১৮৯৫ সালের নভেম্বরের এক বিকেল, লন্ডনের ওয়েস্টএণ্ডের এক গৃহাভ্যন্তরে অভ্যাগতদের মাঝে গৈরিক পরিচ্ছদ ও কোমরবন্ধে সজ্জিত এক উজ্জ্বল ভারতীয় সন্ন্যাসী যুবক। অদ্বৈতবাদের ব্যাখ্যা করছেন — “সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম”-র রূপ; গীতা থেকে শ্লোক উদ্ধৃত করছেন, আর এক দিব্যাভ্যাসে মাঝেমাঝেই চীৎকার করে বলছে, ‘শিব! শিব!’ যেন এক দিব্য শিশু, বয়স তেত্রিশ! অবলোকনRead More →

লোকমাতা রানী রাসমণির আবির্ভাব দিবসে শ্রদ্ধা। ১৭৯৩ সালে আজকের দিনে (২৮ শে সেপ্টেম্বর) তাঁর জন্ম। এক অব্রাহ্মণ বঙ্গনারী কতটা মানসিক ও ঐশী শক্তি ধারণ করলে আধ্যাত্মিক সংস্কার করতে পারেন, তার খোঁজ আমাদের পাঠ্যপুস্তকে নেই। রানী ধর্ম আধারিত সংস্কার করেছিলেন বলেই সেকুলার বুদ্ধিজীবীরা তাঁকে ধর্তব্যের মধ্যে আনেন নি। রানী বিশ্ববাসীর জন্যRead More →

পরিচ্ছন্নতার মধ্যেই যে ঈশ্বরের অধিষ্ঠান, ঈশ্বরকে নৈবেদ্য প্রদানের মধ্যেও যে মিছরির মতো স্বচ্ছ সামগ্রী এবং স্পষ্ট হৃদয় দিতে হয়, তা শ্যামলাল বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯৩৭-২০২২) তাঁর জীবনচর্যা ও মানসচর্চার মাধ্যমে আমাদের শিখিয়ে গেলেন। আমরা তাঁকে বলতাম ‘স্বচ্ছ সঙ্ঘী’। আবর্জনা দূরে সরিয়ে মানুষকে বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলার শিক্ষক। সঙ্ঘকে ভালোবেসে যিনি বলতে পারেনRead More →

১৯৫০ সাল থেকে একাদিক্রমে প্রায় ৭২ বছর কাটিয়েছেন এক মারাঠি যুবক, বঙ্গের নগরে প্রান্তরে; জাতীয়তাবাদ, দেশপ্রেম, ভারতীয় সংস্কৃতির অখণ্ড চর্চায় বাঙ্গালি সমাজকে অবগাহনের মন্ত্র শোনাতে গিয়ে নিজে কখন যে অনবধানে ডুব দিয়েছেন বঙ্গ-সংস্কৃতির অতল গভীরে; আর হয়ে উঠেছেন আদ্যন্ত এক বাঙ্গালি — তা নিজেও হয়তো টের পাননি। হ্যাঁ, এমনই একRead More →

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ আরণ্যক ’ উপন্যাসে জঙ্গলবন্ধু যুগলপ্রসাদকে দেখেছি জঙ্গলের মধ্যেই সে বনস্পতির চারা লাগায়; জঙ্গলেই বনসৃজন করে। এ যে তেলা মাথায় তেল দেওয়া নয়! জঙ্গল কেটে ক্রমাগত বসতি স্থাপন করে, চাষাবাদ করে আমরা বনের ঢাকা-মাটি নগ্ন করে দিয়েছি। বাদাবন কেটে ঝড়-ঝঞ্ঝার অবারিত দ্বার খুলে দিয়েছি। অরণ্য কেবল কেটে ফেলারRead More →

সুদর্শনে গোপাল-গোবিন্দ ।কবি বলছেন “মানুষই দেবতা গড়ে/তাহারই কৃপার ‘পরে/করে দেব মহিমা নির্ভর।” জন্মাষ্টমীতে বংশীধারী কৃষ্ণকে প্রদর্শন করে আমরা শক্তি হারিয়েছি। বাঁশির-রূপে বাঙালিকে জারিত করেছে কে? মধ্যযুগীয় বিদেশি শাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় হিন্দু প্রবুদ্ধজন, কবি ব্যক্তিত্ব। তারপর এল কথক ঠাকুরের কারুকাজ; পরিবর্তন এল পালাগান, কীর্তন, শিল্প সংস্কৃতিতে— ধীরে ধীরে জারিত হয়ে শ্রীকৃষ্ণ উপস্থাপিতRead More →

তখনই জেনেছিলাম রাখীফুলের কথা। যে বাড়িতে ঝুমকোলতার ফুল ফোটে ভাইবোনকে হাত ধরে সেই বিকেলেই নিয়ে যায় দিদি। বেড়ার উপর ঝুমকোলতার ছড়ানো সবুজ চাদর, মাঝেমাঝে উঁকি মারছে এক একটি স্বর্গের ফুল, ভারী মিষ্টি তার গন্ধ। “ফুলগুলি যেন কথা,/ পাতাগুলি যেন চারি দিকে তার/ পুঞ্জিত নীরবতা॥” আগ্রহে, উৎসাহে, আতিশয্যে ফুল নেড়েচেড়ে দেখতে গিয়েRead More →

রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (১০ ই নভেম্বর, ১৮৪৮ — ৬ ই আগষ্ট, ১৯২৫) ভারতীয় জাতীয়তাবাদের অন্যতম উদগাতা। সুরেন্দ্রনাথ কলকাতার তারাতলায় জন্মগ্রহণ করলেও ১৮৮০ খ্রীস্টাব্দ নাগাদ পৈতৃকবাড়ি বারাকপুরের মণিরামপুরে বসবাস শুরু করেন। সুরেন্দ্রনাথ মনিরামপুরের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯২৫ সালে মহাত্মা গান্ধী দুইবার মণিরামপুরের বাড়িতে আসেন, ৬ ই মে এবং পরেRead More →

১০-০৫-১৯৮৪ তারিখে ”India’s struggle for freedom” শিরোনামে চারজন সংগ্রামীকে স্মরণ করে চারটে ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়, তার অন্যতম মঙ্গল পাণ্ডে, মূল্যমান ৫০ পয়সা। তিনি ১৮৫৭ সালে সংঘটিত স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছিলেন বঙ্গদেশে বাস করেই। কলিকাতার উপকন্ঠে উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার অন্তর্গত ব্যারাকপুর একটি মহকুমা শহর। উত্তরে কাঁচড়াপাড়া থেকে দক্ষিণেRead More →

ভারতীয় ডাকবিভাগ ১৭-১২-২০০২ তারিখে ৫০০ পয়সার মূল্যমানে স্বাধীনতা সংগ্রামে অটল এবং নিবেদিত-প্রাণ তেজস্বিনী বৃদ্ধা, তমলুকবাসী মাতঙ্গিনী হাজরার স্মরণে একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে এবং পরবর্তীকালে দেশভক্তির পবিত্রতায় তিনি এক প্রেরণাদায়ী মাতৃশক্তিতে অধিষ্ঠিত হলেন। ১৯৪২ সালের আগষ্ট মাস। ভারতছাড়ো আন্দোলন শুরু হল। ইংরেজকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার ডাক দিলেনRead More →