বেথুন কলেজে তাঁর প্রীতিলতার সাথে পরিচয় ঘটে। প্রীতিলতা ইংরেজী সাহিত্যে বি.এ. পড়েন। থাকেন ছাত্রীনিবাসে। এখানে মাষ্টারদার নির্দেশে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। গড়ে তোলেন এক বিপ্লবী চক্র। এই বিপ্লবীচক্রে অনেক মেয়ে সদস্য যোগ দেন। এই বিপ্লবীচক্রে কল্পনা দত্ত যুক্ত হলেন। এই চক্রের মূল কাজই ছিল বিপ্লবীকর্মী তৈরীর পাশাপাশি অর্থ সংগ্রহ করা।Read More →

ঢাকা কলেজে পড়ার সময় ১৯২৮ সালে তিনি ‘ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস’-এর কলকাতা সেশনের প্রাক্কালে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস সংগঠিত বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সে যোগদান করেন। শীঘ্রই বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স একটি সক্রিয় বিপ্লবী সংগঠনে পরিবর্তিত হয়। দলের তরফ থেকে দীনেশকে মেদিনীপুরে শাখা স্থাপনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মেদিনীপুরে এসে দল সংগঠন ও সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি পড়াশোনাওRead More →

ব্রিটিশদের ভারত থেকে উৎখাত করার জন্য কিশোর বয়স থেকেই নানা বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯২৫ সালের ৯ আগস্ট লখনৌ থেকে ১৪ মাইল দূরে কাকোরি ও আলমনগর স্টেশনের মাঝে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে চেন টেনে থামিয়ে সরকারী কোষাগারের টাকাসহ সিন্দুক সরানো হয়। এ ব্যাপারে যে ১৬ জন অংশ নেন তিনি তাঁদের অন্যতম।Read More →

তিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা স্যার আশুতোষ মুখার্জী ও মাতা শ্রীমতী যোগমায়া দেবীর কাছ থেকে তিনি পাণ্ডিত্য ও ঐকান্তিক জাতীয়তাবাদী চেতনা উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করেন। তাঁরা তাঁকে ‘পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন’-যাপনে অনুপ্রাণিতও করেন। ১৯২১ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে সম্মান পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান দখল করার পর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বাংলাRead More →

১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের সময় তাঁর নেতৃত্বে স্কুলের প্রায় সকল ছাত্রছাত্রী ইংরেজি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বয়কট করেন। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রামে বার্মা অয়েল কোম্পানির ধর্মঘট, স্টিমার কোম্পানির ধর্মঘট ও আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে ধর্মঘট প্রভৃতিতেও সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। অবশেষে মাষ্টারদা সূর্যসেনের পরামর্শ অনুযায়ী ১৯২২ সালে তিনি কলকাতায় বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউশনে (যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ) ভর্তিRead More →

১৯৩০ সালের ডিসেম্বর মাসে যুব বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পূর্ণেন্দু দস্তিদারকে পুলিশ গ্রেফতার করে। শুরু হয় জেল জীবন। যখন তাঁকে বন্দী করা হয় তখন তাঁর ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ বর্ষের পরীক্ষা প্রায় ঘনিয়ে এসেছিল। তখন কারাগারে থেকে রাজবন্দীদের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ-সুবিধা ছিল খুবই সীমিত। ফলে তাঁর পক্ষে ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা দেয়াRead More →

বিপ্লবী অনুজাচরণ সেনের মাধ্যমে যুগান্তর বিপ্লবী দলে যোগদান করেন দীনেশচন্দ্র। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বাঘা যতীনের নেতৃত্বে বিপ্লবী অভ্যুত্থানের সময় বালেশ্বরের গুপ্ত ঘাঁটির পরিচালক শৈলেশ্বর বোস যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হলে অনুজাচরণ রাত জেগে সেবা করেন। এরপর দলনেতার নির্দেশে তিনি বগুড়া ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় বিপ্লবী সংগঠনের কাজে বর্তী হন। লাঠি খেলারRead More →

বাংলা মহাকাব্যের ধারায় তাঁর বিশেষ দান হল স্বদেশ প্রেমের উত্তেজনা সঞ্চার। জাতীয়তাবাদের আদর্শে তিনি তাঁর রচনায় দেশপ্রেমকে তুলে ধরেন। ১৮৭২ সালের জুলাই মাসে এডুকেশন গেজেট-এ তাঁর ‘ভারতসঙ্গীত’ কবিতাটি প্রকাশিত হলে ব্রিটিশ সরকার তাঁর প্রতি রুষ্ট হন, এমনকি পত্রিকার সম্পাদক ভূদেব মুখোপাধ্যায়কেও এজন্য জবাবদিহি করতে হয়। এ কবিতায় তিনি স্পষ্ট ভাষায়Read More →

তিনি বঙ্গবাসী কলেজের লেখাপড়া পরিত্যাগ করে মাদারীপুরে মাদারীপুর সমিতি নামে একটি বিপ্লবী দল গঠন করেন। ১৯১৪-১৫ সনে তিনি বাঘা যতীনের সঙ্গে কাজ করেন। বালেশ্বরের ট্রেঞ্চযুদ্ধে বাঘা যতীনের চারজন পার্শ্বচর তাঁরই দলের কর্মী ছিলেন। বাঘা যতীনের এই চারজন পার্শ্বচর ছিলেন চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী, যতীশ পাল, মনোরঞ্জন দাশগুপ্ত এবং নীরেন দাশগুপ্ত। ১৯১৩ সালেRead More →

শহীদ সুশীল সেন (জন্মঃ- ১৮৯১ – মৃত্যুঃ- ৩০ এপ্রিল, ১৯১৫) (কোলকাতা পুলিশ আর্কাইভ ও সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান অনুযায়ী) ১৯০৫-এর বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আবালবৃদ্ধবনিতার সর্বব্যাপী ক্ষোভ বিপ্লবীদের উদ্বুদ্ধ করছে অত্যাচারী শাসককে সশস্ত্র আক্রমণে। “অনুশীলন সমিতি” এবং “যুগান্তর”-এর মতো গুপ্ত সংগঠনগুলি সক্রিয়তার তুঙ্গে তখন। রাশ টানতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছে মরিয়া ব্রিটিশRead More →