২০২২ সালের প্রথম দিকেই ঘূর্ণিঝড়ের চোখ রাঙানি বাংলার উপর। গতবছর পরপর ইয়াস, জাওয়াদে ভেসেছিল রাজ্য। আর এবার বছরের তৃতীয় মাসেই ঘূর্ণির ভ্রূকুটি রাজ্যের উপর। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে তা ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ১৫ মার্চ নিম্নচাপটি তৈরি হয় দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। প্রথমে আন্দামানের দিকে এগোবে এই নিম্নচাপ। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আন্দামান এবং আন্দামান সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করবে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আন্দামান থেকে ক্রমে উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে এবং ২২ মার্চ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে গিয়ে বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। এই আবহে রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এদিকে বসন্তে গ্রীষ্মের দাবদাহ সহ্য করতে হবে রাজ্যবাসীকে। কোনও ঝড়-বৃষ্টিরও সম্ভাবনা নেই রাজ্যে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবারের তুলনায় বৃহষ্পতিবার আরও বেশি গরম পড়বে। দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩৭ ডিগ্রি এবং ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করবে। এর আগে বুধবার কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি বেড়ে যায়। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়ে ২৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিনে ২ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী পাঁচদিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের ন্যূনতম সম্ভাবনা নেই। এই সময় আকাশ পরিষ্কার থাকবে এবং আবহাত্তয়া শুষ্ক থাকবে। দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে আজ হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গে গরম বাড়লেও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে।