সাঁইবাড়ি সিপিএম করেনি। সাঁই মানে বুঝতেই পারছেন সাঁইবাবা, সিরডি, মহারাষ্ট্রের ব্যাপার। তাই দেবেন্দ্র ফড়নবিশের লোক, বর্ধমানের বাবুলকে দিয়ে ওটা করিয়েছিল।
মরিচঝাঁপি সিপিএম করেনি। আপনারা জানেন ঝড়ের আগে কান্তি আসে। তাই তখন যেহেতু ঝড় হয়নি, তাই সিপিএম ওখানে যায়নি। মরিচ মানে বুঝতেই পারছেন, মারিচ থেকে কথাটা এসেছে। আর মারিচকে কে মেরেছিল, সেটা সবাই জানেন। মারিচহত্যাকারীর নামের স্লোগান কারা দেয়? ওরাই আসলে মরিচঝাঁপি করেছিল।
বিজনসেতু সিপিএম করেনি। কেমিস্ট্রিতে সবাই আলেয়া পড়েছেন। আলেয়া মিথেন গ্যাসের জন্য হয়। মিথেন মানে বুঝতেই পারছেন, মিথোলজির ব্যাপার। আর মিথোলজি নিয়ে কারা চর্চা করে সেটাও রংহীন বামগানে শুনেছেন, “তুমি পুরাণকে বল ইতিহাস…” ইত্যাদি। তারাই এইভাবে বিজনসেতুতে সন্ন্যাসী পুড়িয়েছিল।
বানতলা সিপিএম করেনি। গাড়িটা অ্যাম্বাসাডর ছিল। আর অ্যাম্বাসাডর তৈরি হত হিন্দ মোটরে। বুঝতেই পারছেন হিন্দ মানেই হিন্দীর ব্যাপার। আর কারা এখানে হিন্দী আগ্রাসন চাপাতে চাইছে সেটা সবাই জানেন। তারাই বানতলা করেছিল।
ধর্মতলাতে ২১শে জুলাই সিপিএমের পুলিশ গুলি চালায়নি। আরে জায়গার নাম শুনেই তো বুঝতে পারছেন, প্রথমেই ধর্ম। ধর্ম নিয়ে কারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, সেটা তো সবাই জানেন। এরপর আলাদা করে বলে দিতে হবে, কারা ধর্মতলায় ২১শে জুলাই করেছিল?
ছোট আঙারিয়া, বাসন্তী, নেতাই, কেশপুর, গড়বেতা এসব কোনটাই সিপিএম করেনি। গুজরাটে মোদী আর উত্তরপ্রদেশে যোগী যা করেছে, তার প্রভাবেই এগুলো করা হয়েছে। তারমানে বিষয়টা পরিষ্কার যে কারা এগুলো করেছিল।
সিপিএম চার দশকে এসব কিচ্ছু করেনি। সব বিজেপি-আরএসএস-মোদী-অমিত শাহ-যোগীর চক্রান্ত। সব ওরা করেছে।