করোনা কালেও মহানগরের চারটি বরোর ১৫-১৬টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কলকাতা পুরসভার (KMC) মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। কারণ, এবছর শহরের ৮০ শতাংশ ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর (Dengue) দাপট এখনও পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। কিন্তু দক্ষিণ কলকাতার (South Kolkata) সেই পুরাতন নির্দিষ্ট কয়েকটি ওয়ার্ডেই গতবারের মতই এবারও এডিস মশা বাহিত রোগের তাণ্ডব শুরু হয়েছে।
প্রতিটি ওয়ার্ড থেকেই বেশ কয়েকজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন। পর্যালোচনা বৈঠক শেষে চিহ্নিত ডেঙ্গু প্রবণ বরোগুলি হল– ৭, ৮, ৯,১০। শহরের অন্য অংশের রিপোর্টে আত্মতুষ্ট না হয়েই উদ্বিগ্ন পুরকর্তারা মোকাবিলায় বরোভিত্তিক ‘স্পেশাল অ্যাকশন প্ল্যান’ নিয়ে ওয়ার্ডগুলিতে অভিযানে নামছেন বলে বুধবার জানিয়েছন পুরসভার স্বাস্থ্য প্রশাসক অতীন ঘোষ। জনবহুল জনপদে ও বড় নিকাশিতে গত কয়েক মাস ধরে সোডিয়াম হাইপোক্লারাইট জীবাণুনাশক স্প্রে ছড়ানো হচ্ছে। এছাড়াও শহরে কম সংখ্যায় মানুষ আসায় ডাবের খোলা ও চায়ের ভাড় রাস্তায় কম পড়ায় জল জমছে না, তাই ডেঙ্গুর লার্ভাও কম হচ্ছে।
তবে ভবানীপুর, রাসবিহারী, টালিগঞ্জ, কসবা, যাদবপুর এবং আলিপুর ও বালিগঞ্জের এই ওয়ার্ডগুলিতে ডেঙ্গু সংক্রমণের মূল কারণ বাসিন্দাদের একাংশের উদাসীনতা। বাড়ির এসি-ফ্রিজ থেকে শুরু করে গাড়ি গ্যারাজে জল জমে যাওয়ায় সেখানে প্রচুর পরিমানে লার্ভা হচ্ছে বলে রিপোর্ট। সরকারি অফিসগুলিতেও ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। গৃহস্থ বাড়ির ফুলের টবে যেমন লার্ভা জন্মাচ্ছে তেমনই সরকারি আবাসনেও ময়লা জমে থাকায় সেখানে ডেঙ্গুর মশা বিস্তার করছে বলে অভিযোগ। প্রশাসক অতীনবাবু জানিয়েছেন, “ডেঙ্গু কম আছে বলে আততুষ্ট হচ্ছি না। চিহ্নিত চারটি বরোর নির্দিষ্ট ওয়ার্ডগুলির হেলথ অফিসার, ভেক্টর কন্ট্রোল অফিসার ও ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরকে নিয়ে শীঘ্রই বৈঠক করা হবে। যে সমস্ত এলাকায় বেশি রোগী পাওয়া যাচ্ছে সেখানে নিজে যাব।”