হয়তো নির্ধারিত কালের পূর্বে তাঁর আবির্ভাব। হয়তো কালের আগেই তিনি ভারতবর্ষে জন্ম নিয়েছিলেন। জন্ম হুগলির খানকুলের রাধানগর গ্রাম। আর মৃত্যু ইংলন্ডের ব্রিষ্টল শহর। কর্ম ও কৃত্যে তো বটেই, জন্ম-মৃত্যুতেও যিনি প্রাচ্য ও প্রতীচ্যকে যুক্ত করলেন, সেই রাজা রামমোহন রায় (১৭৭২/১৭৭৪–১৮৩৩) ছোটোবেলায় আমাদের কাছে কিছুটা অস্পষ্ট ছিলেন। হয়তো বড়দের কাছেও। কারণRead More →

‘পূরবী’ কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ লিখছেন —উদয়ের পথে শুনি কার বাণী,                       ‘ ভয় নাই, ওরে ভয় নাই —                  নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান                      ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’ক্ষয় নেই যে সত্তার সেটাই ‘অক্ষয়’। যার কোনো বিনাশ নেই। ‘অক্ষয় তৃতীয়া’-র দিন আমরা ‘অবিনাশী’ হতে চাই, আমাদের যাবতীয় সম্পদকে অনন্ত অক্ষয় করে তুলতে চাই। কিন্তু ‘চাই’ বললেইRead More →

ধর্ম আফিম, তাই ধর্মের সঙ্গে যুক্ত কাউকে বামপন্থীরা মানতে নারাজ। কিন্তু এখানে ‘ধর্ম’ বলতে কেবলমাত্র ‘হিন্দুধর্ম’-ই পড়তে হবে। অন্য ধর্মের নেতাদের জন্য এই নিয়ম নয়। সেখানে শিখধর্মী হরকিষেণ সিং সুরজিৎ সহ বহু মুসলমান নেতাদের নাম একে একে চলে আসবে। কিন্তু হোপ-৮৬ খ্যাত সুভাষ চক্রবর্তী তারাপীঠে গেলেই মস্ত বড় অপরাধ হয়েRead More →

১.যদি কোনো দলে কেউ মনে করেন, তিনি চিরকালই নেতা-নেত্রী থাকবেন, চক্রাকারে সাধারণ কর্মী হয়ে আর ফিরবেন না, কমিটির পদ গেলেই তাঁর গোঁসা হবে, তবে বুঝতে হবে সে দল, সেই সংস্থা ভেতরে ভেতরে কখন মরে গেছে! এ প্রসঙ্গে রবি ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাস থেকে কিছুটা উদ্ধৃতি দেবো। গ্রন্থটি ১৯২৯ সালে লেখা,Read More →

চৈত্রমাসে নীলের গাজনের আগে এক পক্ষকাল ধরে বাংলায় যে নিজস্ব লোকসংস্কৃতির চর্চা হতো তার অন্যতম আঙ্গিক ‘অষ্টক’। একে ‘নীলপুজোর গান’ বলেই জানতেন লোকসমাজ। এ এক শেকড়-ছেঁড়া লোকসংস্কৃতি। পূর্ববঙ্গ থেকে নির্যাতিত হিন্দুসমাজ ভিটেমাটি থেকে উৎখাত হয়ে বাঁচবার তাগিদে সমগ্র সংস্কৃতিটাকেই ছিঁড়ে এনে ধীরেধীরে বসিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে। তাই অষ্টক এক ‘ছিন্নমূল লোকসংস্কৃতি’। কিছুRead More →

১.শিবাজীর গুরু ছিলেন রামদাস স্বামী, যার জন্য সাতরা দুর্গ জয় করার পর সজ্জনগড়ে আশ্রম নির্মাণ করে দিয়েছিলেন শিবাজী (১৬৭৩)। গুরুকে অঢেল ধন আর ঐশ্বর্য দান করলেও তাঁকে দৈনিক ভিক্ষায় যেতে দেখে শিবাজী অত্যন্ত মর্মাহত হলেন। গুরুদেবের সাধ মেটাবেন, পণ করলেন শিবাজী। রাজ্যের যা কিছু সম্পদ, এমনকি গোটা মহারাষ্ট্র রাজ্যটাই গুরুকেRead More →

ত্যাগব্রত দিবসঋষি অরবিন্দ বলেছেন, সমগ্ৰ ভারতের হৃদয়ভূমি বঙ্গদেশে, বাংলার হৃদয়স্পন্দন ধ্বনিত হয় হুগলী জেলায়। রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের ইতিহাসেও হুগলী জেলার আঁটপুরের স্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৮৮৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর এক অচিন্তনীয় ঘটনার ফলে আঁটপুর শ্রীরামকৃষ্ণ সঙ্ঘের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে উঠল। বাবুরাম মহারাজের (স্বামী প্রেমানন্দ) মায়ের নিমন্ত্রণে এই সময়েই আঁটপুরেরRead More →

গ্রাম-বাংলার খবর যারা রাখেন, তারা জানেন, গো-সম্পদকে কীভাবে দেখেছেন বাংলার মানুষ, বিশেষত দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত বঙ্গে। গোরুকে যে কেবল প্রহার করার নয়, কেবল কেটে খাবার পশু নয়; পুষ্টিকর দুধ, গোবর-গোমূত্র সার, জ্বালানি-ঘুঁটে পাবার পরও যে গো-আধারিত কৃষি বাংলার মূল্যবান সম্পত্তি, তা স্মরণ-মনন করার দিন হল মানভূমের ‘বাঁদনা পরব’, জঙ্গল মহলের ‘সোহরী’,Read More →

১৮৯৮ সালের আগষ্ট মাস, স্বামীজি কাশ্মীরের জাগ্রত দেবীস্থান ক্ষীরভবানী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে দেখলেন মন্দিরের নিদারুণ ভগ্নদশা। মনে তীব্র ক্রোধ আর হতাশা জন্ম নিল, মনে মনে প্রবল বিদ্রোহী হয়ে উঠলেন মন্দির ধ্বংসকারী মুসলমানদের উপর। “যবনেরা এসে তাঁর মন্দির ধ্বংস করে গেল, তবু এখানকার লোকগুলি কিছুই করল না। আমি যদি তখনRead More →

কল্যাণ গৌতম ছোটোবেলায় বালকাশ্রমে একটি গান গাইতাম, “পাখি তুই ঠিক বসে থাক/ঠিক বসে থাক/রামকৃষ্ণ নামের মাস্তুলে।” যিনি তাঁর ঐশ্বর্যের রূপ অন্তরে দেখেছেন, নৈঃশব্দ যাকে জারিত করেছে এক অমর সাহিত্য যাত্রায়, তিনি কী করে নিজেকে মারতে পারেন! কী জানি! কবি জীবনানন্দের ‘আট বছর আগের একদিন’ কবিতার মতো তিনিও কী দেখলেন!“বধূ শুয়েছিলোRead More →