আজকের মতো একতা যদি সবসময় থাকে তাহলে হয়তো ভারত কে বিশ্বগুরু হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। আমার পাড়াতে লাল, সবুজ, গেরুয়া সবাই মিলে থালা বাসন ঘণ্টা ড্রাম হাততালি সবাই সব বাজিয়েছে। ভালো লাগছে খুব। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। আর আজকের এই কিছুক্ষণের ৫ মিনিটের সময়টা মনে হয় কেউ দিতে পারতেন না প্রধানমন্ত্রী ছাড়া। যখন চারিদিকে শঙখ আর ঘন্টা বাজছিলো তখন নিজের মনের শক্তি আরও বেড়ে যাচ্ছিলো, গায়ে কাঁটা দিচ্ছিলো। আর কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার মহাশক্তি জাগিয়ে তুলছিলো। এটাই হয়তো এর গুরুত্ব ছিলো যা প্রধানমন্ত্রী বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও তাঁকে নিয়ে মিম বানানোর অবকাশ কেউ ছাড়েন নি।
অনেকে না বুঝে না জেনেই পোস্ট করেছেন যে ঘন্টা বাজালে কি ভাইরাস মারা যাবে? আসল উদ্দেশ্য আর কারণ এটাই ছিলো ঘন্টা আর তালি বাজানোর। সমগ্র দেশবাসি কে একত্র করে তোলা আর সাথে সাথে চিকিৎসা জগতের সাথে যুক্ত, জরুরি পরিষেবার সাথে যুক্ত যেমন পুলিশ, আর্মি, রেলের কর্মচারী, পোস্ট অফিসের কর্মচারী যাঁরা, যাঁরা এই অবস্থাতেও আমাদের সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন তাদের কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা। এটা শুধু সিমবল ছিলো মাত্র, কোরোনা ভাইরাস মারার উপায় নয়, যা কিছু অতিশিক্ষিত বোদ্ধা জ্ঞানপাপী ফেসবুকে মজা করে ছড়িয়েছিলো।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর চেষ্টা ও প্রশংসার যোগ্যতা রাখে। রাজ্যের অভিভাবক হিসেবে যতোটা করার করছেন এখনও। নিরলস পরিশ্রম ও কোরোনা ঠেকানোর যত উপায় অবলম্বন করা দরকার করছেন। আমরা উনার পাশে আছি এখনও আর সবসময়ই থাকবো। মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রের ডাকে সাড়া দিয়ে লক ডাউন রাখার সিদ্ধান্ত কে সমর্থন করি। কারণ সময়ের চাহিদা এটাই। রাজনীতি নয়, মানবসুরক্ষা একমাত্র লক্ষ্য।
তবুও কিছু কোরোনার থেকেও মারাত্মক ভাইরাস সব দলেই বর্তমান যারা এখনও গত দুদিন আগে পর্যন্ত ভুলভাল বক্তব্য দিয়ে গেছে ফেসবুক লাইভে। মানে যারা নিজেদের যুব নেতা ভাবে আর কি! তারা এখনও রাজনীতির উপরে উঠে চিন্তা করতে পারেন নি।
এমতবস্থায় কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব। আর আমরা আজকের জনতা কারফিউ এর মতো ২৭ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন পালন করবো। এটা আমাদের ফোরমোস্ট প্রায়োরিটি হওয়া দরকার। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যা যা বলেছেন আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। ভিড় করবো না, হুড়োহুড়ি করবো না, ফেক নিউজ ছড়াবো না, অন্যকে খাবার জোগাড়ে সাহায্য করবো। বাড়িতেই থাকবো যতোটা সম্ভব। এমারজেন্সি ছাড়া বেরোবো না। মুদি, ওষুধ, রেশন, বাজার, সব খোলা থাকবে। সব একদিনে তুলে নেওয়ার কোনো দরকার নেই। তাতে সবাই খাবার পাবেন কিছু কিছু করে হলেও। নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে নিজের ও অন্যের খাবার জোগাড়ে সাহায্য করতে হবে।
জনতা কারফিউ এর মতো লকডাউন সফল করুন। জীবন বাঁচলে সব বাঁচবে। নিজে বাঁচলে দেশ বাঁচবে। আর দেশ কে বাঁচানোর দায়িত্ব আমাদের’ই। কোনো রাজনৈতিক পোস্ট নয়। তাই রাজনীতি দূরে সরিয়ে রেখে আসুন স্বাগত জানাই এই লক ডাউন এর সিদ্ধান্ত কে। সুকমা’য় নিহত দেশের বীর জওয়ান দের প্রতি মাথা নীচু করে শ্রদ্ধা জানাই। তাঁদের আত্মা শান্তি পায় যেনো। এর বদলা অবশ্যই নেওয়া হবে, সময় হলেই।
আপনাদের পাড়ায় কেমন ভাবে জনতা কারফিউ হল, বা ধন্যবাদ জ্ঞাপন হল তা নীচে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আমরা পড়ে জানতে পারবো অনেক কিছু …..
#জয়_হিন্দ#বন্দে_মাতরম