আমরা জানি শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব কামারপুকুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং মৃত্যুবরণ করেছিলেন কলকাতার কাশীপুর উদ্যানবাটিতে। কিন্তু যিনি ঈশ্বর তাঁর কী জন্ম আছে, না কি মৃত্যু? ঈশ্বর যিনি, তিনি জন্মরহিত, তিনি অবিনশ্বর, তিনি অব্যক্ত, নির্বিশেষ, নির্বিকার। ঈশ্বর যখন সাকাররূপ ধারণ করে আসেন এবং ব্যক্তস্বরূপে লীলাবেশ ধারণ করেন, তখন তিনি অবতারূপে গণ্য হন।Read More →

যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত (২৬ শে জুন, ১৮৮৭ — ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ১৯৫৪)-র ‘হাট’ কবিতাটি (‘মরীচিকা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত, ১৯২৩ খ্রীস্টাব্দ/১৩৩০ বঙ্গাব্দ) ছাত্রজীবনে আমাকে দারুণ ভাবে প্রভাবিত করেছিল। সেই গ্রামের হাট, প্রভাতে যেখানে ঝাঁট পড়ে না, সন্ধ্যায় যেখানে জ্বলেনা প্রদীপ। সেই দশবারোখানি গাঁয়ের মাঝে একটি হাট — পড়ে থাকে আঁধারে, তার দোচালায় মুদেRead More →

মিথোম্যানিয়া কী? মিথোম্যানিয়া হচ্ছে দেশীয় পুরাণের প্রতি সদর্থক আসক্তি। এই আসক্তি দ্বিবিধ — প্রথম, সরাসরি পুরাণের ব্যবহার; দ্বিতীয়, মনের মধ্যে পুরাণের যে প্রাসঙ্গিকতা রয়ে যায়, বারে বারে তারই পটভূমিতে সাহিত্যের জগতে মানস-প্রতিমা নির্মাণ। রবীন্দ্রনাথে দু’ধরনের আসক্তিই ছিল। আর ছিল বলেই রবীন্দ্রনাথ বুঝেছিলেন, শিশুপাঠ্যে শিশুকে সবসময় তার ঐতিহ্যের মধ্যে ঘোরাফেরা করতেRead More →

নেপালে রামায়ণ ও শ্রীরামকে জনপ্রিয় করে তোলেন নেপালী ‘আদিকবি’ ভানুভক্ত আচার্য (১৮১৪ — ১৮৬৮)। এতটাই আকর্ষণ যে ভানুভক্তের রামায়ণ পাঠ করার আগ্রহে বহু নেপালী নিরক্ষরতা পরিত্যাগ করে বর্ণ পরিচয় ও পঠন-পাঠনের দৌলতে সাক্ষরতার দিকে এগিয়ে যায়। এই রামায়ণকে কেন্দ্র করেই নেপালী ভাষা গঠনমূলক পর্যায়ে পৌঁছে বিশ্বে স্থায়ী একটি ভাষার মর্যাদাRead More →

‘হরবরই’ বা ‘রয়্যাল’ বলে ডাকতাম। ইংরেজিতে Star Gooseberry. এ এক মজার ফল। হরবরই মানে ‘হর’ অর্থাৎ ‘শিব’ এবং ‘বরই’ অর্থাৎ কুল-সদৃশ টক ফল। সুতরাং দাঁড়ালো শিব-কুল। ছোটো থেকে শুনেছি, ‘কুল’ বা বরই বাগদেবীর আশীর্বাদ ধন্য ফল, তাই তার নাম ‘ভারতী-কুল’ ‘সর-বরই’, কারণ দেবী সরস্বতীর অপর নাম ‘ভারতী’। ছোটোবেলায় দেখেছি, ‘খেতেRead More →

তখনও স্কুলে ভর্তি হই নি। ‘খাপছাড়া’ কাব্যগ্রন্থ থেকে একটি রাবীন্দ্রিক ছড়া মুখস্থ করেছিলাম, ‘অল্পেতে খুশি হবে দামোদর শেঠ কি’, সেখানেই প্রথম পেলাম করমচার কথা।“চিনেবাজারের থেকে     এনো তো করমচা,কাঁকড়ার ডিম চাই,     চাই যে গরম চা”।করমচা চিনতে হবে। মা নিয়ে গেলেন রহড়া, মিশনপাড়ায় পাশের বাড়ি; তাদের উঠোনে একটি করমচার গুল্মে অফুরান ফুল ফুটে আছে।Read More →

মায়ের জেঠিমা, মানে আমার দিদিমাকে বলতে শুনেছি এই কথা, “এক জাইত্যা নারী হায়রে পাড়ায় পাড়ায় যায়,/এর কথা তারে কইয়্যা গুয়া তাম্বুল খায়।” পাড়ার পাড়ায় মাসিপিসিদের জোর আড্ডা বসতো সেকালে। পরনিন্দা পরচর্চার শুরুতে আর শেষে তাম্বুল-সেবনের আয়োজন থাকতো। যিনি বাটাভরা পান রোজ রোজ বিলোতে পারতেন তিনিই হতেন মহিলা মহলের নেত্রী। কিছুRead More →

শরশয্যাগত ভীষ্ম; ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিরকে যোগধর্ম বিষয়ে জানাচ্ছেন নানান কাহিনী, শোনাচ্ছেন নীতি কথন। কখনও মৃত্যুর উৎপত্তি বর্ণনা করছেন, কখনও ধর্মাধর্ম প্রস্তাবে হরিনামের মাহাত্ম্য বলছেন, শোনাচ্ছেন ভদ্রশীল ও ধনুর্ধ্বজের উপাখ্যান, পাপ বিশেষে নরক গমনের কথা, ধর্মফল, একাদশী মাহাত্ম্য, একাদশী ব্রতোপলক্ষে যজ্ঞমালীর উপাখ্যান, বীরবাহু রাজার উপাখ্যান, হরিমন্দির মার্জনের ফল, দানধর্ম, প্রয়াগ মাহাত্ম্য ইত্যাদি।Read More →

যারা বলেন রাম বাঙালির দেবতা নন, তাদের জন্য রবীন্দ্রনাথের মন্তব্য বিশেষ প্রণিধানযোগ্য, “বাঙ্গলা দেশে যে এক সময়ে সমস্ত জনসাধারণকে একটা ভক্তির প্লাবনে প্লাবিত করিয়া তুলিতেছিল; সেই ভক্তিধারার অভিষেকে উচ্চ-নীচ, জ্ঞানী মূর্খ, ধনী দরিদ্র, সকলেই, এক আনন্দের মহাযজ্ঞে সম্মিলিত হইয়াছিল — বাঙ্গলা রামায়ণ, বিশেষভাবে, বাঙ্গলাদেশের সেই ভক্তিযুগের সৃষ্টি। বাঙ্গলাদেশে সেই যে,Read More →

এবার ভোটে লড়াই নামুক মাঠে যেমন বুনি পাটে — বাঁচার লড়াই সনাতনীর অস্তাচলের ঘাটে। এবার ভোটের হাটে পাকি-টিকিট কাটে — দাও চুবিয়ে গঙ্গাজলে বারাণসীর ঘাটে। হিঁদ-মারা সব ঘাঁটি শূণ্য করো খাঁটি — মোক্ষ-রঙের অমর-ধ্বজা ভারত-জুড়ে সাঁটি। চোখের উপর চোখ ছুটুক আপন রোখ– যে চায় তোরে মরণ-বধে বধিস রক্ত জোঁক। এবারRead More →