পুরাণ ও সাহিত্য ভিন্ন স্তরে কাজ করে। অধ্যাপক ক্লদ লেভি স্ট্রাউস লিখেছিলেন, অতি ভালো অনুবাদকের হস্তক্ষেপেও কবিতার রস ঠিক থাকে না। অন্য দিকে অত্যন্ত খারাপ করে বললেও পুরাণের আখ্যান কিছু না কিছু বার্তা বহন করে শ্রোতাদের মনে আবেশ সঞ্চার। করে। এর কারণ বিচার করেছেন লেভি স্ট্রাউস, কবিতা মানব সভ্যতার যেRead More →

ভারতীয় মহাকাব্য যে ভারতের ইতিহাস, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। “রামায়ণ-মহাভারতকে কেবলমাত্র মহাকাব্য বলিলে চলিবে না, তাহা ইতিহাসও বটে। ঘটনাবলীর ইতিহাস নহে; কারণ সেরূপ ইতিহাস সময় বিশেষকে অবলম্বন করিয়া থাকে, রামায়ণ-মহাভারত ভারতবর্ষের চিরকালের ইতিহাস।” মহাভারতের ঐতিহাসিকতা নিয়ে বিপুল গবেষণা করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়; তাঁর ‘কৃষ্ণচরিত্র’ গ্রন্থে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে।Read More →

রামায়ণ অর্থাৎ শ্রীরামচন্দ্রের কাহিনী। সেই কাহিনী গ্রন্থে অর্থাৎ গল্পের বইতে দর্শন? আসলে মহাভারতের যুদ্ধের পরে কলিযুগের আরম্ভে ঋষিরা মানুষের মেধা এবং ধর্মের প্রতি মানুষের অনুরক্তির হ্রাসের কথা চিন্তা করে সমস্ত তত্ত্ব ও দর্শনকে সর্বসাধারণের মধ্যে প্রচার করার উদ্দেশ্যে জীবনের গভীর তত্ত্বগুলিকে কাহিনীর আকারে প্রকাশ করার পরিকল্পনা করেন। এই মহান্ জ্ঞানসত্রRead More →

বলা হয় লঙ্কার অধিপতি দুর্ধর্ষ রাবণ নাকি পালকপিতা ব্রহ্মার প্রপৌত্র। শিবের চরম উপাসক। সেই তিনিই নাকি কোনও এক প্রতিহিংসার বশে ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের স্ত্রী মাতা সীতাকে অপহরণ করেছিলেন। সেই অন্যায়ের খেসারত নাকি তাঁকে জীবন দিয়ে দিতে হয়েছিল। অন্তত মহর্ষি বাল্মীকির লেখা রামায়ণ থেকে তেমনটাই জানা যায়। তবে উল্টো পথেও হাঁটেনRead More →