শ্রীগৌড়ীয় বৈষ্ণব সাহিত্যাকাশে মহাপ্রভু শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যদেব এক উজ্জ্বলতম জ্যোতিষ্ক। তাঁর আবির্ভাবের পূর্বে ধর্মান্ধতা, ভেদবুদ্ধি এবং কুসংস্কারাচ্ছন্নতায় ভারতবাসীর জীবন বিপর্যস্ত ছিল। বুদ্ধদেব এসে যদিও অহিংসার বাণী প্রচার করেছিলেন তবুও পরবর্তীকালে নাস্তিক্যবাদ, সৌরতন্ত্র, হীনযান, মহাযান, বজ্রযানাদি প্রভৃতি কূট নিয়মে মানব সমাজে কল্যাণের পথ আস্তে আস্তে রুদ্ধ হয়ে যায়। তৎপরবর্তীকালে শঙ্করাচার্যের অদ্বৈতবাদ, রামানুজাচার্যের বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ,Read More →

“আমার তখন পইতা হইয়াছে। দুই কানে দুই সোনার মাকড়ি, মাথা নেড়া, পায়ে কাশীর জরির জুতা, পরনে গেরুয়া রঙের থান পেড়ে কাপড়, গায়ে গেরুয়া রঙের এক ভাগলপুরী বাপ্তার কোট। তখন আমি বোধহয় ফিফ্‌থ ক্লাসে পড়ি। স্কুলে যাইয়াই শুনিলাম, ইনস্পেক্টার ভূদেববাবু স্কুল দেখিতে আসিবেন। হেডমাস্টার ছিলেন— বাবু বেণীমাধব দে। ঠিক বেলা দুইটারRead More →

আবার রক্তাক্ত হলো কাশ্মীর। গত অর্ধদশকের মধ্যে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ সে প্রত্যক্ষ করলো ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে। জঙ্গি বোমা বিস্ফোরণে শহিদ হলেন ৪০ জন ভারতীয় জওয়ান। গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারকারী জঙ্গিদের নিখুঁত পরিকল্পিত আক্রমণ সকলকেই বিস্মিত করেছে, কিন্তু তার সঙ্গে আরেকটি প্রশ্নও অনুসন্ধিৎসু মনে। মাঝে মাঝে উদিত হচ্ছে,Read More →

ভোররাতের হানায় ভারতীয় বায়ুসেনা গুড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের অভ্যন্তরস্থ জঙ্গি ঘাঁটিগুলি। ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশবাসী ভারতীয় বায়ুসেনা ও মোদী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এতদিনকার রক্ষণাত্মক পররাষ্ট্রনীতি ছেড়ে মঙ্গলবারের ঊষালগ্নে ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্ত পেরোনোর প্রয়োজনীয় কাজটি করলো। সারা বিশ্ব বুঝে গিয়েছে একতরফা মার খাওয়ার যুগের সমাপ্তি ঘটিয়ে দুষ্টের দমনের যুগেRead More →

ভারতে নানা ধর্ম, ধর্মাচরণের বিবিধ পদ্ধতি, ভাষা ও সংস্কৃতিগত বিভিন্নতা সত্ত্বেও পরস্পরের মধ্যে যে সহমর্মিতা ও সহিষ্ণুতার ভাব দেখা যায়, তার প্রেক্ষাপটে রয়েছে সনাতন ধর্মের শিক্ষা। ভারতবাসী বিশ্বাস করে ঈশ্বর আস্তিক-নাস্তিক, জ্ঞানী-মূর্খ সকলের হৃদয়ে বিরাজমান রয়েছেন। এই অনুভব থেকেই এসেছে বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের কথা—যা স্বামী বিবেকানন্দ গর্বের সাথে বিশ্ববাসীকে স্মরণ করিয়েছেন।Read More →

প্রথা অনুসারে আইন প্রণয়নই ভারতের সংসদের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যারা এই কাজ অতিবাহিত করেন তারা হচ্ছেন দেশের আইন প্রণেতা অর্থাৎ সাংসদ। ভারতের সংবিধানের ২৪৫ ও ২৪৬ নম্বর অনুচ্ছেদ মতে সংসদ সমগ্র ভারতে অথবা দেশের বিশেষ কোন অঞ্চলের জন্য আইন প্রণয়ন করতে পারে। সংবিধানের সপ্তম তফসিলে আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে তিনটিRead More →

স্বাধীনতার সূচনা সময়ে ভারতে ছিল নির্মম দারিদ্র, অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক নানান সামাজিক সূচক ও প্রাথমিক পরিকাঠামোহীন একটি দেশ। স্বাধীনোত্তর কর্মকাণ্ডের শুরুতে দেশ সমাজবাদী অর্থনীতিকেই দেশ চালনার মডেল হিসেবে বেছে নেয়। এরই অঙ্গাঙ্গী ছিল লাইসেন্স পারমিট রাজ, সরকারি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বিতরণ ও মূল্য নির্ধারণ এবং অতি প্রাচীনপন্থী এক বাণিজ্যনীতি। অবশ্যম্ভাবীRead More →

আমাদের দেশে জোট রাজনীতির ইতিহাস অতি প্রাচীন। তালিকোটার প্রান্তরে দক্ষিণ ভারতে ভারতীয় সভ্যতা সংস্কৃতির একমাত্র রক্ষক বিজয়নগর সাম্রাজ্যকে ধ্বংস করেছিল বিজাপুর, আহম্মদনগর, গােলকুণ্ডা, বেরার ও বিদর এই পাঁচ মুসলমান রাজ্যের জোট। জোট রাজনীতির খেলায় সেদিন দাক্ষিণাত্যে ধ্বংস হয়েছিল জাতীয় সভ্যতা, লাভবান হয়েছিল ক্ষুদ্র ব্যক্তিগত বিদেশি স্বার্থ। স্বার্থের প্রয়ােজনে জোট গঠনRead More →

সাধারণ নির্বাচন আসন্ন। অগোছালো কিংবা সাজানো গোছানো পারস্পরিক অভিঘাতময় এই সময়ের ক্যানভাসে কেন্দ্রীয় বিত্তমন্ত্রীর বাজেট পেশ একটা খুব বড়োসড়ো ব্যাপার। সর্বস্তরের মানুষের তুমুল আগ্রহ ছিল এই বাজেট নিয়ে। বিশেষত এই বিশাল দেশের বিপুল সংখ্যক দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকেরা তাদের বেদনা-অধ্যুষিত অনিরাপদ অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসবার দিশা রূপে এই বাজেটেরRead More →

স্বাধীনােত্তর ভারতে কতিপয় সর্বজনসম্মানিত দুর্লভ মানবিকগুণ সম্পন্ন নেতাদের অন্যতম ছিলেন এই মানুষটি। —“আমরা মােটেই নিজ স্বার্থের জন্য পৃথিবীতে আসিনি কেবলমাত্র নিপীড়িত ও অবহেলিতদের জন্যই আমাদের জীবন ধারণ।” বাক্যটি নানাজীর ও তার সমগ্র জীবনটিই ছিল এই উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে, তার মৃত্যুর আট বছর পর বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার তাকে সর্বোচ্চRead More →