করোনা (Corona) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুটি পরিবারের ৫ জনের। দুটি পরিবারের মৃত্যুই বেদনাদায়ক। একটি পরিবারে ৬ দিনের মধ্যে ৩ ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। অন্য পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বাবা-মা হারিয়ে অনাথ হয়েছেন ১৩ বছরের মেয়ে। ঘটনাটি দুটি মহারাষ্ট্রের পিম্পরি-চিনচবাদ এলাকার।
মার্চ থেকে শুধুমাত্র পিম্পরি-চিনচবাদ শিল্প শহরে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ২২০ জন।
একই পরিবারের ১৮ জন সদস্যের মধ্যে ৩ ভাই করোনা আক্রান্ত হন। ৮ জুলাই তাঁদেরকে চিনচবাদ এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩ জনেরই কো-মরবিডি থাকায় অবস্থার অবনতি হয়। ছোট ভাই প্যারালাইসিসে ও বড় ভাই এনজিওপ্লাস্টিতে ভুগছিলেন। এ ছাড়া তিন জনেরই ডায়াবেটিস ছিল। ওই পরিবারের বন্ধু সুশীল মঞ্চারকার বলেন, “তিন ভাই একে অপরের বন্ধুর মত ছিল। খাড়ালবাদী এলাকায় তাঁরা আলাদা থাকত কিন্তু একসঙ্গে থাকার জন্য পিম্পরি তারা একটি বাড়ি বানাচ্ছিল। অথচ তিনজনেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।” ১২ জুলাই ৫৬ বছর বয়সী ছোট ভাই প্রথমে মারা যান। তারপর ১৮ জুলাই ৬৮ বছর বয়সী বড় ভাই এবং ৬১ বছর বয়সী মেজো ভাই কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
অন্য পরিবারের ১৪ দিনের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। ওই পরিবারে স্বামী স্ত্রী ছাড়া ১৩ বছরের ছোট মেয়ে থাকত। ওই দম্পতির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু মেয়েটির রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। প্রথমে স্ত্রী মারা যান। তারপর স্বামীর মৃত্যু হয়। স্বামী ও স্ত্রী উভয়ই মারা যাওয়ায় তাদের একমাত্র কন্যা সন্তানটি অনাথ হয়ে যায়। ১৩ বছরের ওই মেয়েটির ঠাকুরমা মেয়েটির দায়িত্বভার গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। মেয়েটি বর্তমানে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে রয়েছেন।