রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যেন অত্যাবশ্যক দ্রব্য কালোবাজারি , অতিরিক্ত খাদ্য মজুত কেউ যেন না করে। কালোবাজারির প্রমাণ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই রেশন ব্যবস্থায় ভালোমতো কালোবাজারি ধরা পড়েছে। অভিযোগ এসেছে লকডাউন ত্রাণের চাল চুরির। হাতে নাতে ধরা পড়েছে শাসক গোষ্ঠীর নেতা। কিন্তু তারা শুধরায় নি।
মানে যাদের চুরিই অভ্যাস তারা শোধরায় না। সারদা, রোজভ্যালি থেকে শুরু করে কাটমানি ইত্যাদির সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের তথ্য গোপন, কিট পাওয়ার পড়েও ব্যবহার না করা এসব তো তাঁদের মুকুটে শোভা বর্ধন করেছিলোই । এর সঙ্গে যুক্ত হল রেশনের চাল চুরি । অবশ্য এনাদের মোসায়েবরা এনাদের এসব ছোট্ট দোষ দেখতে পান না।
রাজ্যে গরিবের চাল চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। আজ আবারনৈহিটি বিধানসভার অন্তর্গত নেতাজি সুভাষ মোড় (গরুরফাঁড়ি) অঞ্চলে শাসক দলের কর্মকর্তারা FCI এর চাল চুরি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়েছে।
সূত্রের খবর সমীর দাস নামে এক অফিসার সাধারণ পোশাকে উনি দায়িত্ব নিয়ে চুরির মাল থানায় পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন।
হাতে নাতে ধরা পড়ে ভালো মতো অর্ধচন্দ্র খাবার পড়ে নৈহাটি ১ নং ওয়াডের বাসিন্দা জনৈক টোটো নামের ব্যক্তি স্বীকার করেন যে , তিনি নৈহাটি পৌরসভা থেকে চাল নিয়ে এসেছে। প্রসঙ্গত ওই ব্যক্তি শাসক দলের মোসায়েব।
https://youtu.be/QmkYX1Uceew
এবার আপনারাই চিন্তা করুণ রেশন চাল,ডাল ইত্যাদি শাসক দল গনবন্টনের মাধ্যমে কি করে দেয় ?
রাজ্য শাসক দলের কিছু মোসায়েব কয়েকদিন আগে অবাঙ্গালীদের মেরে ভাগাতে চাইছিলেন , কারন তারা নাকি চুরি ইত্যাদি করে এই অভিযোগে। যদিও তাদের কাছে কি ভিত্তি আছে সে কথার তার কোনো উত্তর নেই। এদিকে তাদের শাসক দল যে রাজ্যের জনগনের সব চুরি করে ফাঁকা করে দিচ্ছে সেই ব্যাপারে তারা নিশ্চুপ। অবশ্য মোসায়েব এবং কাটমানিখোরদের নিকট এর বেশি অধিক আশা করা যায় না।
এখন প্রশ্ন হল এর প্রতিকার এবং প্রতিবাদ কি হবে ?