রাতারাতি লকডাউন তুলে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করে দিলে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়। আজ থেকে ভারত যখন ভারত যেদিন আনলকের চতুর্থ পর্যায়ে পা রাখছে, ঠিক তার একদিন আগেই তাড়াহুড়ো করে লকডাউন তোলা নিয়ে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর-জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) বলছিলেন, “দ্রুত জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করে দেওয়ার প্রক্রিয়া বিপর্যয় এনে দিতে পারে। যে সমস্ত দেশ এই ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে শুধু তারাই জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার পথে হাঁটতে পারে।” WHO’র ডিরেক্টর-জেনারেল বলছেন, যারা সত্যিই সবকিছু স্বাভাবিক করতে চাই, তাদের সংক্রমণ কমানোর ইচ্ছেটাও থাকতে হবে। হয়তো মনে হচ্ছে, দুই দিক মিলিয়ে চলাটা অসম্ভব। কিন্তু তেমনটা নয়। টেড্রোসের কথায়, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, আমরা ভাইরাসটিকে ছড়াতে সাহায্য করছি না। যাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাঁদের রক্ষা করতে হবে। চূড়ান্ত নজরদারি’ প্রয়োজন। কারণ সংক্রমণের ‘ক্লাস্টার’গুলি যদি থেকে যায়, তাহলে রোগটি নিচুতলায় চলতেই থাকবে। তাই আরও বেশি বেশি টেস্ট, সনাক্তকরণ এবং আইসলেশন প্রয়োজন।’
WHO আগেই জানিয়েছিল, লকডাউন তুলতে হলে প্রয়োজন ‘চূড়ান্ত নজরদারি’। বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর সাবধানতা অবলম্বন না করলে ফের দ্রুত গতিতে ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস। কিন্তু সম্প্রতি
দেখা গিয়েছে, ইটালি-সহ গোটা ইউরোপেই আগের তুলনায় করোনার প্রভাব খানিকটা কম। এবং সেকারণেই গোটা ইউরোপ ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইছে। বেশ কিছু দেশে সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এদিকে, করোনার প্রভাব কমার কোনও ইঙ্গিত না মেলা সত্বেও লকডাউন তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত। এরই মধ্যে WHO’র এই নতুন সতর্কবার্তা নিঃসন্দেহে সাধারণ মানুষের চিন্তা
বাড়াবে। বিশেষ করে এই মুহূর্তে ভারতে যে রেকর্ড হারে সংক্রমণ হচ্ছে, সেটা নিয়ে আলাদা উদ্বেগ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।