করোনার টিকা নেওয়ার পর ১১ জনের মৃত্যু, তদন্ত চেয়ে চিঠি স্বাস্থ্য দপ্তরে

করোনা ভাইরাসের টিকাদান শুরু হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে মৃত্যু সংবাদ। এবার এই নিয়ে তদন্তের দাবি উঠল। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তাঁরা কোভিড -১৯ টিকাদানের পরে ১১ জন স্বাস্থ্যসেবা ও প্রথম সারির যোদ্ধাদের মৃত্যুর তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত মোট ১১ জন মারা গিয়েছেন। এই নিয়ে মালিনী আইসোলা, এসপি কালান্ত্রি এবং টি জ্যাকব জন- এই তিন প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ তদন্তের দাবি তুলেছেন। এই নিয়ে মন্ত্রককে চিঠিও লিখেছেন তাঁরা। চিঠিতে বলা হয়েছে, “যদিও জেলা বা রাজ্য আধিকারিকরা বলেছে যে মৃত্যুর কোনওটিই ভ্যাকসিনের সাথে সম্পর্কিত নয়। তবে এই মৃত্যুর মূল্যায়ন প্রয়োজন। এছাড়া টিকা দেওয়ার পরে অন্যান্য গুরুতর বিষয়ে জেলা, রাজ্য এবং জাতীয় প্রতিকূল ঘটনাগুলি নিয়ে Adverse Events Following Immunisation (AEFI) কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। এই মৃত্যুগুলির তদন্ত কে করেছে এবং প্রতিটি তদন্তের জন্য কী পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে, তার কোনও বিবরণও জনসমক্ষে আনা হয়নি।”

এই মৃত্যুর কারণ সামনে আনার পাশাপাশি তদন্ত করার বাধ্যবাধকতার কথাও বলা হয়েছে চিঠিতে। জানানো হয়েছে, “আমরা আপনার নজরে আনতে চাই যে ১১ টি মৃত্যুর ঘটনাটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে WHO-এর দেওয়া AEFI নীতি পূরণ করে। WHO-এর বক্তব্য অনুযায়ী সুরক্ষা নজরদারি ম্যানুয়ালে বলা হয়েছে সময়, স্থান বা টিকা দান সম্পর্কিত দুটি বা ততোধিক AEFI একসঙ্গে ঘটে। (১) টিকা গ্রহণের পরে কী হচ্ছে, নেতিবাচক কিছু ঘটছে কিনা তা নজরদারি করার জন্য WHO-এর বিশ্বব্যাপী ম্যানুয়ালে AEFI সংক্রান্ত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। (২) AEFI-এর বিষয়ে অতি অবশ্যই দ্রুত তদন্ত করা প্রয়োজন যাতে কারা ভ্যাকসিন নিতে পারবে না তা জাননো যায়। ত্রুটি সংশোধন করা যায়। এছাড়া ভ্যাকসিনের সমস্যাগুলিও চিহ্নিত করা যায়।

এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম দ্রুত গতির দেশ হিসেবে ভারত নিজেকে প্রমাণ করেছে। ৩০ লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া প্রাথমিক পর্যায়ের টার্গেট ছিল, যা পূরণ করতে পেরেছে কেন্দ্র সরকার। উল্লেখ্য, কেরল ও মহারাষ্ট্রে এখনও ৪০ হাজারেরও বেশি অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে এখনও লকডাউন নিষেধাজ্ঞা থেকে বের হতে চাইছে না মহারাষ্ট্র সরকার। এক বিবৃতি জারি করে উদ্ধভ ঠাকরে সরকার জানিয়েছে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লকডাউন নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে রাজ্য জুড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.