হরিদ্বারে BMS-এর প্রথম ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং হচ্ছে। সেখানে দু’টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। প্রথম, কোনো নেতার নামে জয়জয়কার করা হবে না। দ্বিতীয়, BMS-এর কোনো সদস্য বা নেতার জন্মদিন পালন হবে না। এরপর উদয়পুরে BMS-এর এক অধিবেশনে গেলেন ঠেংড়ীজী। সেখানকার কার্যকর্তা তাঁকে অত্যন্ত যত্ন করলেন। স্টেজে সেই কার্যকর্তার সঙ্গে উপস্থিত হলেন,Read More →

অন্নদামঙ্গল কাব্যে সর্পবৈচিত্র্যের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে, “কেউটে খরিশ কালী গোখুরা ময়াল।/ বোড়া চিতি শঙ্খচূড় সূঁচে ব্রহ্মজাল।।/শাঁখিনী চামর কোষা সূতার সঞ্চার।/খঁড়ীচোঁচ অজগর বিষের ভান্ডার।।/তক্ষক উদয়কাল ডারাশ কানাড়া।/লাউডগা কাউশর কুয়ে বেতাছাড়া।।/ছাতাড়ে শীয়রচাঁদা নানাজাতি বোড়া।/ঢেমনা মেটিলী পুঁয়ে হেলে চিতী ঢোঁড়া।।/বিছা বিছুপিঁপিড়া প্রভৃতি বিষধর।/সৃষ্টিহেতু জোড়ে জোড়ে গড়িল বিস্তর।।” এখানে কোবরা গ্রুপের কেউটে (Indian Cobra),Read More →

ছোটোবেলায় এক রথের দুপুরে ‘রাধারাণী’ উপন্যাস-টি পড়েছিলাম। শ্রীরামপুরের রথের মেলা। রাধারাণীর মা ঘোরতর পীড়িতা। কায়িক পরিশ্রম-জনিত উপার্জন বন্ধ। আহার চলে না। মা রুগ্না, তাই উপবাস; রাধারাণীর আহার জুটলো না বলে উপবাস।রথের দিন মা একটু সুস্থ হল, পথ্যের প্রয়োজন, কিন্তু পথ্য কোথায়? বঙ্কিমচন্দ্র লিখছেন, “রাধারাণী কাঁদিতে কাঁদিতে কতকগুলি বনফুল তুলিয়া তাহারRead More →

আমাদের ভারত, ১৯ ডিসেম্বর: ১৯৪৪ সালের ১লা সেপ্টেম্বর ৩৭ জন বালক-নারায়ণকে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন বালকাশ্রম। তার একমাস আগে ১৬ আগষ্ট ঠাকুর-মা-স্বামীজির পূজা ও হোমের মাধ্যমে আশ্রমের কাজ শুরু হয়ে যায়। রহড়া বালকাশ্রমের প্রথম কর্মসচিব স্বামী পুণ্যানন্দজী মহারাজ। তাঁর সঙ্গে নিখিল ভারত হিন্দু মহাসভার কার্যকরী সভাপতি ড. শ্যামাপ্রসাদRead More →

ইংরেজিতে পদবীর বানান লিখতেন Sircar। খ্যাতনামা ডাক্তার ছিলেন, ছিলেন শিক্ষাবিদ৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবেও তাঁর অধিষ্ঠান (১৯১৯-১৯২১), শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর সঙ্গেও ছিল ঘনিষ্ঠতা। একসময় কলকাতার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেছিলেন, সেই স্কুলে সহকর্মী হিসাবে পেয়েছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্তকে, পরে যিনি স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর মৃত্যুর (১৮/০৫/১৯৪৩) কয়েক বছর পর ১৯৪৮ সালে তাঁর নামে NRSRead More →

আজ ১৭ ই মে নারদ-জয়ন্তী । সাংবাদিক হিসাবে বিশ্বের কাছে প্রথম উপস্থাপন দেবর্ষি নারদ। আজ যখন সাংবাদিকতার পেশা ক্রমেই নিজেকে অসম্মানিত করে চলছে, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া ক্রমেই অনৈতিক অর্থের কাছে বিকিয়ে যাচ্ছে, সাংবাদিকরা নিজেদের কর্তব্য থেকে বিরত হয়ে অশুভ শক্তির পদলেহন করে চলেছে, তখন নিরপেক্ষ নারদের ভূমিকা বারে বারেRead More →

মাতৃস্নেহের কী কোনো বিকল্প হয়? জগতের এ এক আশ্চর্য মহাভাব। শিশুর যাবতীয় ব্যাধির মহৌষধ মা, যেন অব্যর্থ মকরধ্বজ। “কুপুত্র যদি বা হয় — কুমাতা কখন নয়।” মাতৃত্বের প্রকাশ যত, অপ্রকাশ তার চেয়ে বহু গুণ। শৈশবে আমরা কেবলই মাকে খুঁজি, তার আঁচলে লুকোই। যখন যৌবনের জটিলতায় পা বাড়াই তখন সেই সহজাতRead More →

শ্রীরামকৃষ্ণ-সত্তায় অর্ধেক রাম, অর্ধেক কৃষ্ণ; ইদানীং তিনি রামকৃষ্ণ। একইদেহে রাম আর কৃষ্ণ সুমধুর; একতারাতে দোঁহে বাঁধা। অথচ অবতার-বরিষ্ঠ শ্রীরামকৃষ্ণ-র পরিচিতির মধ্যে বাংলার বুধজন যেভাবে তাঁর শ্রীরাম সত্তাকে, শ্রীরাম-সাধনাকে লুকিয়ে রাখতে চান, তার মধ্যে অনৈতিক উদ্দেশ্যই কাজ করে। সুযোগসন্ধানী মানুষ তো বলেই বসেন, বাংলায় শ্রীরাম-সাধনা একেবারেই অপ্রচলিত, একটি রাজনৈতিক দলই তারRead More →

আমাদের ভারত, ২০ এপ্রিল: শ্রীরামকৃষ্ণ-পার্ষদ স্বামী অখণ্ডানন্দজী মহারাজ মুর্শিদাবাদ জেলার মহুলা-সারগাছিতে ১৩০৩ বঙ্গাব্দের (১৮৯৭ সালে) অন্নপূর্ণা পূজার দিন সেবাধর্মের সূত্রপাত করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশন বেলুড়ের অধীন প্রথম শাখা কেন্দ্র। কয়েকটি অনাথ বালকে নিয়ে আশ্রমের কাজ শুরু করলেন তিনি। একটি চিঠিতে স্বামী বিরজানন্দকে তিনি লিখছেন, “১৩০৩ সালের শুভ অন্নপূর্ণাRead More →

আমাদের ভারত, ২২ মার্চ: জল তো অনেক, পানীয়জল কই? ইংরেজ কবি Samuel Taylor Coleridge ১৭৯৭-৯৮-এ ‘The Rime of the Ancient Mariner’ কাব্যে লিখছেন, “Water, water, everywhere /Nor any drop to drink.” ঠিক ১০০ বছর বাদে ২৯ আগষ্ট, ১৮৯৭ সালে ওড়িশার আলভা খালে বজরায় বসে রবীন্দ্রনাথ লিখছেন, ‘দেবতার গ্রাস’ কবিতাখানি, “জলRead More →