এ বড় কঠিন সময় আজ। কোনো সমাজকে ধ্বংস করতে গেলে আক্রমণকারী সে সমাজের সৃষ্টি কৃষ্টির ওপরেই প্রথম আঘাত হানে, যাতে সে সমাজকে ভেতর থেকে অন্তঃসারশূন্য করে তোলা যায়। বাঙ্গালীর সৃষ্টি কৃষ্টির লালন পালনে অন্যতম মাধ্যম রবীন্দ্রচর্চা। আর তাই সেখানেই নেমে এসেছে আঘাত। সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসবাদী আঘাতে বিদীর্ণ হয়েছে রবীন্দ্রভারতী থেকে গৌড়বঙ্গRead More →

ভারতবর্ষের বৌদ্ধিক জগতে স্বাধীনোত্তর কাল থেকেই নেহরুর আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে ছদ্ম সেকুলার ও বামপন্থীদেরই রমরমা। এদের সুকীর্তির(?) ফলে বিবেকানন্দ রচনাবলী থেকে বহু জায়গায় হিন্দু শব্দ উধাও হয়ে গেছে । এদের কল্যাণে (?) স্বামীজি হয়েছেন ‘গীতা ছেড়ে ফুটবল খেলার পরামর্শদাতা‘ এবং ‘দিবে আর নিবে….. মিলাবে মিলিবে‘ ও ‘শক, হুণ দল মোঘলRead More →

ঐশী ব্যানার্জির আবৃত্তি বিচিত্র সাধ  অভিজিৎ নস্কর এর মাউথ অর্গানে পুরানো সেই দিনের কথা ঐশিকা মল্লিকের আবৃত্তি মাকাল অনমিত্র চক্রবর্তী এর মাউথ অর্গানে মায়াবন বিহারিনী হরিণী আনন্দ লহরী ব্যান্ডে (ভোকাল: আকাশ ভৌমিক ওঅনন্যা কর্মকার, রিদম: রুপম মন্ডল, গিটার: অরিজিৎ দত্ত, মেন্ডলীন: অমৃত সরকার, বাঁশি: সৈকত সর্দার, বেস গিটার: সুবীর বিশ্বাস)Read More →

বিশ্বব্যাপী চলেছে রবীন্দ্র-পূজন। সারা বছরই রবীন্দ্রচর্চা,গবেষণা চলে।তবুও তাঁর আবির্ভাব দিবসে রবীন্দ্রনাথকে আমরা বড্ড নিজের ভাবি।বসুধার প্রান্তে প্রান্তে,প্রত্যেক বিশ্ববাসী নিজ নিজ হৃদয়ে জাগ্রত করেন কবিকে।অন্তত একবারও হলে গুনগুন করে গেয়ে ওঠেন রবীন্দ্রনাথের কোনো গানের চরণ।অজান্তেই আবৃত্তি,উচ্চারণ করে বসেন তাঁর কবিতার কোনো পংক্তি।সবকিছুই যে তাল-লয় মেনে,তা হয়ত নয়। নিজের মতো করেই!রবীন্দ্র-পূজন ‘গঙ্গাRead More →

রবীন্দ্রনাথ (Rabindranath) ও স্বদেশ প্রেম যেন সমার্থক শব্দ। অনুরূপভাবে স্বয়ংসেবক এবং দেশপ্রেম যেন সমার্থক শব্দ। বাংলায় রবীন্দ্র জয়ন্তী ঘরে ঘরের উৎসব । প্রতিটি পরিবারই রবীন্দ্রনাথের কবিতা ,গল্প, সংগীত নিয়ে মাতোয়ারা। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘরের বাচ্চাদের রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন বা কবিতা পরিবেশন, পাড়ার মোড়ে মোড়ে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন ,বাংলার সমাজ জীবনের অঙ্গRead More →

চিতোর প্রসাদে প্রবেশ করছেন আলাউদ্দিন (Alauddin)। বীরদর্পে যুদ্ধ করেও পরাজিত চিতোর রাজ। বিধর্মীদের দ্বারা অত্যাচারিত, ধর্ষিত না হবার জন্য প্রাসাদে তখন এক এক করে চিতায় আত্মাহুতি দিয়ে চলেছেন রাজপুত নারী। চিতোর আক্রমণের কাহিনী নিয়েই ১৮৭৫ সালে জ্যোতিদাদা (জ্যোতিরিন্দ্র নাথ ঠাকুর) লিখলেন ঐতিহাসিক নাটক ‘সরোজিনী‘।জ্যোতিদাদা ছোটোভাই রবির পড়ার ঘরে বসেই নাটকেরRead More →

উপনয়নের পর, হিমালয় ভ্রমণের পূর্বের অবসরে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন ‘ পৃথ্বীরাজের পরাজয় ‘ নামে একটি বীররসাত্মক কাব্য। যদিও সেই কাব্যগ্রন্থের পান্ডুলিপি পরে আর পাওয়া যায় নি। কী ছিল সেই কাব্যে? কেন শিশু রবি পরাজিত হিন্দু রাজা পৃথ্বীরাজকে নিয়ে এমন কাব্য রচনা করতে গেলেন?রবীন্দ্র জীবনীকার প্রশান্ত কুমার পাল (Prashant Kumar Pal) এRead More →

ঢাকার রবীন্দ্রজয়ন্তী ১৩৫৩ বঙ্গাব্দের পঁচিশে বৈশাখ। ইংরাজিতে সেটা ১৯৪৬ সাল। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালিত হচ্ছে। স্কুলের এক ছাত্র অসাধারণ বাঁশি বাজাতে জানে। তার বাঁশির সুরের জাদু ছড়িয়ে যাচ্ছে দক্ষিণে বুড়িগঙ্গা নদীর ঘাট থেকে সদরঘাট ক্রসিং ছুঁয়ে সোজা উত্তরে জগন্নাথ হলের দিকে, পঁচিশে বৈশাখের স্নিগ্ধ সকাল ধন্য হয়ে উঠেছে, প্রফুল্লতায়Read More →

প্রত্যুষের প্রথম আভাঅরণ্যের শিশিরবর্ষী পল্লবে পল্লবে ঝলমল করে উঠল। নক্ষত্রসংকেতবিদ্‌ জ্যোতিষী বললে, বন্ধু, আমরা এ সময় এসেছি।পথের দুই ধারে দিক্‌প্রান্ত অবধি পরিণত শস্যশীর্ষ স্নিগ্ধ বায়ুহিল্লোলে দোলায়মান —আকাশের স্বর্ণলিপির উত্তরে ধরণীর আনন্দবাণী।গিরিপদবর্তী গ্রাম থেকে নদীতলবর্তী গ্রাম পর্যন্তপ্রতিদিনের লোকযাত্রা শান্ত গতিতে প্রবহমান — কুমোরের চাকা ঘুরছে গুঞ্জনস্বরে,কাঠুরিয়া হাটে আনছে কাঠের ভার,রাখাল ধেনুRead More →

“শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভু়ঁই আর সবই গেছে ঋণেবাবু বলিলেন, ‘বুঝেছ উপেন, এ জমি লইব কিনে।’…রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহুচর্চিত উপরোক্ত “দুই বিঘা জমি” কবিতার প্রেক্ষাপট খুঁজতেই আজকের এই আলোচনা। রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath) অনেক রচনারই বাস্তব প্রেক্ষাপট আছে এবং তিনি তাঁর “ছিন্নপত্র”-এ সে সবের কিছুটা তুলে ধরেছেন।“দুই বিঘা জমি”-র বাস্তব পটভূমি হলোRead More →