বিধানসভা নির্বাচনের আবহে একাধিক অশান্তির খবর এসেছে বীরভূম জেলা থেকে। নজরবন্দি করা হয়েছে জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। কিন্তু তারপরও বিজেপির বুথ ক্যাম্পে চলেছে ভাঙচুর বলে অভিযোগ। ভোট শুরু হওয়ার পর বিজেপি এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগও সামনে এসেছে। নানুর বিধানসভার অন্তর্গত বেজরা গ্রামে ১১২ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট দেবদাস সরকারের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।
আবার বোলপুর বিধানসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি বুথ ক্যাম্প ভাঙচুর হয়। তাতে ছড়াল উত্তেজনা। নির্বাচন শুরুর আগেই নির্বাচনের বিজেপির বুথ ক্যাম্প ভাঙচুর করে ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ভোট শুরু হওয়ার পর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। বীরভূমের দুবরাজপুর বিধানসভার নোয়াপাড়া ৫৯ নম্বর বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।।
এদিকে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। এদিন ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে। হাতিয়া হাজরাপাড়ার বাসিন্দা শান্তনা হাজরার অভিযোগ, তাঁরা বিজেপির সমর্থক। রাতে তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে পুলিশ। অন্যদিকে ওমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিনাইপুর গ্রামে ১৩ নম্বর বুথের বিজেপির পোলিং এজেন্ট গৌরাঙ্গ মণ্ডলের খোঁজ মিলছে না। সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে গৌরঙ্গকে অপহরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ. বুথে যাওয়ার পথেই গৌরাঙ্গকে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে অপহরণ করেছে। নানুরের বেলুটি গ্রামে পুলিশের সামনেই বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ।