের দশকের শেষ, পাঁচের দশকের শুরু। আমাদের বাড়িতে তখন কোনও রেডিও ছিল না। শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে এসেছিলাম আমরা আরবি-ফার্সি-গুলে-নেওয়া-বাংলা ভাষায় কথা বলা আরব জল্লাদদের হাতে। বহরমপুরের যে পাড়ায় আমরা থাকতাম, সেখানে তখন একটাই রেডিও। আমার দাদু, অভাবে, অনাহারে, আরব দাঙ্গাবাজদের অত্যাচারে ভিটে হারানোর যন্ত্রণায় পাগল হয়ে যাওয়া আমার দাদু ওই রেডিওর সামনে যেতে চাইতেন না। আকাশবাণীতে পূর্ব পাকিস্তানের কোনো খবর, মোনায়েম খান, ইস্কান্দর মির্জা, সোহরাওয়ার্দিদের নাম ভুল করেও কানে চলে এলে আমার পাগল হয়ে যাওয়া দাদু আতঙ্কে লাফিয়ে উঠতেন। তক্তপোষের নিচে ঢুকে যেতে চাইতেন কুঁকড়ে। ঠোঁট দিয়ে কষ গড়াতো। জড়ানো গলায় বলতেন, “ওরা আইতাসে, ওরা আইতাসে…”। আমার বাবা-কাকারা দাদুকে বোঝাতে পারিনি আমরা ভারতে চলে এসেছি, আর ভয় নেই। আমার পাগল দাদু তাদের বোঝাতে পারেনি, এটা পাঞ্জাব নয়। ভয় চিরদিন আছে, ভয় চিরদিন থাকবে, একদিন ওই বহরমপুর নিয়েই বর্তমান কাগজে প্রতিবেদন লিখতে হবে, একদিন ওই মুর্শিদাবাদেই বাউলের আখড়া ভাঙা হবে, বেলডাঙা-কৃষ্ণপুরে ভারতীয় রেলের উপরে সংগঠিত তাণ্ডব চালানো হবে।

আমি, এই ভারতবর্ষের একজন নাগরিক, একজন রিফিউজির নাতি। আমার পরিবারের কোনো কোনো সদস্য আজ নগদ পয়সা গুণে নিয়ে সিএএর বিরোধিতা করেন, দুই পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেবার বিরোধিতা করেন গঙ্গা ধাবা আর এইটবির লালঝাণ্ডার কুকুরদের কাছে দুটো হাততালি পেতে। শাহীনবাগের সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করে ওদের হাতে পাকিস্তান বাংলাদেশের সংখ্যালঘুর রক্ত লেগে যাচ্ছে, ওদের লাল পতাকায় অঙ্কিত শর্মাদের রক্ত লেগে যাচ্ছে। পাঞ্জাবের মাটিতে, যে পাঞ্জাব লাহোর-করাচির দুগুণা দত্তার ফিরিয়ে দিয়েছিল অমৃতসর-জলন্ধর-পাতিয়ালার চৌগুণা জুজার দিয়ে, তাদের মাটিতে এই দালালদের আত্মীয় হয়ে হাঁটতে আমার লজ্জা করছে, আমার লজ্জা করছে, আমার লজ্জা করছে। অঙ্কিতের নিথর হয়ে যাওয়া দেহটা দেখার পর সেকুলার কমিকুত্তাদের সংখ্যাগুরুর অসহিষ্ণুতার বাণী পড়লে আমার বমি পাচ্ছে।

আমি জানি না আমার, আমাদের কী করা উচিত.. আমি জানি না শেষ পর্যন্ত কী হবে.. আমি কোনও বিপ্লব, বিদ্রোহ, অভ্যুত্থানের বিষয়ে জানি না। জানতে চাইও না। সেসব করার জন্য অনেকে আছেন। আমি কেবল আমার লজ্জাটুকু জানিয়ে গেলাম। অঙ্কিতের পরিবারের কেউ, রতন লালের পরিবারের কেউ, বাংলা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আরবদের আগ্রাসনে সব হারিয়ে আসা হাজার হাজার উদ্বাস্তুদের কেউ কি এই প্রলাপ পড়লেন? যদি পড়ে থাকেন, আমায় ক্ষমা করুন আপনারা। আমি ক্ষমা চাইছি।


লিখলেন দিবাকর বাউরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.