সৃষ্টি এবং মনুষ্য জাতিরমধ্যে সম্পর্ক রয়েছে সেই জন্যপ্রকৃতির সংরক্ষণ করাটা আমাদের কর্তব্যেরমধ্যে পড়ে বলে জানিয়েছেনরাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সরসঙ্ঘচালক ডা: মোহন ভাগবত। রবিবারপ্রকৃতি বন্ধন কার্যক্রমে বক্তব্যরাখতে গিয়ে মোহন ভাগবতজানিয়েছেন, পরিবেশ দিবস কোনমনোরঞ্জন করার মতন কার্যক্রমনয়।এইদিবস পালনের মূল উদ্দেশ্যহচ্ছে সম্পুর্ণ মানবজাতির জীবনযাপনকে আরও উন্নততর করা। মানুষনিজেই প্রকৃতির একটি অন্যতম উপাদান।প্রকৃতিরওপর জয় নয়।কারণ প্রকৃতি আমাদেরপালনকর্তা। সৃষ্টিএবং মানব জাতি যখনসুরক্ষিত হবে তখনই জীবনসুন্দরময় হয়ে উঠবে।একদিনের এই উপদেশ বছরভরনিজের কার্যক্রমের মধ্যে করে দেখাতেহবে।আরতখনই মানবজাতির জীবন সুখ এবংসমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে।বিগত তিন থেকেসাড়ে তিনশ বছরের মধ্যেসংস্কৃতির যে বিচ্যুতি ঘটেছে,তা আগামী আড়াইশো বছরেরমধ্যে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।সংঘের ৩০ আগস্ট পরিবেশদিবস উদযাপন মূল লক্ষ্যহচ্ছে এটা। শরীরেরপ্রত্যেকটা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যখনস্বাভাবিক ক্রিয়া করতে থাকে ততক্ষণপর্যন্ত শরীর সচল থাকে। নিষ্প্রাণশরীরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজকরা বন্ধ করে দেয়। শক্তিরওপর নির্ভরশীল শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। ঠিকএকইভাবে সৃষ্টিতে সবকিছু একে অন্যেরপ্রতি নির্ভরশীল।মনুষ্যজাতি সৃষ্টির অংশ।তাইসৃষ্টির দেখভাল করাটা আমাদেরকর্তব্য। জীবনধারণেরজন্য যতটুকু প্রয়োজন ঠিকততটুকুই প্রকৃতির থেকে নেওয়া উচিত। এরবেশি নিলে তার শোষণেরপর্যায়ে পড়ে যায়।আমাদের পূর্বপুরুষ এইশিক্ষাই দিয়ে গিয়েছে।পরম্পরাগত ভাবে ভারতে প্রচলিতধারণা হচ্ছে বিকেল হলেগাছের সামনে যেতে নেই।বলাহয় সেই সময় গাছঘুমিয়ে থাকে।প্রতিটাভারতীয় এই ধারণা সম্পর্কেঅবগত। ভারতীয়দর্শনে গাছের মধ্যে জীবনকেখুঁজে পাওয়া হয়েছে।আর জীবন সৃষ্টির অংশ। আমাদেরসভ্যতায় পিঁপড়ে থেকে শুরু করেগরু কুকুর প্রত্যেককের মুখেখবর তুলে দেওয়ার পারিবারিকরীতি রয়েছে। কোননিরন্ন মানুষ যদি হঠাৎবাড়িতে চলে আসে তবেতাকে অন্নদান করাটা আমাদের কর্তব্য। আমাদেরএখানে গরু, সাপ, পর্বত,নদী, গাছকে উপাসনা করাহয়।কারণএই সব কিছুই সৃষ্টি। বর্তমানসময়ে আমরা এগুলোকে ভুলতেবসেছি। আমাদেরমনেই সেই হৃতজ্ঞান ফিরিয়েআনতে হবে। উল্লেখকরা যেতে পারে এদিনের বক্তব্য মোহন ভাগবত ভিডিওকনফারেন্সিং এর মাধ্যমে রাখেন।Read More →