আলোচনার বিষয় ‘Aggressive Hinduism’ by Sister Nivedita. উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা থেকে প্রকাশিত বইটির বঙ্গানুবাদ করা হয়েছে ‘প্রগতিশীল হিন্দুধর্ম’। ১৯০৫ সালের জানুয়ারি মাসে এই গ্রন্থটি রচনা করেন নিবেদিতা। ইতোমধ্যে স্বামীজির শরীর গেছে ১৯০২ সালের ৪ ঠা জুলাই। নিবেদিতা তাঁর গুরুদেবের বাণী ও শিক্ষা দেশব্যাপী প্রচার করে বেরাচ্ছেন এবং ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনRead More →

একটা প্রশ্ন উঠছে, স্বামীজি কী ঘটা করে বড়দিন উৎসব পালনের কথা বলেছেন? এই দিনে কী আমাদের ঘটা করে বাইবেল পাঠ করে যীশুখ্রীস্টের জন্মদিন পালন করতে হবে? অস্বীকার করার উপায় নেই স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন হিন্দু ধর্মের মাহাত্ম্য কীর্তনীয়া। শিকাগোতে তিনি হিন্দুধর্মের প্রচারের জন্যেই গিয়েছিলেন। তিনি খ্রিস্টান মিশনারীদের সুস্পষ্টভাবে জানিয়েও দেন, ভারতবর্ষRead More →

পশ্চিমবঙ্গে ডালশস্য চাষে চাহিদা ও যোগানের মাঝে বিস্তর ফারাক; কৃষি বিজ্ঞানীরা তাই চাষ ও ফলন বাড়াতে নানাভাবে সচেষ্ট হচ্ছেন। তার মধ্যে যেমন রয়েছে শস্যপর্যায়ে আমন-ধানে পয়রা ফসল রূপে মসুর, খেসারি; এমনকি অধুনা ধান ও ধানের পায়রা-ছোলা ও পয়রা-মটর এবং নানান মিশ্রচাষে সাথী বা অন্তবর্তী ফসলরূপে ডালশস্যের সংযুক্তি (উদাহরণ: ছোলার জমিতেRead More →

যারা বলেন রাম বাঙালির দেবতা নন, তাদের জন্য রবীন্দ্রনাথের মন্তব্য বিশেষ প্রণিধানযোগ্য, “বাঙ্গলা দেশে যে এক সময়ে সমস্ত জনসাধারণকে একটা ভক্তির প্লাবনে প্লাবিত করিয়া তুলিতেছিল; সেই ভক্তিধারার অভিষেকে উচ্চ-নীচ, জ্ঞানী মূর্খ, ধনী দরিদ্র, সকলেই, এক আনন্দের মহাযজ্ঞে সম্মিলিত হইয়াছিল — বাঙ্গলা রামায়ণ, বিশেষভাবে, বাঙ্গলাদেশের সেই ভক্তিযুগের সৃষ্টি। বাঙ্গলাদেশে সেই যে,Read More →

ড. কল্যাণ চক্রবর্তী। খনার বচনে আছে, “চাল ভরা কুমড়ো লতা/লক্ষ্মী বলেন, আমি তথা।” এই প্রবাদ আমাদের দেখিয়ে দেয়, ধান্যলক্ষ্মী যেন হয়ে উঠেছেন শাকম্ভরী-লক্ষ্মী। মার্কেণ্ডেয় পুরাণে আমরা শাকম্ভরী-দুর্গার স্তোত্র পাই, দেবী সেখানে নিজ দেহ থেকে শাকসব্জি ও ফলমূল হয়ে অজন্মার হাত থেকে মর্ত্যলোককে বাঁচাচ্ছেন ও পুষ্টিবর্ধন করছেন। পুষ্টি -বাগান রচনা ভারতবাসীরRead More →

ছিলেন মার্গারেট এলিজাবেথ নোবল; হয়ে উঠলেন ভগিনী নিবেদিতা। ছিলেন খ্রিষ্টান ধর্মযাজকের কন্যা; হয়ে গেলেন হিন্দু বিধবা সাধ্বী রমণীর আদরের ‘খুঁকি’। ছিলেন ব্রিটিশ সাজাত্যবোধে অটুট নারী; হয়ে উঠলেন ভারতীয় জাতীয়তাবোধ ও দেশপ্রেমের ব্যতিক্রমী অস্মিতা। এ যেন মার্গারেট সত্তাকে একদম ভেঙ্গেচুরে, বিসর্জন দিয়ে হয়ে ওঠা ভারতীয় সন্ন্যাসিনী। স্বামীজি এমন নারীকেই চেয়েছিলেন, “ভারতেরRead More →

প্রথম গুরু নানক, জন্ম ১৫ এপ্রিল ১৪৬৯, মৃত্যু ২২ সেপ্টেম্বর ১৫৩৯, আয়ুষ্কাল প্রায় ৭০ বৎসর। গুরু গ্রন্থ সাহিবের জন্য ৯৭৪ টি দোহা রচনা করেন। তিনি নিজ-পুত্র শ্রীচান্দকে ছাপিয়ে প্রিয় শিষ্য লেহনা-কে (নতুন নাম অঙ্গদ) পরবর্তী গুরু মনোনীত করেন। দ্বিতীয় গুরু অঙ্গদ, জন্ম ৩১ মার্চ ১৫০৪, গুরুপদে আসীন ৭ সেপ্টেম্বর ১৫৩৯,Read More →

(প্রথম পর্ব) ১৯০৩ সালের গ্রীষ্মকাল, মেদিনীপুর পৌঁছেছেন ভগিনী নিবেদিতা। দেশপ্রেমী যুবকেরা উল্লাসে চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘হিপ্ হিপ্ হুররে’। ‘না, না’; বারণ করে উঠলেন নিবেদিতা। ‘এটা ইংরেজ জাতির বিজয়োল্লাস, ভারতীয়দের তা কিছুতেই ব্যবহার করা উচিত নয়, কখনই নয়।’ হাত তুলে তিনি উচ্চৈস্বরে তিনবার বললেন — ‘ওয়া গুরুজীকি ফতে। বোল্ বাবুজীকি খালসা।’ গুরুরRead More →

অঘ্রাণ মাস আলু: অঘ্রাণের মাঝামাঝি পর্যন্ত আলু বসানো যায়; তবে জলদি আলুর চাষ করাই উচিত। কেউ কেউ ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি থেকে আলু লাগানো শুরু করেন। উন্নত মানের বীজআলু তৈরি করতে হলে আশ্বিনের মাঝামাঝি আলু লাগাতে হবে। সেই হিসাব ধরলে, অঘ্রাণের শুরুতে আদর্শ আলু ক্ষেতের বয়স প্রায় দেড় মাস। আলু ঠিকRead More →

১৮৯৫ সালের নভেম্বরের এক বিকেল, লন্ডনের ওয়েস্টএণ্ডের এক গৃহাভ্যন্তরে অভ্যাগতদের মাঝে গৈরিক পরিচ্ছদ ও কোমরবন্ধে সজ্জিত এক উজ্জ্বল ভারতীয় সন্ন্যাসী যুবক। অদ্বৈতবাদের ব্যাখ্যা করছেন — “সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম”-র রূপ; গীতা থেকে শ্লোক উদ্ধৃত করছেন, আর এক দিব্যাভ্যাসে মাঝেমাঝেই চীৎকার করে বলছে, ‘শিব! শিব!’ যেন এক দিব্য শিশু, বয়স তেত্রিশ! অবলোকনRead More →