(বৈশাখ সংক্রান্তি বিষ্ণু উপাসনার একটি অত্যন্ত শুভসময়৷ আমার মা প্রতিবছর এই সংক্রান্তিতে তুলসীতলা নিকিয়ে নিবেদন করেন ভেজানো ছোলা, আখের গুড়, মরশুমি ফল এবং বাতাসা। প্রদীপ জ্বালিয়ে দেন, পাশেই সুগন্ধি ধূপ। ‘হরি বোল, হরি বোল’ ধ্বনিতে পূর্ণ করে তোলেন চারপাশের আবহ। কাঠের বড় থালায় বছরের প্রথম পাকা আম, তরমুজ, ফুটি, কলায়Read More →

সাতক্ষীরার মুসলমান এক যুবক; শ্রীচৈতন্য-প্রভাবে কৃষ্ণপ্রেমে মাতোয়ারা হলেন, অতঃপর ধর্মান্তরিত; নতুন নাম হল হরিদাস ঠাকুর, বৈষ্ণব সাধক হিসাবে যাঁর চিরন্তন প্রসিদ্ধি। ‘শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য’ নাম করতে করতে যখন হরিদাসের মহাপ্রয়াণ ঘটে, মহাপ্রভু শোকে বিহ্বল হয়ে গেলেন৷ সকাল থেকেই তো ভক্তমণ্ডলীকে নিয়ে হরিদাসের পুরীর কুটির বেষ্টন করে নাম সংকীর্তন করছিলেন তিনি। দিব্যানন্দে হরিদাসেরRead More →

স্বরাজ সাধনার ধারাকে বাস্তবতার পথে প্রবাহিত করলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। বঙ্কিম, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্র ও অরবিন্দের চেতনায় স্বরাজের ভিন্নতর ধারা প্রবাহিত ছিল। এই প্রবাহগুলিকে সমন্বয় করে বাস্তবের মাটিতে নামিয়ে স্বরাজ্য ভাবনার উপস্থাপক এবং মহারথী সুভাষ। বঙ্কিম-মানসে ছিল অখন্ড-জাতির ভাবনা আর অসুর বিনাশের যজ্ঞ; সাহিত্য-স্বরাজ। স্বামী বিবেকানন্দে প্রতিভাত হল ধর্মীয়, অধ্যাত্মিকRead More →

[মাতৃসাধক অন্নদা ঠাকুর গণেশ দেউস্করের লেখা ‘ঝান্সীর রাণী’ বইটি গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন। আদ্যামায়ের পূজা যেমন করেছেন, মাতৃজাতির প্রতিও ছিল চিরকালীন সম্মান। অবলা, অত্যাচারিতা, নিপীড়িতা, পতিতা, রক্ষিতা মেয়েদের প্রতি ছিল অপার করুণা এবং স্নেহ। তাদের দুঃখ ঘোচানোর জন্য সবসময় সচেষ্ট ছিলেন। কাশীতে থাকাকালীন প্রায় ১৮-১৯ জন দরিদ্র কন্যার বিবাহের ব্যবস্থাRead More →

শিবপুর ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজের প্রকৌশলী হয়ে উঠেছিলেন এক কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তর ‘হাট’ কবিতাটি (‘মরীচিকা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত, ১৯২৩ প্রকাশকাল) ছাত্রজীবনে আমাকে দারুণ ভাবে প্রভাবিত করেছিল। গ্রামের হাট, প্রভাতে যেখানে ঝাঁট পড়ে না, সন্ধ্যায় যেখানে প্রদীপ জ্বলে না। সেই দশবারোখানি গাঁয়ের মাঝে একটি হাট — পড়ে থাকে আঁধারে। হাটের দোচালায় মুদে আসে নয়ান।Read More →

কারাগারে যেমন অপরাধীকে বন্দী রাখা হয়, তেমন অনেক অপরাধীই থাকেন বাইরে, আর কারাগারে পচেন আলোকময় পুরুষ ৷ যুগেযুগে এই দ্বিবিধ রূপ কারাগারে বা তার বাইরে দেখতে পাওয়া যায়। কৃষ্ণের সঙ্গে কারাগারের প্রাচীন যোগ। তবে কৃষ্ণের মতো নাম হলেই তিনি সুকৃতির অধিকারী হন না। “কানাছেলের নামও পদ্মলোচন” হয়। ‘আসল’ আর ‘ভেজাল’;Read More →

প্রথম সাক্ষাৎ (১৮৮৪ সালের ৬ ই ডিসেম্বর)-এর পর দ্বিতীয় সাক্ষাৎ হবার সুযোগ থাকলেও হয় নি, কারণ তারপর শ্রীরামকৃষ্ণ দেড় বছরের মধ্যে ‘মহাসমাধি’ লাভ করেন (১৬ ই আগস্ট, ১৮৮৬)। তবে বঙ্কিমের ইচ্ছে ছিল, শ্রীরামকৃষ্ণকে নিজের বাড়িতে আনার। প্রথম সাক্ষাৎ -এর পর বেরিয়ে আসার পূর্ব মুহূর্তে (শোভাবাজারে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অধর সেনের বাড়িRead More →

[যে প্রতিবাদের ধরন নিয়ে যুগের প্রয়োজনে ব্রাহ্মরা হিন্দুসমাজের বৌদ্ধিক জগতে বিশেষ আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডল রচনা করার প্রয়াস নিয়েছিলেন, শ্রীরামকৃষ্ণের নাব্য-স্রোত তার সমস্তটাই মুহূর্তে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়ে আবারও মূল সনাতনীর প্রবাহের গাঙ্গে মিশিয়ে দিল। সম্ভব হল কেশবচন্দ্রকে সম্পৃক্ত করে, জারিত করে।] আজ শ্রীরামকৃষ্ণের স্নেহধন্য কেশবচন্দ্রের জন্মদিন। কারো জন্মদিন এলে তাঁকে স্মরণ-মনন করেRead More →

“দেখো তো চেয়ে আমারে তুমি চিনিতে পার কি না।…দুজনে মিলি সাজায়ে ডালি বসিনু একাসনে,          নটরাজেরে পূজিনু একমনে।কুহেলি গেল, আকাশে আলো দিল-যে পরকাশি          ধূর্জটির মুখের পানে পার্বতীর হাসি।”(সাগরিকা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গেলে রুদ্র ও রুদ্রাণীর যোদ্ধৃত্ব রূপের সম্মিলন দরকার। মহাকাল ও মহাকালীর মিলন। শান্তি তো অত্যাচারীও দিতে পারে। কিন্তু সেRead More →

[রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের পক্ষে অখণ্ড বঙ্গের প্রথম প্রান্ত প্রচারক তথা পশ্চিমবঙ্গে সঙ্ঘকার্যের মূল কাণ্ডারী শ্রী কেশবরাও দত্তাত্রেয় দীক্ষিত। রাষ্টীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের এই বরিষ্ঠ প্রচারক বাংলায় একাদিক্রমে ৭২ বছর ধরে প্রচার করে গেছেন দেশপ্রেমের সৌগন্ধ, রাষ্ট্র নির্মাণের কাহিনী। রচনা করেছেন বহু রাষ্ট্রবাদী মনন। সঙ্ঘের যে বয়স, ওঁর-ও সেই বয়স; ১৯২৫Read More →