এখনই নেই নিস্তার। উপরন্তু বারবার রূপ পাল্টে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এমনই আশঙ্কার কথা শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রেসাস। শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে হু-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের হদিশ প্রথম পাওয়া যায় ভারতে। দ্রুত বিশ্বের আরও ৯৮টি দেশে তা ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে সব দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের কড়া নজরদারি চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে টেড্রস আধানম ঘেব্রেসাস বলেন, মহামারীর পর্বের অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সব ভাইরাসের অন্যান্য সব ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় অনেক বেশি প্রভাবশালী। ভাইরাসের এই প্রজাতি অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তিনি সাফ জানিয়েছেন, কোনও দেশই এখন বিপন্মুক্ত নয়। একাধিক দেশ বিধি নিষেধে ছাড় দিয়েছে। আর তাই হাসপাতালগুলিতে ফের ভিড় বাড়ছে। একইসঙ্গে হাসপাতালে ভিড়ের কারণ হিসেবে টিকাকরণ যথেষ্ট হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে “বিপজ্জনক” বলে উল্লেখ করে রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সতর্ক করে দিয়েছিলেন। জন স্বাস্থ্যের বিষয়ে প্রত্যেক দেশের সরকারকে কড়া নজরদারি চালাতে বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ।
টেড্রস আধানম ঘেব্রেসাসের কথায়, দুটি উপায় করোনার প্রকোপ কমানো যেতে পারে। প্রথমত, কড়া নজরদারি, নমুনা পরীক্ষা, আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে হবে, আইসোলেশন সহ মাস্ক পরতে হবে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, জমায়েত বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, বিশ্বের প্রতিটি দেশকে অক্সিজেন, নমুনা পরীক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত কিট, চিকিৎসা, টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাকে এগিয়ে আসতে বলেছেন তিনি। বিশ্ববাসীর স্বার্থে টিকাকরণ কর্মসূচির গতি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মডার্নার উদ্দেশে তাঁরা বার্তা, ভ্যাকসিন তৈরির কাজে কতটা অগ্রগতি হয়েছে তা জানা গেলে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে রূপরেখা প্রস্তুত করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি আরও ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা শুরু হবে তত তাড়াতাড়ি করোনাকে প্রতিহত করা যাবে।