আর সীতার চোখে পড়ল সেই অপূর্ব হরিণ..! সেই হরিণটি সব অর্থেই অনন্য, অত্যন্ত সুন্দর ছিল। বর্ণনাতীত স্বর্ণ মৃগ দেখে জনকনন্দিনী সীতার মনে সেই হরিণের চামড়া থেকে আসন তৈরি করার ইচ্ছা জাগলো। সীতা শ্রীরামকে বললেন, “আমি এই সোনার হরিণটি চাই। আপনি মৃগয়া করে এই সোনার চামড়া আমাকে দিন।” সেই হরিণ দেখেRead More →

শ্রীরাম, জানকী এবং লক্ষ্মণ রাক্ষসদের বিনাশ করতে এবং লঙ্কাধিপতি রাবণের সন্ধান জানার জন্য‌ দণ্ডকারণ্যে গমন করেন। এভাবে প্রবাস করতে করতে শ্রীরাম জানকী ও লক্ষ্মণকে নিয়ে মহর্ষি অগস্ত্যের আশ্রমে পৌঁছান। অগস্ত্য ঋষি বশিষ্ঠের বড় ভাই। রাজা দশরথ তাকে তার রাজগুরু বলে মনে করতেন। দক্ষিণ আর্যাবর্তে বসবাসকারী এবং জ্ঞান-সাধনা, জপ-তপস্যা ও আচার-অনুষ্ঠানেRead More →

ধূলিকণা উড়িয়ে বিশাল সৈন্যদল আসতে দেখে লক্ষ্মণ ভাবলেন ভরত তাঁদেরকে আক্রমণ করতে আসছেন। কিন্তু শ্রীরাম তাকে বুঝিয়ে দিলেন যে ভরত আমাদের সাথে যুদ্ধ করতে আসতে পারেন না। ভরত শ্রীরামের সঙ্গে দেখা করে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। শ্রীরাম জানকী ও লক্ষ্মণকে পর্ণকুটিতে থাকতে দেখে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত হন। শ্রীরামকে অযোধ্যায় ফিরেRead More →

শ্রীরাম, জানকী ও লক্ষ্মণ রথে চড়ে বনবাসে রওনা হলেন। মন্ত্রী সুমন্ত্র তাঁর রথের সারথি। শ্রীরামের বিচ্ছেদে পুরো অযোধ্যা শহর ব্যথিত। ব্যথিত হয় অযোধ্যাপুরীর নবীন-প্রবীণ সব পূর্বপুরুষরা শোকে মুহ্যমান অবস্থায় শ্রীরামের রথের সঙ্গে হাঁটছেন। তাঁরা সবাই মন্ত্রী সুমন্ত্রকে রথ থামানোর জন্য অনুরোধ করছেন…কিন্তু রথ চলতেই থাকে। অবশেষে, শ্রীরামের রথ লোকদের দৃষ্টিRead More →

অবধপুরীর রাজপ্রাসাদে শ্রীরামের রাজ্যাভিষেকের প্রস্তুতি চলছে। শুভ মূহুর্ত নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। রাজা দশরথ শ্রীরামকে ডেকে বলেন, “হে রঘুনন্দন, আমার স্বপ্নে অশুভ লক্ষণ দেখা দিয়েছে, তাই যুবকের দ্রুত রাজ্যাভিষেক করাই সঙ্গত হবে। রাজ পুরোহিতও বলেছেন পুষ্য নক্ষত্রে রাজ্যাভিষেক শুভ হবে। আগামীকাল পুষ্য নক্ষত্র, তাই আগামীকালই আমি তোমাকে যুবরাজ হিসেবে অভিষিক্ত করব।Read More →

আর্যাবর্তের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত একটি গৌরবময় জনপদ, যার রাজধানীর নামও মিথিলা। জনকল্যাণ মূলক রাষ্ট্রের অনন্য উদাহরণ এই জনপদ। এই রাজ্যটির রাজা জনক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে যার শক্তি এবং বুদ্ধিমত্তার এক অনন্য সমন্বয় রয়েছে। তিনি মূলত একজন ক্ষত্রিয়। রাজা হশ্বরোমার পুত্র। তাঁর আসল নাম শিরিধ্বজ। তার ছোট ভাই কুশধ্বজ নামে পরিচিত।Read More →

শ্রীরাম ও লক্ষ্মণ ঋষি বিশ্বামিত্রের সঙ্গে হেঁটে চলেছেন। তারা গঙ্গা নদী পার হয়ে দক্ষিণ তীরে আসে। আবার শুরু হয় অভিবাসন। এখন পথে আসে এক ভয়ানক জঙ্গল, যেখানে সিংহ, বাঘ, হাতির মতো প্রাণী বিচরণ করছে। কিন্তু এই বনের কিছু জায়গায় মানুষের বসবাসের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। কোথাও ছিল ভাঙা প্রাসাদ, কোথাও জঙ্গলেRead More →

মহাবিশ্বের ধারক সর্বব্যাপী নারায়ণ রাবণের মতো অসুর শক্তিকে নির্মূল করার জন্য ইশ্বাকু বংশের রাজা দশরথের পুত্রের মাধ্যম রূপে হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন..! রাজা দশরথ এই সময়ে পুত্রকামেষ্ঠী যজ্ঞ করেন। একজন উজ্জ্বল প্রজাপত্য ব্যক্তি, ঈশ্বরের প্রতিনিধিত্ব করে, রাজার তিন রাণীর জন্য রাজাকে পায়েস (ক্ষীর) দেন। তিনজন সাধ্বী রাণীই এই প্রসাদ প্রাশন হিসেবেRead More →

কালচক্রের গতি দ্রুত ঘুরে চলেছে। ঘুরতে ঘুরতে ফিরে যাচ্ছে পেছনের দিকে। পেছনে! অনেক পিছনে! ইতিহাসের পৃষ্ঠা আমাদের নিয়ে যায় ত্রেতাযুগে। হাজার হাজার বছর আগে কথা..! এই ত্রেতাযুগে একটি বিশাল ভূমি যা আর্যাবর্ত নামে পরিচিত। এটি মানব সংস্কৃতির একটি উন্নত ক্ষেত্র। এটি একটি সম্বৃদ্ধ দেশ। যে সমাজ উদাত্ত এবং মহৎ মানবিকRead More →

কলকাতা…. ১৪ আগস্ট, ১৯৪৭। সকালবেলা… সকালের পরিবেশ এমনিতেই মনোরম হয়। কিন্তু এদিন বেলিয়াঘাট (বেলেঘাটা) অঞ্চলে তার কোনও চিহ্ন ছিলনা। চারদিকে কাদা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। দুর্গন্ধ গ্রাস করেছে এলাকার আকাশ বাতাস। গান্ধীজি প্রাতঃভ্রমণের জন্য রাস্তায় বেরিয়েছেন।আশেপাশের অঞ্চলে রাস্তার দু-ধারে ঘরবাড়ির ভাঙা ও পোড়া অংশ দেখা যাচ্ছে।দাঙ্গার পরদিন মুসলিম গুন্ডারা হিন্দুদের বাড়িঘরRead More →