ভাইফোঁটা মোটেই কোনো সাদামাটা অনুষ্ঠান ছিল না। ছিল যুদ্ধে যাবার পরিকল্পনা এবং তারই বিদায় সম্বর্ধনা। বাঙালি হিন্দুর যোদ্ধৃত্ব রূপ ভুলে গেছি বলেই লুচি-মাংস খাওয়ার সেকুলারি ভাবনা ছাড়া, তার মধ্যে কিছুই অবশিষ্ট নেই। “আগডোম বাগডোম ঘোড়াডোম সাজে….” ছড়াটিও ভুলেছি, ভুলেছি ডোম সমেত নানান বর্ণের হিন্দুর যোদ্ধৃত রূপ৷ যুদ্ধ ও সংগ্রাম আমাদেরRead More →

বামপন্থী মাত্রেই টিপ্পনী কাটেন প্রাচীন ভারতের বিজ্ঞান গবেষণা নিয়ে। ড. মেঘনাদ সাহার ‘সবই ব্যাদে আছে’ – এহেন ব্যাঙ্গোক্তির ঝোল টেনে বামেরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে তাঁর মতো একজন প্রথিতযশা বিজ্ঞানীকেও সহজেই ‘বেদ-বিরোধী’ লেফ্টিস্ট বলে দেগে দিতে কসুর করেনি। কিন্তু নিজেদের দলে টানার অলীক স্বপ্ন দেখতে দেখতে সাময়িক সন্তোষ লাভ করলেও তিনিইRead More →

দেবী মাহাত্ম্যে আমরা জানতে পারি সকল দেবতার মিলিত তেজ ও শক্তিতে গড়ে উঠেছিল দেবী দুর্গার অবয়ব এবং আয়ূধ। এরই মধ্যে দেখা যায়, সূর্যদেব তাঁর নিজের শরীরের প্রচণ্ড কিরণ দেবীর লোমকূপে কূপে ঢেলে দিয়েছিলেন। তাই দেবী হয়ে উঠেছিলেন তীব্র জ্যোতির্ময়ী। অসুর সেই প্রখর আলোর দিকে তাকালে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে তার। অশুভRead More →

রামমোহনের মতবাদকে হিন্দুধর্ম থেকে আলাদা করাই যায় না।হয়তো নির্ধারিত কালের পূর্বে তাঁর আবির্ভাব। হয়তো কালের আগেই তিনি ভারতবর্ষে জন্ম নিয়েছিলেন। জন্ম হুগলির খানকুলের রাধানগর গ্রাম। আর মৃত্যু ইংলন্ডের ব্রিষ্টল শহর। কর্ম ও কৃত্যে তো বটেই, জন্ম-মৃত্যুতেও যিনি প্রাচ্য ও প্রতীচ্যকে যুক্ত করলেন, সেই রাজা রামমোহন রায় (১৭৭২/১৭৭৪–১৮৩৩) ছোটোবেলায় আমাদের কাছেRead More →

(১)বাংলার বামপন্থী চিন্তাবিদেরা সব সময় প্রমাণ করতে চেয়েছেন, বিদ্যাসাগরকে ধর্ম-উদাসীন মানবতাবাদী চরিত্র হিসাবে, তুলে ধরতে চেয়েছেন তাঁর ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তিত্বকে। কিন্তু মূল সত্যিটা হল, পরাধীন ভারতবর্ষে নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করলে দেশের সামাজিক সংস্কারের কাজ সুসম্পন্ন হয়, সে ব্যাপারে তিনি বাস্তববাদী ছিলেন। সেই পথে যেতে হলে তিনি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আপোষ করেছেন।Read More →

৩০ শে জুন হুল দিবস, সাঁওতাল বিদ্রোহের স্মরণ দিবস। ১৮৫৫ সালে ইংরেজ অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল সরল সাধাসিধে অথচ প্রাণশক্তির প্রাচুর্যে বলীয়ান এক ভারতীয় বনবাসী গোষ্ঠী; তারা লড়াই করেছিল গোলা-বন্দুকের বিরুদ্ধে, আগ্রাসী প্রবল এক শক্তির বিরুদ্ধে। যদি ভারতমাতার এই লড়াকু মানুষদের কাছে পর্যাপ্ত আধুনিক সমরাস্ত্র থাকতো, তাদের পূর্ব পরিকল্পনা থাকতো,Read More →

শ্রী গুরুজী অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক শ্রী মাধব সদাশিবরাও গোলওয়ালকরজী শ্যামাপ্রসাদের আত্মবলিদানের পর একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। শিরোনাম “ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি।” সেখানে শুরুতেই দেখিয়েছেন, দেশের কোটি কোটি ভাইবোন পূর্ববঙ্গে অমানুষিক অত্যাচারে উৎপীড়িত হয়ে, বাসভূমি ছেড়ে উদ্বাস্তু হয়ে ভারতে আশ্রয়ের খোঁজে এলেন। তখন শ্যামাপ্রসাদ মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন। জনসেবাইRead More →

২০ শে জুন, পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস। বাঙালি হিন্দুর বিজয় দিবস। একটি রথযাত্রার দিন, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রথের সারথী। তিনি পশ্চিমবঙ্গের রথ ছুটিয়ে নিয়ে দিল্লিতে চলেছেন। বাংলা মা ভারত মাতায় একাকার হবেন।পশ্চিমবঙ্গ কেবল একটি প্রদেশের নাম নয়, কেবল পূর্বতন বঙ্গপ্রদেশের পশ্চিমাংশ নয়। পশ্চিমবঙ্গ একটি ভাবনার নাম, পশ্চিমবঙ্গ বাঙালির অস্তিত্বের নাম, পশ্চিমবঙ্গ বাঙালিরRead More →

হয়তো নির্ধারিত কালের পূর্বে তাঁর আবির্ভাব । হয়তো কালের আগেই তিনি ভারতবর্ষে জন্ম নিয়েছিলেন । জন্ম হুগলির খানকুলের রাধানগর গ্রাম । আর মৃত্যু ইংলন্ডের ব্রিষ্টল শহর । কর্ম ও কৃত্যে তো বটেই, জন্ম-মৃত্যুতেও যিনি প্রাচ্য ও প্রতীচ্যকে যুক্ত করলেন, সেই রাজা রামমোহন রায় (১৭৭২/১৭৭৪–১৮৩৩) ছোটোবেলায় আমাদের কাছে কিছুটা অস্পষ্ট ছিলেনRead More →

তিনি আমাদের ‘সঙ্ঘ’-সম্পৃক্ত করেছেন; একত্রিত করেছেন, সঙ্ঘবদ্ধ করেছেন, এক থাকতে উপদেশ দিয়েছেন। তিনি শাক্যমুনি গৌতম বুদ্ধ। ‘সঙ্ঘ’ বলতে আদিতে বৌদ্ধভিক্ষু-সমাজ বোঝালেও, ক্রমে তাই হয়ে ওঠে নানান হিন্দু সমাজের নয়নের মণি। তাছাড়া বৌদ্ধধর্মকে হিন্দু ধর্ম থেকে তো আলাদা করা যায়ই না। গৌতম বুদ্ধকে দশাবতারের অন্যতম কল্পনার মধ্যেই হিন্দু ধর্মের বৃহত্তর সমন্বয়Read More →