#দিল্লীর_সেদিন_ও_হিন্দুরা : তাদের কথা কেউ তো বলে না

দিল্লীর দাঙ্গা , হয়ত একটি ঐতিহাসিক অধ্যায় ভারতীয় ইতিহাসে। এর ভয়াবহতা কোনো দিন পাঠ্য পুস্তকে আসবে কিনা জানি না তবে , তবে ভবিষৎ প্রজন্ম মনে রাখবে। এখন প্রশ্ন হল কি মনে রাখবে ? দাঙ্গা ভয়াবহতা ব্যতীত তারা কি মনে রাখবে ? ৪২ জনের নাম যাঁরা এই ভয়াল দাঙ্গায় মারা গেছেন? ১৭০ টি অসহায় পরিবার , যারা এই ভয়াল দাঙ্গায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ? তাহির হুসেন , উমর খালেদ , স্বরা ভাস্কর , বামপন্থী বুদ্ধিজীবী , নানা মৌলভী প্রমুখ যারা এই দাঙ্গাকে প্রত্যক্ষ মদত দিয়েছে ? শাহীন বাগের সংবিধান বিরোধী এবং হিন্দু বিরোধী বিক্ষোভ ? নাকি যা সেকুলার বুদ্ধিজীবী শিক্ষা ব্যবস্থা , সংবাদ মাধ্যম দেখাবে সেটা ?

 দিল্লীর দাঙ্গার সূচনা কিন্তু একদিনেই হঠাৎ করে হয় নি। এই ব্লুপ্রিন্ট দীর্ঘদিনের ….তার মধ্যে তাহির  হুসেন যেমন জড়িত ছিল তেমনি জড়িত ছিল পিঁজরা ছোড় নামক অতিবামপন্থী সংগঠন । এলাকায় এইসব অতিবাম ব্যক্তিদের আনাগোনা শুরু হতেই কিন্তু হিন্দু মুসলিমের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
এখন অতিবাম ব্যক্তি , সংগঠন এবং বুদ্ধিজীবীরা কেবল দাঙ্গাকারী, হিন্দু বিদ্বেষ ভাষণ কারী , সন্ত্রাসী ব্যক্তিদের বাঁচাতে ,তাদের হয়ে কথা বলতে ব্যস্ত। তারা হিন্দু বিরোধী নানা কাল্পনিক ন্যারেটিভও নামিয়েছে। তাহির হুসেন , যার বাড়ি ৪০০ জন দাঙ্গাকারী জমায়েত হয়েছিল এবং নানা ধরনের বোমা , অস্ত্র পাওয়া গেছে, অজস্র কোপে মরা অঙ্কিতকে পাওয়া গেছে , তাহেরুশে স্বীকার ছোট মেয়েকে পাওয়া গেছে তাকে যেমন বাঁচানোর চেষ্টা করছে , তেমনি পুলিশের মাথায় বন্দুক ঠেকানো শাহরুখ হয়েছে চন্দ্রাল শুক্লা। কিন্তু হিন্দুদের কথা কে  বলছে? এই ভয়াল দাঙ্গায় সব থেকে বেশি ক্ষতির স্বীকার তাঁরা। উঁচু বাড়ির ছাদের উপর থেকে ভ্যান রিক্সাকে গুলতীর মতো বানিয়ে এসিড বোমা টিপ করা হয় হিন্দু এলাকা গুলোকে এবং  হিন্দু বাড়ি গুলোকে। কনস্টেবল রাকেশ সহ আরো বহু হিন্দু এই হিংসার স্বীকার … তাঁদের  কথা কেউ বলে না … চারিদিক নরকের কৃমিকীটদের ন্যায় হিপোক্রিটসদের দেখলে বমি আসে।


এরা মনে করে হিন্দুরা কেবল মাত্র মুখ বুজে মার খাওয়ার জন্য আছে। তাই কাশ্মিরী পন্ডিত , বাঙ্গালী হিন্দু , কৈরানার হিন্দুরা নিজ ভূমে পরবাসী হলেও এরা অন্ধ হয়ে থাকে।


 হিন্দুরা যদি প্রতিবাদ করে তাহলে ? সন্ত্রাসীদের জন্য অশ্রু বহন শুরু করে এই কুষ্ঠ রোগী গুলো।
 আপনার এত কিছু পড়ার পর জানতে ইচ্ছে হচ্ছে নিশ্চয় যে ঠিক কেমন করে হিন্দুদের উপর সেখানে দাঙ্গা শুরু হল ?
শহীনবাগের প্রতিবাদ ছিল আসলে একটা পর্দা। ভিতরে চলেছিল ভয়াল দেশবিরোধী ও হিন্দু বিরোধী কাজ। হাজী ইউনিস হিন্দু এলাকা ব্রিজপুরী এবং তার চারপাশ দিয়ে হঠাৎই একটি শান্তি মিছিল বের করে যেটি মসজিদে গিয়ে ঢোকে এবং তারপরই দাঙ্গা শুরু হয়।
হলুদ পেট্রো ডলার প্রাপ্ত মিডিয়া শাহীন বাগের দেশবিরোধী আন্দোলনের রোমান্টিসিজমের মধ্যে এটা দেখায় না যে সেখানে কি ভাবে ছোট ছোট শিশুদের মগজ ধোলাই চলছিল।

 ভজনপুরার জনৈক হিন্দু বৃদ্ধাটি যখন চিৎকার করে বলেছিলেন যে , এটা হিন্দু সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ বটে কিন্তু এখানে কোনো হিন্দু সুরক্ষিত নয়। রাজধানীতে একজন হিন্দুও সুরক্ষিত নয়। হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য কোনো আইন নেই। তখন তার যন্ত্রনা কেউ শোনেন নি….


 জনৈকা দোকানি যখন কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন , ” আমাদের দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে , আমাদের কি দোষ ছিল ? আমাদের উপর মুসলিম দাঙ্গাবাজরা পাথর ছুঁড়ছিল …কি কেন আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি…” তখন কোনো হিপোক্রেটস এনার পাশে দাঁড়ায় নি।


ব্রিজপুরী এই দাঙ্গায় প্রায় নরকের দক্ষিণ দুয়ারের আকার নিয়ে ছিল। এক জনৈক ব্রিজপুরী নিবাসী জানান যে , ” যে মুসলিম আমাদের প্রতিবেশী ছিল এবং সৌহার্দ্য পূর্ণ সম্পর্ক ছিল তা হঠাৎ পাল্টে গেল। তারাই আমাদের পাথর , এসিড মারতে শুরু করল। আমরা দিল্লিতে ভালো নেই। হিন্দুরা এখানে একেবারেই সুরক্ষিত নয়। সবাই ভয়ে ভয়ে থাকে। হিন্দুদের এখানে জোড় করে হচ্ছে বাড়ি বিক্রি করে চলে যাবার জন্য।” আচ্ছা মিডিয়া শুনছে এসব কথা ? প্রসঙ্গত এসব দাঙ্গা বাজরা জওয়ানদের উপরেও এসিড এট্যাক করেছিল। যেখানে খোলা বাজারে এসিড বিক্রি বারন সেখানে এমন শক্তিশালী এসিড এল কি করে ? তাহলে তারা কি দেশের মধ্যে একটি সমান্তরাল দেশ , নিয়ম  ও আইন চালায় ?

 সন্ত্রাসী দাঙ্গাবাজ মুসলিমরা হাসপাতাল গুলিকেও রেহাই দেয় নি। এক জনৈকা বলেন যে, ” দাঙ্গা শুরু হবার পূর্ব দিন ট্রাম্পের আসা কে কেন্দ্র করে CAA এর বিরোধিতা করে অনেক মুসলিম হাসপাতালের সামনে জোড় করে চিৎকার করে নাড়া লাগছিল। ” মিডিয়া বা মানবতার ধ্বজাধারী রা তখন কোথায় ছিল?

 ব্রিজপুরী এবং তার আশেপাশের এলাকার বহু বহু হিন্দু পরিবার মুসলিম দ্বারা আক্রান্ত , আহত হয়েছেন। অনেকের শরীর ড্রেনের জলে ভাসতে দেখা গেছে। শিশুদেরও রেহাই দেওয়া হয় নি। শিশু মৃত্যু নিয়ে হিন্দুরা প্রতিবাদ করলে ,  আপ নেতা হাজী ইউনিস এবং শের মদম্মদ বলেছে , ” এসব তো হতেই থাকে। ” …. একটা প্রশ্ন আঁতেলদের নিকট হিন্দু শিশু শিশু নয় কি?

 এক জনৈকা দিল্লীর দাঙ্গা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কেঁদে বলেন , ” আমরা আমাদের বাচ্চাদের ছাদের উপর থেকে ছুঁড়ে ফেলছিলাম। নীচে প্রতিবেশীরা তাদের লুফে নিচ্ছিল। তারপর আমরা লাফ দিয়ে পড়ে পালাচ্ছিলাম। কারন আমাদের মৃত্যু তাড়া করেছিল। “

এক জনৈক শিক্ষক দিল্লীর দাঙ্গা নিয়ে বলেন , ” প্রতিদিন আজাদী স্লোগান শোনা একটি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে গেছে দিল্লীতে। কিন্তু এই ভয়ঙ্কর দাঙ্গা , পাথর ছোঁড়া এসব মধ্যযুগীয় ব্যাপার দেখে আমি ভীষণ চিন্তিত। বিশেষ করে আমরা ছাত্রীদের ব্যাপারে। “

দিল্লীর দাঙ্গায় প্রতিটি হিন্দু ব্যবসায়ী ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতা বলে , ” যেদিন থেকে হাজী ইউনুস প্রশাসনিক দায়ে এসেছে সেদিন থেকে হিন্দুদের উপর অত্যাচার চলেছে। দাঙ্গার দিন বেছে বেছে হিন্দু দোকান পোড়ানোর উৎসব চলছিল। দোকানে শ্ৰী কৃষ্ণ সহ দেবদেবীর মূর্তি ইচ্ছাকৃত পোড়ানো হয়েছে। এমন কি মসজিদ থেকে ফতোয়া দেওয়া হয়েছে। “


 দিল্লী যেন দ্বিতীয় কাশ্মীর। বেছে বেছে হিন্দু আই কার্ড চেক করে তাদের হেনস্থা করা হয়। অজস্র আধুনিক অস্ত্র নিয়ে মুসলিম জিহাদিরা রাস্তায় জম্বিদের মতো দাপিয়ে বেরিয়েছে। ভজনপুরা পেট্রোল পাম্প থেকে তেল বের করে বহু বাড়ি পোড়ানো হয়। দিল্লীর হিন্দুরা আজ বিধ্বস্ত। সেকুলার দুষ্ট মানুষ কপিল মিস্রা করে টার্গেট করছে। কারন সে হিন্দুদের উপর হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। 
আজ দিল্লী কাল আপনার পালা নয় তো ? ভাবুন …ভাবা ও নিজেকে রক্ষা করা দুটোই প্র্যাকটিস করুন। নিজের দেশ ও নিজের জাতিকে জানুন। অন্ধ হয়ে কাউকে বা কোনো মতকে মানবে না । সত্য তেতো হলেও সত্য সত্যই হয়।


তথ্যঃ KNOW YOUR NATION

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.