পর্ব ২ রাজার কণ্ঠের সুরে লাগল অশ্রুর ছোঁওয়া। বললে, “যাকে দয়া করলে যেত তোমার হৃদয় ভরে,তাকে ঘৃণা করে কেন পাথর করলে মনকে।” “রসবিকৃতির পীড়া সইতে পারি নে” বলে মহিষী উঠে পড়ল আসন থেকে। রাজা হাত ধরে বললে,“একদিন সইতে পারবে আপনারই আন্তরিক রসের দাক্ষিণ্যে। কুশ্রীর আত্মত্যাগে সুন্দরের সার্থকতা।” ভ্রূ কুটিল করেRead More →

প্রথম_পর্ব : কেমনে মুগরী বানে? ‘জোলা মরে তাঁতে। বাঙালি আর কাঙালি মরে মাছে আর ভাতে।’ হম , মাছে ভাতে বাঙ্গালী। বঙ্গ জীবনের অঙ্গ মৎস। তাই মাছটা বাঙ্গালী হৃদয়ের নিকট রেখে মশলা দিয়ে বেটে রসিয়ে রাঁধতে চায়। সেই কোন সুপ্রাচীন কালের চন্দ্রকেতুগড়… ১৭০০ বছরের পুরনো মাছের ছবি খোদাই করা ফলক পাওয়াRead More →

দেবী জগদ্ধাত্রীর পূজা অনুষ্ঠিত হয় দুর্গাপূজার ঠিক একমাস পর কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে। কাত্যায়নীতন্ত্র–এ কার্তিকী শুক্লা নবমীতে দেবী জগদ্ধাত্রীর আবির্ভূত হওয়ার কথা আছে। দুর্গাকল্প–এ আছে: কার্তিকে শুক্লপক্ষেঽহনি ভৌমবারে জগৎপ্রসূঃ। সর্বদেবহিতার্থায় দুর্বৃত্তশমনায় চ।। আবিরাসীৎ জগচ্ছান্ত্যৈ যুগাদৌ পরমেশ্বরী।। -দেবগণের হিত, দুর্বত্তের প্রশমন এবং জগতের শান্তিবিধানের জন্য যুগের প্রারম্ভে কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষেরRead More →

সিংহস্কন্ধসমারূঢ়াং নানালঙ্কারভূষিতাম্। চতুর্ভূজাং মহাদেবীং নাগযজ্ঞোপবীতিনীম্।। শঙ্খশার্ঙ্গসমাযুক্তবামপাণিদ্বয়ান্বিতাম্। চক্রঞ্চ পঞ্চবাণাংশ্চ ধার্য়ন্তিম্ চ দক্ষিণে।। রক্তবস্ত্রাপরিধানাং বালার্কসদৃশীতনুম্। নারদাদ্যৈর্মুনিগণৈঃ সেবিতাং ভবসুন্দরীম্।। ত্রিবলীবলয়োপেতনাভিনালমৃণালিনীম্।। ইষৎ সহাস্য বদনাং কাঞ্চনাভাং বরপ্রদাম । নবযৌবন সম্পন্নাম্ পীনোন্নত পয়োধরম্ ।। করুণামৃত বষিন্যা পশ্যন্তি সাধকং দৃষা । রত্নদ্বীপে মহাদ্বীপে সিংহাসনসমন্বিতে। প্রফুল্লকমলারূঢ়াং ধ্যায়েত্তাং ভবগেহিনীম্।। —-বৃহৎ তন্ত্রসার জগদ্ধাত্রী বা জগদ্ধাত্রী দুর্গা শক্তি দেবী। ইনি দেবীRead More →

একটা সময় ছিল যখন ব্যবসা-বাণিজ্যে বাঙ্গালীর বড় মন ছিল । এক সময়ে মানুষ বলেছিল, বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীঃ। তখন মানুষ লক্ষ্মীর যে – পরিচয় পেয়েছিল সে তো কেবল ঐশ্বর্যে নয়, তাঁর সৌন্দর্যে। তার কারণ, বাণিজ্যের সঙ্গে তখন মনুষ্যত্বের বিচ্ছেদ ঘটে নি। তাঁতের সঙ্গে তাঁতির, কামারের হাতুড়ির সঙ্গে কামারের হাতের, কারিগরের সঙ্গেRead More →

দ্বিতীয়পর্ব : বলদ বাঁধ গ্রাম ও কুলমাতার সাতকাহন আন্ধং কুষ্ঠঞ্চ দারিদ্রং রোগ শোকঞ্চ দারুণং | বন্ধুস্বজন-বৈরাগ্যং দুর্গে ত্বং হর দুর্গতিং || রাজ্য তস্য প্রতিষ্ঠা চ লক্ষীস্তস্য সদা স্থিরা | প্রভুত্বং তস্য সামর্থ্যাং যস্য ত্বং মস্তকোপরি || শাক্ত ধর্ম ও তন্ত্র একই মুদ্রার দুই দিক বলে একটি ধারণা বহুল প্রচলিত। কিন্তুRead More →

প্রথমপর্ব : অথঃবিশালাক্ষীদেবীকথা তন্ত্রসারে বিশালাক্ষীদেবীর পূজা ও মন্ত্রাদির বিষয় এইরূপ লিখিত আছে – “ধ্রুবমাদ্যং সমুদ্ধৃত্য মায়াবীজং সমুদ্ধরেৎ। বিশালাক্ষীপদং ঙেহস্তং হৃদন্তং যন্ত্রমুদ্ধয়েৎ ॥ অষ্টাক্ষরী মহাবিদ্যা অষ্টসিদ্ধি প্রক্ষা শিবে । প্রসঙ্গাৎ কথিত বিদ্যা ত্ৰৈলোক্যয়ং দুর্লভা প্রিয়ে ॥” বিশালাক্ষী: “মনোরমাং ভানুমতীং বিশালাং বহুদীমথ।” বিশালাক্ষী শব্দের অর্থ হলো আয়তনয়না। বিশাল অক্ষী যার তিনি হলেনRead More →

বিসৃষ্টৌ সৃষ্টিরূপা ত্বং স্থিতিরূপা চ পালনে। তথা সংহৃতিরূপান্তে জগতো’স্য জগন্ময়ে । মহাবিদ্যা মহামায়া মহামেধা মহাস্মৃতিঃ। মহামোহা চ ভবতি মহাদেবী মহেশ্বরী।। প্রকৃতিস্ত্বং চ সর্বস্ব গুণাত্রয়বিভাবিনী। কালরাত্রির্মহারাত্রির্মোহারাত্রিশ্চ দারূণা ।। তুমি ধারণ করে আছ বিশ্বকে, তুমি-ই জগৎ সৃষ্টি করেছ। তুমি পালন কর সকলকে, সকলের অন্তিমেও তুমি-ই আছ।। সৃষ্টিরূপে তুমি ব্যপ্ত চরাচরে, এবং পালনেRead More →

বানিজ্যে চলিল শেষে দক্ষিন পাটন।।শিব শিব বলি যাত্রা করে সদাগর ।মনের কৌতুক চাপে ডিঙ্গার উপর।।বাহ্ বাহ্ বলি ডাক দিল কর্ণধারে ।সাবধান হয়ে যাও জলের উপরে । ।চাঁদের আদেশ পা্‌ইয়া কান্ডারী চলিল ।সাত ডিংগা লয়ে কালিদাহে উত্তরিল ।।চাঁদ বেনের বিসস্বাদ মনসার সনে ।কালীদহে সাধু দেবী জানিল ধেয়ানে ।।নেতা লইয়া যুক্তি করেRead More →

বালুঘাটা এড়াইল বেনিয়ার বালা। কালীঘাটে এল ডিঙ্গা অবসান বেলা। মহাকালীর চরণ পূজেন সদাগর। তাহার মেলান বয়ে যায় মাইনগর।। নাচনগাছা , বৈষ্ণবঘাটা বাম দিকে থুইয়া। দক্ষিণেতে বারাসাত গ্রাম এড়াইয়া ।। ডাইনে অনেক গ্রাম রাখে সাধুবালা। ছত্রভোগে উত্তরিল অবসান বেলা।। উজানি নগরের বিত্তশালী বণিক ধনপতি দত্তের সন্তান শ্রীমন্ত সদাগর ভাগীরথীর পথে চলেছেনRead More →