জয়ন্তী এবার বললেন নিজের পরিচয়, “আমি ইন্দ্রের কন্যা জয়ন্তী। জয়ন্তের কনিষ্ঠা ভগিনী ।আমি আপনাকে ভালোবাসি আচার্য ।আমি আপনার সঙ্গে সহধর্মিনী হতে চাই। আপনার সঙ্গে ধর্মের নিয়ম বিধি অনুসারে মেনে সংসারে মিলিত হতে চাই।” বনকন্যা দেবযানী। বয়ঃবৃদ্ধির সঙ্গে তাঁর যদিও লজ্জা , সংযম ইত্যাদি লুপ্ত থেকে বিলুপ্ত হয়ে স্বভাব পাহাড়ি ঝর্ণার মত উচ্ছল, চঞ্চল, প্রজাপতির মত রঙিন , বিহঙ্গের মত মুক্ত হয়ে উঠেছিল। তপ্ত তাম্রবর্ণা অথবা রক্ত পদ্ম রঙ, দীর্ঘ আঁখি যুগল, দেবীর ন্যায় মুখমন্ডলী প্রাপ্ত, দেব মাতা অসুর পিতার কন্যা দেবযানীর হাঁসি পাখীর কলতানের ন্যায় অরন্যকে মুখরিত করে তুলত। তাঁর কলকল কথার শব্দ হাজার পাখির গুঞ্জনের মত মধুর অথচ আনন্দ পূর্ন ছিল। Read More →

বহু বছর পর শুক্রাচার্য তপস্যা শেষ করলেন। সন্তুষ্টহয়ে’ মহাদেব তাকে বললেন , “তুমি যে তপস্যা করেছ ,তা আর অন্য কেউ পারবেনা । আমি আশীর্বাদ করছি আমি যে নিগূঢ় মন্ত্র জানি, তার সমস্ত রহস্য তুমি ছাড়া আর কোন দিন কারো কাছে প্রতিভাত হবে না। এ মন্ত্র শক্তি এবং তোমার প্রতিভার তেজে তুমি জয়ী হবে।” মহাদেব শুক্রাচার্য্যকে মন্ত্র যে দান করেছিলেন তাই ছিল সঞ্জীবনী মন্ত্র। অসুরদের বাঁচিয়ে তুলতে পারবেন শুক্রাচার্য সেই মন্ত্র দ্বারা। আর এই মন্ত্রেরর জন্যই আমি বৃহস্পতি পুত্র শুক্রাচার্যের আশ্রমে এসেছি। বাস করেছি অসুরদের মাঝে বিপদ সংকুল হয়ে…..Read More →