হাওয়া অফিসের খাতায় কলমে তাপমাত্রা নেমেছে মাত্র .১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু রাস্তায় বেরোলে কলকাতায় ঠাণ্ডার অনুভূতি ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনটাই জানাচ্ছে তাপমাত্রা পরিমাপক বেসরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য। রাতের তাপমাত্রা হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতোই ১০ ডিগ্রিতে নেমেছিল বলে জানাচ্ছে ওই বেসরকারি সূত্র। সেখানেই জানাচ্ছে ২০ডিসেম্বর ২০১৯ সালের সকালের রিয়েল ফিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২০১১ সালের শীতে সরকারি ভাবে তাপমাত্রা নেমেছিল ৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত শীতেই কলকাতার পারদ নেমেছিল ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শৈত্যপ্রবাহ সেই মাত্রাকে হারাতে পারে কি না সেটাই দেখার। আজ কোন কোন জেলায় বইবে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস?
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে উত্তর ২৪ পরগণা , দক্ষিণ ২৪ পরগণা, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান , পশ্চিম বর্ধমান, হুগলী, নদীয়া , মুর্শিদাবাদ শৈত্যপ্রবাহ বইবে শুক্রবার। হাওয়া অফিস এও জানিয়েছে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই চলবে শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার সারদিন চলেছে শীতের নাচন। কাঁপ ধরিয়েছে ঠাণ্ডা হাওয়া। শুক্রবার সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ভারতের উত্তর-পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে শীতের দাপট। শৈত্য প্রবাহ চলছে জম্মু কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডেও। রাজ্যের উত্তরভাগ সিকিম এবং সংলগ্ন এলাকাতেও তুষারপাতের ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তার প্রভাব পড়ছে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গে। অন্যান্য জেলাগুলির তাপমাত্রা গুলি নজর রাখলে আজকের শৈত্য প্রবাহের প্রভাব স্পষ্ট হবে। আসানসোলে ৯.২ বাঁকুড়ায় ৯.৫ ব্যারাকপুরে ১০.৩ বর্ধমানে ৯.৩ দিঘাতে ১০.৮ দমদমে ১১.৩ পানাগড়ে ৭.৬ পুরুলিয়ায় ৮.৪ শ্রীনিকেতনে ৭.৮ ডিগ্রিতে নেমেছে।